বিকেলে সবার সাথে ক্রিকেট খেলার আনন্দের মুহূর্ত
হ্যালো স্টিমিয়াম। সারাদিনের কাজ শেষে আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো গিয়েছে। আমারো অনেক ভালো গিয়েছে।
রীতিমতো রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে পোস্ট লিখতে বসে পড়লাম। আমি খেলাধুলা অনেক পছন্দ করি। আজকে বিকেলে এলাকার কিছু ছোট ছেলেদের সাথে নিয়ে ক্রিকেট খেলেছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরব। তাহলে শুরু করা যাক।
বাড়িতে এসেছি সাত দিন হল। এই সাতদিনের প্রতিদিনই আমি সবার সাথেই ক্রিকেট খেলেছি। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করা যাক। সেই উদ্দেশ্যেই আজকের পোস্ট করা।
আমি ক্রিকেট খেলা খুবই পছন্দ করি। মোটামুটি ভালই খেলতে পারি। তবে লেখাপড়ার জন্য রীতিমতো বাইরে থাকা হয়। মানে আমি লেখাপড়ার জন্য বগুড়া শহরে থাকি। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে আমি সেখানে থাকি।
বাইরে থাকার কারণে আমি এই ক্রিকেট খেলতে পারি না। তবে বাড়িতে আসলেই মাঝে মাঝে এলাকার ছোট ছেলেদের সাথে একটু একটু ক্রিকেট খেলা হয়। আমি অনেক উপভোগ করি সেটা।
আমার বাড়ির সামনে একটি ছোট খালি জমি আছে। আশেপাশে বাড়ি থাকার কারণে সেই জমিতে বেশি একটা চাষাবাদ করা হয় না।বেশি সময় এই জমি খালি পড়ে থাকে। এতে অবশ্য আশেপাশের লোকেদের অনেক উপকারী হয়।
আশেপাশের ছেলেরা সেখানে খেলাধুলা করে।তারপর অনেকেই সেখানে অনেক কিছু শুকাতে দেয়।আবার কেউ সেখানে গরু-ছাগল বেঁধে রাখে।মানে এক কথায় চাষাবাদ না করে সকলের অনেক উপকারী হয়।
আজকে বিকেলে সবাই মিলে খেলাধুলা করার জন্য মাঠে নেমে পড়ি। জমিটা খালি পড়ে থাকার কারণে সেখানে এলাকার ছেলেরা আগেই পিচ তৈরি করে। এরপর আমরা গিয়ে স্টাম্প বসাই।
এরপর এক ভাই সবার ব্যাটিং এ নামার সিরিয়াল করার জন্য ব্যাট এর নিচে নাম্বার লিখে। তার লেখা শেষ হলে সে নাম্বার গুলো ব্যাট দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর আমরা গিয়ে এক এক করে নাম্বার ধরি। যার যত নাম্বার উঠবে সে তত সিরিয়াল এ ব্যাট করবে।
আপনার উপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন এই বিষয়টি। যারা যারা ক্রিকেট খেলেন তারা এই নিয়মের উপর নিশ্চয়ই পরিচিত আছেন। এরপর আমি পাঁচ নম্বর হই। মানে একেবারে সবার শেষে।
এরপর এক নম্বর যে হয় সে ব্যাট করতে আসে। আমি যাই বোলিংয়ে। ভালোই বল করলাম। একে একে সবার ব্যাটিং করা শেষ হয়। সবশেষে আসে আমার পালা। এক বড় ভাই যায় বোলিংয়ে।
তার প্রথম বলেই একটা অঘটন ঘটে। তার প্রথম বলে আমি একটা সিক্স মারি এবং সেই বলটি গিয়ে সুপারির গাছের একেবারে উপরে আটকে যায়। পাশে একটি বাগান ছিল। এখন কি করার?
একটা ছোট ছেলেকে গাছে উঠিয়ে দিলাম। সে গাছে উঠতে পটু। একেবারে উপরে আটকানোর কারণে সেও ব্যর্থ হল। সেই বলের আশা ছেড়ে দিয়ে আরেকটি বল এবং টেপ কিনে নিয়ে আসলাম।
এরপর আবারও বলে টেপ মারা হয়।টেপ মারা শেষে আবারো আগের মত খেলা শুরু। এখন আরও বেশি ছেলেপেলে আসার কারণে আমরা দুই দলে ভাগ হয়ে খেলা শুরু করি। এভাবে খেলতে খেলতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এরপর আমরা খেলা শেষ করি এবং সকল জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসি বাড়িতে।
এই সময়গুলো আসলে আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। স্কুল জীবনে কত ক্রিকেট খেলেছি। এখন সবাই বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে এলাকার বাইরে থাকে। আমিও বাইরে থাকি। তাই চাইলেও আর আগের দিনগুলো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
কিন্তু মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে সবার সাথে খেলাধুলা করে অনেক আনন্দ পাই। মনে পড়ে যায় সেই আগেকার দিনগুলো। যাই হোক আজকের বিকেলটা অনেক আনন্দেই কেটেছে আমার।
আজকের লেখা এই পর্যন্তই। পরবর্তী পোস্টে আবার কথা হবে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন।খোদা হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Symphony,Z15 |
Camera | 13+2 MP Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shariful12 |
সময় পাইলে সবার সাথে একসাথে খেলাধুলা করতে খুবই ভালো লাগে এবং আপনি ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন এটা শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাড়িতে এসে দেখছি বেশ ভালোই মজা করছেন। আজকে সাত দিন আপনি বাড়িতে এসেছেন। প্রত্যেকদিনই আপনি ক্রিকেট খেলা খেলেছেন।
আসলে ক্রিকেট খেলার নাম ঢাকার যেই ছবিটা শেয়ার করেছেন। এটা দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও ছোটবেলায় এভাবে নাম ডেকে সবাই মিলে ক্রিকেট খেলতাম।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গ্রামে আসলে, আসলেই ছোটদের সাথে একটু খেলতে মন চায়, খেললে তারাও আনন্দ পায়, আমিও গ্রামে গেলে খুবই খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করি। আপনাদের খেলার মুহুর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো।
তবে আপনার পিকে দেখলাম, বাঁশ দিয়ে স্টাম্প বানানো হয়েছে, এরকম স্টাম্প দেখে আগের কথা মনে পরে, আমরা কত কী দিয়ে স্টাম্প বানিয়েছি, যত গাছগাছালির ডালপালা আছে, সবগুলোরে দিয়া স্টাম্প বানানোর রেকর্ড আছে। যাইহোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।