Better Life with Steem|| The Diary Game|| 10th September 2024
সবাই কেমন আছেন? আমি সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি, সুস্থ আছি। দীর্ঘ সময় পর আবার ফিরে আসলাম। এই সময়ের ভেতরে কত কিছুই না হয়ে গেলো। গিয়েছিলাম ৫ দিনের ছুটিতে। কিন্তু প্রায় ১ মাসের অধিক সময় পর আসলাম ফিরে।
আমার জীবনের একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার জন্য সবকিছু বাদ দিয়ে ১ সপ্তাহের জন্য পড়াতে মনোযোগী হয়েছিলাম। সব ঠিকঠাকই ছিলো। কিন্তু ঠিক পরীক্ষার আগের দিনই বড় এক গোলমাল শুরু হলো দেশে। তারপর থেকে টানা কয়েকদিন বাংলাদেশের অবস্থা কী হয়েছিলো আপনারা সবাই জানেন। এরপর পরীক্ষার তারিখও পেছানো শুরু করলো। আর আন্দোলনের কারণে পড়াশোনাতেও অনেক গ্যাপ পড়েছিলো। সব মিলিয়ে গতদিন পরীক্ষা শেষ হলো। এরপর থেকে আবার নিয়মিত কাজে ফিরে আসবো আশা রাখছি। আজ আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো।
আজ সকালটা শুরু হয়েছে সুন্দর পরিবেশ দেখে। অনেকদিন পর একটু ফ্রী হয়ে ঘুমিয়েছিলাম তাই ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গিয়েছিলো। আম্মু গতকালই নানীবাড়ি গিয়েছিলো তাই সকালে নাস্তা কিনে খেতে হয়েছে। হানি কম্ব এবং এক কাপ চা দিয়েই নাস্তা সারলাম। দুপুরের জন্য ভাত বসাবো এমন সময় আম্মু কল দিয়ে বললো নানী নাকি আমাদের দাওয়াত দিয়েছে দুপুরে খাওয়ার জন্য।
যেই কথা সেই কাজ। তৈরী হয়ে নিলাম নানী বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য। বরাবরই আমার নানীবাড়ি যেতে অনেক ভালো লাগে। গ্রামের প্রকৃতি যেনো আমাকে টানে। রিকসায় করে যেতে যেতে সবুজে ছেয়ে যাওয়া প্রকৃতি দেখে আরও একবার মুগ্ধ হয়ে গেলাম। গত একটি পোস্টে বলেছিলাম এখানকার একটি ব্রীজের কথা। কিছু অলৌকিক ঘটনা আছে এই ব্রীজকে ঘিরে। সেটির পাশ দিয়ে আসার সময় একটু গা ছমছমে ভাব হয়েছিলো।
এরপরই পৌঁছে যাই নানীবাড়ি। ১ মাস পর নানীর সাথে দেখা হলো। আমাদের দেখেই ব্যস্ত হয়ে পড়লো। সময় চলে যায় কিন্তু কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসা আগের মতনই থেকে যায়। ঠিক তেমন কিছু মানুষের ভালোবাসার মধ্যে রয়েছে নানী-দাদীর ভালোবাসা। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে জন্মের পর শুধু নানীকেই দেখেছি। বাকীদের দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তো যাই হোক নাতীদের কী খাওয়াবে, কী করবে তা নিয়ে যেনো দিশেহারা হয়ে পড়লো নানী। একটু পর আম্মুকে দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ সবাই মিলে গল্প করার পর খাবার দেওয়া হলো।
গ্রামের বাড়িতে খাওয়ার আরেকটি মজা হলো মাটির চুলায় রান্না করা খাবার খাওয়া। গ্যাসের চুলায় রান্না করা আর মাটির চুলায় রান্না করায় যেমন অনেক পার্থক্য আছে ঠিক তেমনি এদের স্বাদও আলাদা। বেশী সুস্বাদু হওয়ার কারণে এবং সকাল থেকে একটু ক্ষুধা লাগার কারণে অনেক বেশীই খেয়ে ফেললাম। আর গুরুপাক খাওয়ার পর সফট ড্রিংক না খেলে যেনো থাকতেই পারিনা। যদিও শরীরের জন্য এটি বেশ ক্ষতিকর।
খাওয়া দাওয়ার পর আবার সবাই গল্প করলাম কিছুক্ষণ। বিকাল বেলা বাইরে হাঁটতে বেড়িয়েছিলাম। মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিলো দেখে আর ছবি নিতে পারিনি। বাহিরে ঘুরে এসে দেখি বাসায় কারেন্ট নেই। এমনিতেই যে গরম পড়েছে, তারউপর লোডশেডিং এর মাত্রা বেড়েই চলেছে সারা বাংলাদেশে। ভয়াবহ অবস্থা। এজন্য বাসার ভেতরে না গিয়ে বাইরেই অপেক্ষা করতে থাকি। একটু পর কারেন্ট চলে আসে। বাসায় ঢুকে সন্ধ্যার নাস্তা করে মামার রুমে যাই টিভি দেখতে। কখন সময় পার হয়ে যাচ্ছিলো টেরই পেলাম না। তারপর রাতের খাবার খেয়েই পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। এভাবেই আমার আজকের সারাদিন কেটে যায়।
সকালের মনোরম দৃশ্য সবুজ সেমল মাঠ দেখেই তো মন ভরে গিয়েছে। গ্রাম বাংলার ফসলের মাঠগুলো সকালে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে শেষের ভেজা ঘাস গুলো পায়ের উপরে যখন পড়ে তখন আরো বেশি ভালোলাগা কাজ করে। আপনার আম্মু আজকে বাড়িতে ছিল না তাই সকালের নাস্তা বাইরে থেকে কিনে খেয়েছেন।
যাইহোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই অবস্থানা করেছেন এজন্য আপনাকে যেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।