বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া খেলার রিভিউ
টি২০ বিশ্বকাপের সুপার ৮ এর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিলো আজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বরাবরই টি২০ তে খুব বেশী ভাল করতে পারেনি। বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দের ফরমেট হচ্ছে ওয়ান ডে। তবুও নিজের দেশ বলে কথা। মনের কোণে একটা আশা থেকেই যায়। আজ মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ এবং অস্ট্রলিয়া।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
বাংলাদেশ সময় সকাল ৬.৩০ এ ম্যাচটি শুরু হয়। এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে ফোনেই খেলা দেখা শুরু করি। টসে জিতে বল বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। কম রানে পরাস্ত করতে পারার একটা চিন্তা থেকেই বোধহয় এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বরাবরের মতন এবারেও বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির মিলবন্ধন গড়াতে পারেনি বেশী দূর। প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। তানজীদ তামিম ৩ বলে শূন্য রান করে ফিরেন সাজ ঘরে।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত। বেশ কয়েকদিন পর রানের দেখা মিলেছিলো তার। কিন্তু শেষটা ঠিকভাবে করতে পারলেন না। ৯ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করে এডাম জাম্পার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হতে হয় তাকে। অন্যদিকে আরেক ওপেনার লিটন দাস ২৫ বলে করেছেন ১৬ রান। টি২০ রানের খেলা এখানে যে যর বল হজম করবে সে ততই পিছিয়ে যাবে। তাই এই বেশী বল খেলে কম রান করাটা বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
আর কেউ ব্যাট হাতে সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও দূর্দান্ত ইনিংংক্স খেলেছেন তৌহিদ হৃদয়। ২টি ৬ এবং ২টি ৪ সহ তার মোট রান দাঁড়ায় ৪০ এ। এভাবেই ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের মোট সংগ্রহ হয় ১৪০ রান। আমার মতে ১৬০+ রান হলে অস্ট্রলিয়াকে ফাইট দেওয়ার মতন একটি স্কোর হতো।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
দ্বিতীয় ইনিংক্স
ব্রেকের পর অস্ট্রলিয়া মাঠে নামে। ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেড অসাধারণ শুরু করেন। কেউ যেন কারও চেয়ে কম যান না। মাত্র ৪ ওভারেই রান তুলে নেন ৩৬। যার অর্ধেক করেন ওয়ার্নার বাকী অর্ধেক হেড। একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। এজন্য খেলা স্থগিত হয়ে যায়। খেলা যদি আর মাঠে না গড়াতো তাহলেও অস্ট্রলিয়া ডিএলএস ম্যাথডে ২৯ রানের জয় পেত। কিন্তু একটু পরেই বৃষ্টি থেমে যায়। এবার খেলাটা কিছুক্ষণের জন্য যেন বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসে। বৃষ্টি থেকে ফেরার কিছু সময়ের মধ্যেই বাঙালী লেগ স্পিনার রিশাদের বলে ধরাশায়ী হয় হেড। ২১ বলে তুলে নিয়েছিলেন ৩১ রান।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
পরবর্তী উইকেটে নামেন মিচাল মার্স। ছয় বলে ১ রান করার পর তাকেও সাজ ঘরে ফেরত পাঠান রিশাদ। বাঙালীরা যখন একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলো এমন সময় ক্রীজে আসে ম্যাক্সওয়েল ৬,৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কনফিডেন্স যেন গুড়িয়ে দেন তিনি। ওদিকে ওয়ার্নার তার ৫০ তুলে নেন। স্কোরবোর্ডে যখন ১১ ওভারে ১০০রান ২ উইকেট অস্ট্রলিয়ার তখন তুমুল বৃষ্টি নামে। ফলে খেলা ডিএলএস ম্যাথডে চলে যায় এবং ২৮ রানেত জয় পায় অস্ট্রলিয়া।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
যদিও পুরো খেলা দেখার ইচ্ছে ছিলো।কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা আর হয়ে উঠলো না। বাংলাদেশের প্লেয়ারদের কনফিডেন্সের খুবই অভাব। তারা প্রতিটি শট মারার আগে যেন কনফিউশনে ভোগে। ক্রিকেট জগতে এত বছর পার করার পরও অনেক ফাঁক রয়ে গেছে তাদের। আশা করি খুব দ্রুত এসব সংশোধনে কাজ করবে টিম টাইগার্স।
আসলে বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলাটা অনেকটাই ভালো ছিল কিন্তু বাংলাদেশ প্রথম দিক থেকে যদি আরো একটু ভালো করেছেন তো তাহলে অবশ্যই জিততে পারতো কিন্তু প্রথম দিক থেকে অনেক খারাপ ভাবে খেলে ফেলেছে খেলাটি দেখে আসলেই অনেক খারাপ লেগেছে। আসলে আমরা তো বাঙালি এমনটা বেঁচে থেকে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছে তারপরও আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ অবশ্যই বাংলাদেশকে আমি সাপোর্ট করবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি এত সুন্দর করে রিভিউ করেছেন তার জন্য।
সত্যি কথা বলতে ভাই এবারের বাংলাদেশ দলকে নিয়ে মানুষ অনেক আশাবাদী ছিল। আপনি বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলার সুন্দর রিভিউ আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। সেদিনের পুরো খেলাটা আমিও দেখেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাকি খেলাটুকু আমি আর দেখতে পারিনি।
আসলে ভাই, খেলার ওপেনিং ব্যাটিং যদি বেশিক্ষণ না টিকে। খেলাটি কেন জানি ভিন্ন রকম হয়ে যায়।
খেলার সুন্দর রিভিউ এবং মন্তব্য নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।