বৃষ্টিতে ভেজার কিছু মুহুর্ত
রাতে দেরী করে ঘুমানোর জন্য সকালে উঠেছিও দেরী করে। উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ সবার সাথে গল্প করলাম। তারপর খেয়ে নিলাম।বসে বসে ফোন চালাচ্ছি। হঠাৎ দেখি আকাশ যেন আরও অন্ধকার হয়ে গেলো। একটু হালকা বজ্রপাতের শব্দও কানে আসলো। কিছু সময় যেতে না যেতেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। নানী বাসায় টিনের চাল। তাই বৃষ্টির শব্দটা অনেক জোড়ালো শুনাচ্ছিলো। ভালোয় ভালোয় বৃষ্টি উপভোগ করছি। ভাবছি যে এখন ভেজাটা কি উচিৎ হবে কি না।
এমন সময় দেখি ছোট মামার ছেলে ফুটবল নিয়ে উঠানে নেমে পড়েছে খেলতে। একা একাই খেলছে। এটি দেখে আমি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। ঐ অবস্থায়ই নেমে গেলাম বৃষ্টিতে। পানি যদিও খুব বেশী ঠান্ডা না। ভালোই লাগছিলো। কিন্তু বৃষ্টির পানি শুরুতে পুরো শরীর ভেজাতে পারছিলো না বলে, টিনের চালের যেখান দিয়ে পানি বেয়ে বেয়ে পড়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আগে ভালো করে ভিজে নিলাম। সবচেয়ে বেশী সমস্যা হচ্ছিলো উঠানের মাটি বেশ পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিলো তাই। হাঁটার ব্যালেন্স রাখতেই রীতিমত হিমসীম খাচ্ছিলাম। তবুও যাই হোক আস্তে আস্তেই খেলা শুরু করি।
বৃষ্টিতে ভিজলে শুরুর দিকে হাতের তালু প্রচন্ড চুলকায়। আপনাদেরও কি এমন হয়? কিছুক্ষন চুলকানোর পর আবার ঠিক হয়ে যায় অবশ্য। প্রায় ২০ মিনিটের মত বৃষ্টিতে ভিজেছি। আমাকে ভিজতে দেখে আমার মামাতো ভাই তো খুব খুশী। সে বিভিন্ন কার্যকলাপ করে দেখাতে লাগলো। দূর থেকে দৌড়ে এসে স্লিপ করে আমার সামনে এসে পড়ছিলো। খুবই বিপদজনক কাজ। তাকে নিষেধ করলাম। কারণ আছাড় খেয়ে হাত পা ভাঙার চান্স থাকে। একটু পর নানী আমাকে ডাক দিয়ে ২টা বালতি দিয়ে বললো বৃষ্টির পানি ধরতে। এই পানিতে ভাত রান্না করলে নাকি অনেক সুস্বাদু হয়। আমিও তাই করলাম। তারপর আবার ফুটবল খেলতে নেমে গেলাম।
ফুটবল খেলার সময় পুরনো দিনের কথা খুব মনে পড়ছিলো। ছোট থাকতে বন্ধুদের সাথে এরকম কত বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলেছি। একবার তো আছাড় খেয়ে আমার ডান পায়ের বুড়ো আঙুলের নখ উঠে গিয়েছিলো। তখন আম্মুর সে কি বকা। সবই এখন স্মৃতি। অনেক বন্ধুদের সাথে যোগাযাগও নেই। সময় এভাবেই পেরিয়ে যায়। সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।
তবে আজকের বৃষ্টিতে ভিজে মানসিকভাবে অনেক ভালো লাগছিলো। মাঝে মাঝে একটু বাচ্চা হয়ে যাওয়া মন্দ বিষয় না। তবে এখন একটু ভয় হচ্ছে আবার জ্বর না চলে আসে। আজ এ পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন।
মাঝে মাঝে শৈশবে ফিরে গেলে মন্দ হয় না।হয়ত ছোটবেলার মতো এখন তেমন অনুভূতি পাওয়া যাবে না তবে একটু হলেও শৈশবের আভাস পাওয়া যায়। সত্যি খুব ইচ্ছা করে ছোটবেলার মতো কাদা মাখামাখি করতে, খুব ইচ্ছা করে ঐসময়ে ফিরে যেতে।
আজ বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ফুটবল খেলেছিলেন, আপনার খেলা দেখে আমারও ইচ্ছে করছে। অন্য দিন বৃষ্টি হলে চলে আসবো আপনার এখানে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
পোস্টটি পড়ে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
এটা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো যে বাংলাদেশে অনেক দিন পরে বৃষ্টির দেখা পেলো। আসলে আমাদের সামনে যখন শৈশবের দিনের কোন মুহূর্ত চলে আসে তখন নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেক কঠিন এক ব্যাপার। আমরাও বৃষ্টির সময় ফুটবল নিয়ে খেলাধুলা করতে চলে যেতাম শৈশবে। যখন আপনার মামার ছেলে উঠানে নেমে গেলো খেলা করার জন্য একা একা তখন আপনি এই দৃশ্য দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল না করতে পেরে নেমে গিয়েছেন খেলাধুলা করতে বিষয় টি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
বৃষ্টিতে ভিজতে ছোট থেকে বড় অনেকের ভালো লাগে। আমিও আপনার মত বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসি। কিন্তু এখন সেই রকম বৃষ্টি হয় না। ছোটবেলায় স্নান করার সময় বৃষ্টি আসতো। আর আমরা সবাই মিলে বৃষ্টিতে ভিজতাম। তখন খুব মজা হতো। কিন্তু এখন সেই সব দিনগুলো ফিরে পাওয়া যায়। আমি আগের বছরে সব বোনরা মিলে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে খুব মজা করেছিলাম। তবে টিনের চাল দিয়ে যে জলগুলো পড়ে সেই জলে স্নান করতে বেশি ভালো লাগে। বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে বেশ ভালো লাগে। আমাদের পাড়ার ছেলে গুলো দেখি বৃষ্টি আসলেই বল নিয়ে পাশের মাঠে চলে যায় খেলা করতে।
বৃষ্টিতে ভেজার একটা সুন্দর পোস্ট করে আপনি আমাকে আবারো শৈশবে ফিরে দিলেন।আসলে এখন নানান ব্যস্ততার কারণে হয়তো আর বৃষ্টিতে ভিজতে পারিনা। কিন্তু এমন এক সময় ছিলো যখন বৃষ্টি মানেই জলে ভেজা বুঝতাম।আপনি আপনার মামাতো ভাইয়ের সাথে খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন।আসলে টিনের চালের বৃষ্টির আওয়াজ আরো জোরালো শোনায়।
আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই এরকম বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে। সত্যিই আপনার বৃষ্টিতে ভেজা ছবিগুলো দেখে আমারও সেই শৈশব কালের কথাগুলো মনে পড়ে গেল। অনেকদিন হয়ে গেল আমারও তেমন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না।
আপনি নানু বাড়িতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলেছেন।
সত্যিই বৃষ্টিতে ভিজে গ্রামের মাঠে আগে সবাই মিলে ফুটবল খেলতাম। কতই না মজা হত।
সুন্দর একটি বৃষ্টি ভেজা পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।