কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জন্য আশীর্বাদ নাকি হুমকি?
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তার বুদ্ধিমত্তা বা সৃজনশীলতা। এখন অনুরূপভাবে যদি কোন বুদ্ধিমত্তাকে কাজ করানো যায় যার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা আছে , যে নিজে থেকে সকল কিছু বুঝতে পারে তাহলে কেমন হয়। এ যেন মানুষ হয়ে আরেকটা মানুষ তৈরী করা। যদিও সেটা সম্ভব নয় কিন্তু মানুষের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি না হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এগিয়ে গেছে অনেক দূর। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মানুষের কাছাকাছি চলে আসবে এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স।
বর্তমানে সবচেয়ে বড় আলোড়ন সৃষ্টিকারী এআই এর নাম হচ্ছে চ্যাট জিপিটি। আপনার অনেক জটিল জটিল সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে নিমেষের মধ্যে। আমার কাছে বিষয়টা অনেকটা আলাদিনের দৈত্যের মত লাগে। আপনি যা চান তা মুহুর্তের মধ্যে হাজির। এর কোয়ালিটিও অনেক ভালো। মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। সময়সাপেক্ষ কাজগুলোকে কম সময়ে করে দিচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
শুধুমাত্র চ্যাটজিপিটিই নয় এআই ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটি সেক্টরে। যেখানে ১০ জন মানুষকে দরকার হত সেখানে এক এআই তে কাজ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ খরচ কমছে লাভ হচ্ছে বেশী। সেদিন খবরে দেখলাম এআই এর মাধ্যমে একজন সংবাদ উপস্থাপিকার মতন ছবি তৈরী করা হয়েছে এবং তাকে দিয়ে খবর পড়ানো হচ্ছে। যার বাস্তবে আসলে কোন অস্তিত্বই নেই। অথচ আপনি একবারের জন্য দেখলেও বুঝবেন না যে এটি আসলে মানুষ নয়।
এআই এর যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে তেমনি এর উল্টো পিঠটাও খুবই ভয়ংকর। বর্তমানে এআই এর মাধ্যমে তৈরী হচ্ছে ডিপফেক ভিডিও। যে ভিডিওতে আপনার ছবি এমন ভাবে এডিট করা হবে যে কেউ বুঝতেই পারবে না এটা আপনি না। এর মাধ্যমে অনেকের মিথ্যা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে তাছাড়া পর্ণগ্রাফির মতন জায়গায়ও এর ব্যবহার হচ্ছে। যা সমাজের জন্য অনেক বড় একটি হুমকি। এর পাশাপাশি যে কাজে মানুষ দরকার হতো সেগুলো যদি এআই করে তাহলে মানুষের কাজের অভাব হচ্ছে যা বেকারত্ব বাড়ার কারণ হতে পারে। ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেছিলেন, এআই পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ংকর।“ এজন্য এআই এর উন্নয়ন রোধে ইলন মাস্কসহ আরও বড় বড় কর্মকর্তারা এগিয়ে আসছেন।
মুদ্রার দুটি পিঠই থাকে। তেমনি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরও ভালো মন্দ দুটি পাশই আছে। মানবকল্যাণেই এটি তৈরী হয়েছে। তাই আমাদের এর সঠিক ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কারো ক্ষতি করার জন্য এর ব্যবহার করা হলে তা আসলেই আমাদের জন্য ভয়াবহতা বয়ে আনতে পারে।
আপনার কি মনে হয়? এআই কি হুমকি নাকি আশীর্বাদ?
এখনকার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতে মানুষ বা মানব জাতি অনেকটাই জড়িয়ে পড়েছে, তাদের কৃত্রিম বুদ্ধির মাত্রায়, আগেকার সময় যেখানে দশজন কাজ করতে পারতো এখন ওই জায়গাটা একজনই সম্পন্ন করছে 10 জনের জায়গাটা আর থাকতেছে না তাই আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারাও যেরকম প্রয়োজন আছে কিন্তু প্রয়োজনের বেশি ব্যবহার করা উচিত না,
একটি ছবি তুলে এমন ভাবে ব্যবহার করবে যা আপনি কল্পনার বাহিরে তাই দিয়া তায়ে দিয়েন ব্ল্যাকমেল অহরো চলছে। যেরকম এটার সুবিধা আছে সেরকম একটা অসুবিধা হচ্ছে।
ঠিক বলেছেন ভাই একটি জিনিসের ভালোয়ার দিকও আছে মন্দ দিকে আছে আপনি ভালো চিন্তাধারা ব্যবহার করলে ভালো হবে কিন্তু এটার যদি মন্দ দিক ব্যবহার করেন তো এটার খুব ভয়াবহ খারাপ হবে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি অনেক কিছু জানতে পারলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পরে একটি কথা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাই। মানুষের সব থেকে বড় শক্তি হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা বা সৃজনশীলতা। বর্তমানে আমাদের আধুনিক যুগে অনেক কিছু আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে।
তবে আপনি একটা বাস্তব কথা বলেছেন সেটা হল প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং মন্দ দুটি দিকই আছে। কিন্তু ভালো দিক দিয়ে কাজে লাগাতে পারলে ভালো আর না পারলে সেটার ভয়াবহতা অনেক খারাপ হবে।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ আর এই সময়ে দাঁড়িয়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া জীবন অচল। Ai এর সঠিক ব্যবহার করতে পারলে আমরা যেকোনো কাজ অনেক সহজেই করতে পারি, এতে অনেক সময়ও বেঁচে যায়। তবে এর সঠিক ব্যবহার করতে না পারলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু। ভালো থাকবেন।