Better Life with Steem|| The Diary Game||14 February 2024||
শুরুতেই সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা। গতকাল ছিল পহেলা ফাল্গুন। শীতের শেষে বসন্তের আগমন আসলেই মনমুগ্ধকর। কোকিলের কুহু কুহু ডাকে প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে। কেমন গেল আমার গতকালের সারাদিন সেটি আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করব।
রাতে ঘুমাতে দেরি হওয়ার জন্য সকালে উঠতেও একটু দেরি হয়ে যায়। তাই সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদে চলে যাই রোদ পোহাতে। ক্ষুধা না লাগার কারণে না খেয়েই ছাদে চলে যাই। সকালটা দারুনভাবেই শুরু হল কারণ ছাদে গিয়ে দেখি একটি কবুতর ছাদের রেলিং এ বসে আছে। আমিও চট করে কবুতরের ছবি নিয়ে নেই। একটু কাছে যাওয়ার পরেই কবুতরটি উড়ে যায়।
অতঃপর আমি বাসায় ফিরে আসি। হালকা স্নাক্স খেয়ে নানীর সাথে ব্যাংকে যাই নানীর পেনশনের টাকা তুলতে। বাসায় আসতে আসতে দুপুর হয়ে যায়। বাসায় এসে গোসল করে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই।
যেহেতু সকালে বেশীকিছু খায়নি তাই প্রচুর ক্ষুধা লেগেছিল। আম্মু আমার পছন্দের আলুর ভর্তা এবং বেগুন ভর্তা করেছিল যা আসলে মাছ মাংসের থেকেও আমার কাছে অনেক প্রিয়। তা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়ার পর একটু রেস্ট নেই। তারপর বিকালের দিকে পান্জাবী পড়ে বের হই মানুষের ভালোবাসা দেখতে। যেহেতু একই দিনে পহেলা ফাল্গুন, ভালবাসা দিবস এবং সরস্বতী পূজা। তো চারপাশ লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিল।
আমাদের মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের মাঠে সরস্বতী পূজার মন্ডপ করা হয়। সেই সাথে পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে কলেজ বিল্ডিংও লাইটিং দ্বারা সাজানো হয়। এখান থেকে আমি সরাসরি চলে যাই মানিকগঞ্জের বেউথা নামক জায়গায়। সেখানে ব্রীজের উপর যেন মনে হলো মেলা বসেছে। অনেক মানুষ এসেছে তাদের কাছের মানুষদের নিয়ে এই সুন্দর দিনটি উদযাপন করতে। আমি সম্প্রতি অনার্স শেষ করার জন্য আমার বেশিরভাগ ভালো বন্ধুই ভালো ক্যারিয়ারের খোঁজে ঢাকায় চলে গিয়েছে। তাই ঘোরার জন্য তেমন কেউ ছিল না। এ কারণে আমার মনটাও কিছুটা বিষন্ন ছিল।কিন্তু এত মানুষের সমাগম এবং তাদের মাঝে আনন্দ দেখে আমি আসলেই অনেক ভালো বোধ করছিলাম। আমার মতন কতজন সিঙ্গেল মানুষও দেখেছি যাদের সঙ্গ দেওয়ার মতনও কেউ ছিল না।
একটু পর নিজেই নিজেকে ট্রিট দিলাম। একা একাই এক প্লেট ফুচকা খেয়ে ফেল্লাম। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল তাই এবার বাড়ি ফেরার পালা। বাসায় আসার সময় রাস্তার অনেক জায়গায়ই দেখলাম সাউন্ড বক্স বাজিয়ে জোরে জোরে গান বাজানো হচ্ছে। আর তার সাথে উথাল পাথাল নাচ। দেখে মনে হলো যেন তাদের মতন সুখী আর কেউ নেই।
রিক্সায় উঠলাম। বাসায় আসার পথে রাস্তায় কয়েকটা ফুলের দোকান পড়লো। সেখানেও তরুণ-তরুণীদের উপচে পড়া ভীড়। প্রিয় মানুষটাকে স্পেশাল মুহুর্ত উপহার দিতে ফুলের তো কোন বিকল্প নেই। বাসায় আসার পর ফ্রেশ হলাম এবং একটু পরেই কারেন্ট মিস্ত্রী আসলো। আমরা নতুন বাসা পরিবর্তন করেছি। তাই কিছু কাজ বাকী ছিল সেগুলোই করা হচ্ছিল। হঠাৎ ঘড়িতে দেখি ৯.০০ টা বেজে গেছে। তাই সাথে সাধে যুক্ত হয়ে গেলাম আমাদের increadable india এর ডিসকর্ড হ্যাংআউটে। এটা আমার প্রথমবার ছিল। খুবই ভালো একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। কম বেশী সবাই তাদের প্রতিভার ঝলক দেখাচ্ছিল। আসলেই এমন আয়োজন প্রশংসার দাবিদার।
সর্বোপরি, চমৎকার একটি দিন ছিল। একা একা যদিও একটু কষ্টে গেছে কিন্তু মানুষের ভালোবাসা দেখে আর ডিসকর্ডের হ্যাংআউটে জয়েন করে অনেক বেশী আনন্দিত হয়েছি। আপনারাও সবাই ভালো থাকুন , সুস্থ্য থাকুন সেই কামনা করি। মনের সব খারাপ বিষয় ঝেড়ে ফেলে নতুন করে ভালো জিনিস গুলো ইনপুট দেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ,
বসন্ত এসে গেছে
আপনিও দেখছি আমার মত ভর্তা পাগল একজন মানুষ। আসলে আমি মাছ মাংস তেমন পছন্দ না করলেও, ভর্তা ডাল দিয়ে ভাত খাওয়া অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনাকেও বসন্তের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। অবশ্যই বসন্ত এসে গেছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.এবারের বসন্ত যদি কোন ভাবে শুক্র বা শনিবার পড়তো তাহলে অনেক বেশি ভালো হতো৷ তিনটি অকেশন একই দিনে পড়ায় এবার অনেকেই একটু মন খারাপ অবস্থা।
ভালো লাগলো উৎসব এর মধ্যে দিয়েই আওনার দিনটি অতিক্রম হতে দেখে।
জন্য উঠে পড়ে লাগতে হয়।
এটা কি বলতে হয়; সরস্বতী পূজো হবে আর মজা হবে না। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই সরস্বতী পুজো উদযাপন করা হয়।
এই দিনেও আপনি হ্যাংআউটের টানে ছুটে এসেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আমিও আপনার মতো হ্যাংআউট মিস হবে না।
অনেক বছর হলো স্বরস্বতী পূজায় তেমন আনন্দ করতে পারি না ৷ আর বিশেষ করে বড় বড় বিদ্যালয় আর কলেজে অনেক বড় করে মা স্বরস্বতী দেবীর পুজা হয়ে থাকে ৷