আজ আমার জন্মদিন
কত কাছের মানুষকে হারালাম। বাবা নেই আজ প্রায় ৬ বছর হতে চললো। আমার এখনও মনে আছে যেদিন অনার্সের প্রথম ক্লাস করতে যাব, বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল ’’আমার ছেলেটা কত বড় হয়ে গেছে।’’ ঠিক তার এক সপ্তাহ পরেই আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ জন্মদিনের দিনে খুব করে বাবাকেই মনে পড়ছে।
২ বছর বয়সে মায়ের কোলে আমি
৪ বছর বয়সে আমার জন্মদিনে
এরপর আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলাম। জন্মদিনের আকর্ষণও দিনে দিনে কমতে থাকলো। তারপর থেকে এত বড় করে আর জন্মদিন পালন করা হয়নি। কিন্তু পরিবারের মানুষজন বা বন্ধুরা অনেক জন্মদিনেই সারপ্রাইজ দিয়ে আমাকে চমকে দিয়েছে। তাদের ভালোবাসায়, স্নেহে আমি সিক্ত।
বন্ধুদের দেওয়া সারপ্রাইজ বার্থডে কেক
এবারের জন্মদিনটা একদমই ভিন্ন। এ বছর আমরা মানিকগঞ্জে এসেছি। এখানে আমার তেমন কোন বন্ধু নেই। আমার বন্ধুরাও এখন যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। সবাই তাদের ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটছে। অনেকে চাকুরীতেও ঢুকে গেছে। তাছাড়া আমি নিজেই নিজের জন্মদিনের কথা ভুলে গেছিলাম। সকালবেলা এক বন্ধুর কলে ঘুম ভাঙল। সে জন্মদিনের উইশ করলো। তখন আমার তারিখটা মনে পড়লো যে আজ তো আমার জন্মদিন। সোশিয়াল মিডিয়ার কল্যাণে এখন প্রায় সবাই সবার বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে জানে। কষ্ট করে আর মনে রাখতে হয় না। এরপর ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে ঢুকে দেখি উইশের বন্যা বয়ে গেছে। যাদের সাথে কোনদিন কথাও হয়নি তারাও উইশ করেছেন। সকলকেই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সবাই ভুলে গেলেও মায়েরা তো মা ই হয়। তাদের কোন সোশিয়াল মিডিয়া লাগে না। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার সময় মা বললো ’’শুভ জন্মদিন বাবু। অনেক বড় হ।’’ মাকে একটু জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।
আম্মুর রান্না করা খিচুড়ী
একটু পর স্টিমিটে ঢুকে দেখি আমারদের এডমিন দিদি হ্যাংয়াউটের উইনার হিসেবে আমাকেও সিলেক্ট করেছেন। খুবই ভালো লাগলো বিষয়টি দেখে। আমার কাছে মনে হলো যেন বার্থডে গিফ্টও পেয়ে গেছি। আম্মু আজ দুপুরে আমার জন্য আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার খিচুড়ী রান্না করেছে। ছোট ভাইটাও গ্রামে গেছে। বড় হওয়ার সাথে সাথে একাকীত্বও হয়তো বাড়তে থাকে। নিজের জন্মদিনের এই শুভক্ষণে দাড়িঁয়ে একাকীত্বটা যেন একটু বেশীই অনুভূত হচ্ছে।
আজ এ পর্যন্তই। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আমার জীবনের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি।
প্রথমে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই, শুভ জন্মদিন শাহরিয়া ভাই 🎂🎂🌹 ঠিক বলেছেন ভাই নিজেদের জন্মদিনের কথা মন থাকে না কিন্তু বন্ধুদের জন্মদিনের কথা মনে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সকল তথ্য
দেওয়া থাকে বিশেষ করে ফেসবুক।
দুঃখজনক ব্যাপার আপনার বাবা থাকলে আরো সুন্দর হতো। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.Thank you so much for your support
