Better Life with Steem|| The Diary Game|| 13th June 2024
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমার আরও একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো।
দেখতে দেখতে দিনগুলো কিভাবে যেন চলে যাচ্ছে চোখের পলকে। সেদিন মনে হলো নতুন বছর শুরু হলো অথচ বছরের অর্ধেক প্রায় শেষ হয়ে গেল। আসলেই সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় আমাদের সময়টা কত কম। তাও মানুষের কত বড়াই। কেউ চিরস্থায়ী নয়।
সকালের শুরু হয় একটু দেরী করেই । ৯.০০ টার সময় ঘুম থেকে উঠি। উঠে ফ্রেশ হয়ে বসেছি আর আম্মু বললো আমাদের বিড়ালকে নীচে গিয়ে খুঁজে নিয়ে আসতে। আম্মু ভোর বেলা যখন হাঁটতে গিয়েছিল তখন ছেড়ে দিয়েছিল। মাঝে মাঝেই এমন ছেড়ে দেওয়া হয়। বাইরে কিছুক্ষণ ঘুরেই বাসায় চলে আসে। কিন্তু আজকে এখনও আসে নি বলে আমাকে খুঁজতে যেতে বললো। নীচে গিয়ে দাঁড়াতেই দূর থেকে আমাকে দেখে টুকটুক মিও মিও করতে করতে দৌড়ে কাছে চলে আসলো। টুকটুক আমাদের বিড়ালের নাম। তারপর আমার সাথে সাথে দো তালায় উঠে পড়লো। আসলে যারা কোন প্রাণী পোষে তারাই এর মর্ম বুঝেন। কি অদ্ভুদ ভালো লাগা কাজ করে। কিছুক্ষণ টুকটুককে কোলে নিয়ে আদর করলাম। তারপর আম্মু ওকে খেতে দিল। একটু পর আমাকেও খেতে দিতে বললাম।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে পড়তে বসলাম। পড়াশোনা শেষ করে উঠতে উঠতে প্রায় ১ টা বেজে গেল। উঠে গোসল করে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর স্টিমিটের পোস্ট লিখছিলাম এর মধ্যেই দুপুরের খাওয়ার সময় হয়ে গেল। দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। দেখি আকাশ অন্ধকার করে মেঘ করেছে। বেশ কয়েকদিন পর আবার বৃষ্টি নামবে দেখে একটু ভালো লাগছিল। এই গরম থেকে একটু রেহাই পাবো।
কিন্তু ঐ মেঘ পর্যন্তই । অনেকক্ষণ হয়ে গেল কিন্তু বৃষ্টির আর দেখা নেই। একটু পড়ে আম্মু বললো চল ছাদে যাই। আমিও রাজী হয়ে গেলাম। ছাদে গিয়ে দেখলাম চারপাশ কি সুন্দর দেখাচ্ছে। ছাদে গেলে আকাশটা আরও ভালোভাবে দেখা যায়। অনেক সুন্দর লাগছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখতে। সাথে সাথে কয়েকটি ছবিও তুলে নেই।
একটু পড়েই ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়। দেখতে দেখতে ঝুম বৃষ্টি। আমরা সাথে সাথে নীচে নেমে আসি। বাসায় আসার একটু পর মাগরিবের আযান দিয়ে দেয়। একটু পড়ে আম্মুকে বলি একটু ভালো কিছু খেতে ইচ্ছে করছে বাইরে গিয়ে। আম্মুও রাজী হয়ে যায়। তখন বৃষ্টি থেমে গেছে। ঠিক হলো মানিকগঞ্জের বিখ্যাত হোটেল রাজ এ খেতে যাবে। যেই বলা সেই কাজ।
চলে গেলাম রিকসা করে সেখানে। গিয়ে দেখি এত ভীড় যে বসার জায়গা পাওয়া মুশকিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো। তারপর আমরা একটা টেবিল ফাঁকা পেলাম। আমি দুটি নান রুটি আর খাসীর হালিম খেয়েছি। আর আম্মু একটি নান রুটি আর হালিম খেয়েছিল। খুবই মজা ছিল খাবারটা।
একদম পেট ভরে খেয়ে আবার বাসার দিকে রওনা দেই। বাসায় এসে বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসে যাই। বাংলাদেশ জিতে গেল দেখে খুবই আনন্দ হচ্ছিল। সেই আনন্দ নিয়েই ঘুমোতে চলে যাই। এভাবেই আমার আরও একটি দিন কেটে যায়।
আপনারা তো ভাগ্যবান কারন বৃষ্টির দেখা পেলেন। আমাদেরই মন্দ কপাল। যদিও মাঝে মাঝে শুনতে পাচ্ছি কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এদিকে কোনো সম্ভাবনাই নেই। সত্যিই যাদের পোষ্য আছে তারাই বুঝবে আপনার অনুভূতি। এই কারনে বোধহয় আমিও বুঝতে পারি। মাকে নিয়ে হঠাৎ এমন প্ল্যান করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমরা আসলে সবসময় বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করি, তবে বাবা মায়ের সাথেও এমন কিছু মুহুর্ত আমাদের কাটানো উচিৎ। ভালো থাকবেন।
প্রিয় ভাই আজকের দিনটি খুব ভালোভাবেই কাটিয়েছেন। মাকে সাথে নিয়ে খেতে যাওয়ার চেয়ে ভালো কোন মহুর্ত বোধয় আর হয় না। মাকে নিয়ে আজ আপনার শহরের বিখ্যাত হোটেলে গিয়ে নান রুটি আর হালিম খেয়েছিলেন। নিশ্চই আপনার জীবনের একটি সেরা মহুর্ত কাটিয়েছেন।
ভাই পোষা প্রাণির প্রতি অদ্ভুদ এক ভালোবাসা কাজ করে। কেননা তারা এতটাই আপন হয়ে ওঠে যেন তারাও আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে যায়। অনেকেই দেখবেন বিড়াল খুব ভালোভাবেই পালন করে থাকে।
আপনার বিড়ালটির ব্যপারে জানতে পেরে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।