প্রিয় ভাই, শুভ জন্মদিন। আপনার আগামী দিনগুলো শুভ হউক এবং আল্লাহ্ তা'লা আপনার মঙ্গল করুক সেই কামনা করছি। জন্মদিনের এই দিনে আপনাকে বেশি কিছু বলার নেই। শুধু বলবো জীবনকে উপভোগ করুন। যত প্রেশানি আছে সব একদিকে রেখে নিজেকে সময় দিন, পরিবারকে সময় দিন,আপন মানুষকে সময় দিন। দেখবেন জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।
ভালো থাকবেন ভাই। আপনার লিখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর আপনার বাবার জন্যও অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শুভ জন্মদিন।🎂
বাবাকে নিয়ে লেখাগুলো পড়ে চোখে পানি চলে আসলো। আমিও আমার বাবাকে ছয় বছর আগেই হারিয়েছি।
এখনো জন্মদিন কিংবা কোন বিশেষ দিনে তার কথা বার বার মনে পরে। এতদিন সান্ত্বনা ছিলো মা আছে, এখন মা'ও চলে গেছে মাস দশেক।
সবাই পাশে থাকা সত্বেও বড় বেশি একা লাগে।
আপনার পাশে মা আছে। তার সাথে যতটা পারেন সময় কাটান।
এটা ঠিক যে বড় হওয়ার সাথে সাথে জন্মদিন এর প্রতি আমাদের আগ্রহ কমতে থাকে কিন্তু কাছের মানুষগুলি ঠিকই মনে রাখে। যেমনটা আপনার মা রেখেছেন। তার কাছে কোন নোটিফিকেশন যাওয়া লাগে না।
তাকে বলার আগেই ঠিকই আপনার জন্য প্রিয় খাবার রান্না করে রাখবেন।মায়েরা এমনই হয়।
এই দিনটা বার বার আপনার জীবনে ফেরত আসুক এই কামনা করি।
ভালো থাকবেন সবসময়।
পিতা-মাতার চেয়ে আপন আর কেউ নেই। কিন্তু চিরকাল তারা আমাদের সাথে থাকবেন না। এটাই বাস্তবতা। আপনার মায়ের জন্য অনেক দোয়া রইলো। ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
প্রিয় ভাই, প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। জীবনের বাকি পথ চলাটা যেন সুফল হয়। সে প্রার্থনা করছি।
ছোটবেলা আপনার ছবির সাথে এখন এর কিছুটা মিল পাওয়া যায় যদিও সবার এই মিল টা থাকে না, তবে হ্যাঁ আপনার মা এবং আপনাকে কিন্তু বেশ ভালো লাগছিলো, আমরা বড় হয়ে যখন ছোটবেলার ছবিগুলো দেখি স্মৃতি গুলো মনে পড়ে তখন মনে হয় আবার ঐ সময়টা তে ফিরে যেতে পারতাম। ভালো থাকবেন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
প্রথমে আপনাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।
ঘুম থেকে উঠে আপনার মা আপনাকে শুভ জন্মদিন জানিয়েছে। পরে আপনার মাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ ছিলেন। সত্যি এই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সারাজীবন যেন এভাবে হাসিখুশি জীবন পার করতে পারেন।
যদিও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে দীর্ঘ প্রায় ছয় দিন। কিন্তু তারপরেও আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি আপনার আগামী দিনের পথ চলা অনেক বেশি সুন্দর হবে। সত্য কথা বলতে আপনার চার বছরে জন্মদিনে তোলা ফোটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে।
আপনার বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া জন্মদিনের উপহারটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। সেই সাথে আপনার আম্মু আপনার জন্য আপনার প্রিয় খাবার রান্না করেছে। আসলে মায়ের হাতের খাবার এই পৃথিবীর সবচাইতে বড় উপহার। ধন্যবাদ জন্মদিন আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য। এভাবেই আমাদের সাথে চলতে থাকুন। আমরা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে চাই আপনাদের সবাইকে নিয়ে। ভালো থাকবেন।