ঈদের পরে বাড়ি ফেরা

in Incredible India10 days ago

Tan Beige Simple with Floral Element Family Photo Collage.jpg

Edited by Canva

আসসালামু আলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই ভালোই আছেন। ঈদের ছুটি অনেক আগেই শেষ হয়েছে। সবাই সবার কর্মস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁছেও গেছে। আমি এবারেও ঈদটা কাটিয়েছি নানীবাড়ি। ঈদের ৪ দিন পর আমার কাজিনের একটি অনুষ্ঠান ছিল তাই আর বাসায় আসিনি। একবারে অনুষ্ঠান শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিয়েছি। সে সম্পর্কেই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

1.jpeg

2.jpeg

আগে আমরা যশোর থাকতাম এবং আমার নানীবাড়ি মানিকগঞ্জে। যাওয়া আশা অনেক ঝামেলা হতো। ৪-৫ ঘন্টার জার্নি। এ বছর আমরা মানিকগঞ্জ শহরে চলে আসি । এখন আমাদের বাসা থেকে নানীবাড়ি যেতে মাত্র ২৫-৩০ মিনিট লাগে অটোতে করে। তাই বাসায় আশা নিয়ে অতো তাড়া ছিল না। বাসায় এসেছি গতকাল অর্থাৎ ২৩ তারিখে।

আপনারা অনেকেই জানেন, আমার একটা পোষা বিড়াল আছে। তার নাম টুকটুক। কোথাও কয়েদিনের জন্য ঘুরতে গেলে তাকেও নিয়ে যেতে হয়। টুকটুককে নেওয়ার জন্য সুন্দর একটি ঝুড়ি আছে আমাদের। এটি তারও খুব পছন্দের। মাঝে মাঝে ঢুকে বসে থাকে। আমরা রেডি হয়ে বেরোনোর আগ মুহুর্তে টুকটুককে তার ঝুড়িতে নিয়ে নিই। তারপর অটোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হই। আমার নানীবাড়ি থেকে অটো স্ট্যান্ড যেতে ৫মিনিট হাঁটতে হয়।

3.jpeg

গিয়েই অটো পেয়ে গেলাম। আমার ছোট ভাই আগেই বাসায় চলে গিয়েছিল। তাই আজকে শুধু আমি আর আমার মা ছিলাম অটোতে। আমার নানীবাড়ির এলাকাটি চিরচেনা। ছোটবেলাথেকেই সেখানে কতবার যে আশা হয়েছে। বদ্ধগ্রাম আস্তে আস্তে শহরের স্পর্শ পেয়ে কীভাবে বদলে গেল। যাহোক একটু দূর আসতেই দেখলাম। একটা মাঠে গ্রামের লোকজন খড় শুকাচ্ছে। সেদিন ভালোই রোদ উঠেছিল। তাই তাদের খড় শুকাতে সুবিধাই হচ্ছিল। অনেক জায়গায় দেখি রাস্তার উপর খড় শুকাতে দেয়। কিন্তু এটি রাস্তায় চলা গাড়ির জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এমন করা উচিত নয়।

4.jpeg

গ্রামে আসলে মন ভালো হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে গ্রামীন প্রকৃতি দেখা। সবুজে সবুজে চোখ যেন ভরে যায়। একটু পড়েই দেখতে পেলাম বড় একটি ধানক্ষেত। আমার নানীবাড়ি এলাকায় ধানের চাষ খুব বেশী দেখিনি। বেশীরভাগই ভুট্রা কিংবা নানা ধরনের সবজি। কিন্তু এখানে বড় একটি জায়গা জুড়ে ধানের চাষ হচ্ছে। সবুজ ধান গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।

5.jpeg

7.jpeg

তারপরে চলে এলাম একটি ব্রিজের কাছে। এই ব্রিজটি আমি ছোট বেলা থেকে এমনই দেখছি। এর নীচ দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। আম্মুর কাছে শুনেছিলাম, সে যখন স্কুলে পড়তো তখন এই ব্রিজটি বাঁশের তৈরী ছিল। বর্ষার সময় ডুবে যেত। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এ ব্রিজকে ঘিরে রয়েছে নানা ধরনের ভৌতিক কাহিনী। আগেকার সময় এখানে নাকি খুব ভূতের উপদ্রব ছিল। সন্ধ্যার পর খুব বেশী দরকার না হলে কেউ এই ব্রিজের দিকে আসতো না। পুরোটাই কল্পকাহিনী ভেবে আমিও উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ২ বছর আগে আমার ২ বন্ধু আমার নানীবাড়ি বেড়তে এসেছিল। বাসায় ফেরার পথে একটু রাত হয়েছিল। ঠিক এই ব্রিজের উপরে এসেই কিছুই অস্বাভাবিক ঘটনার শিকার হয়। ওরা এ ব্রিজ সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই জানতো না। এজন্য আমাকেও এ বিষয়টা ভাবায়।

যাহোক, তারপর এভাবেই কিছু সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে যাই। বাসার সামনে রাস্তার কাজ চলছে দেখে অনেকটা ঘুরে আসতে হয়েছিল। আজ এ পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন।

Thank You

Sort:  
 10 days ago 

সর্বপ্রথম বলবো অবশ্যই আপনি আপনার নানির বাড়িতে ঈদ কাটিয়ে অনেক আনন্দ অনুভব করেছেন। এবং আপনার একটি পোষা বিড়াল আছে যার নাম টুকটুক আপনারা যখন বাহিরে যান তাকেও সাথে নিয়ে যান এটা জানতে পেরে আসলে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুবই সুন্দর একটি ঝুড়ি কিনে রেখেছেন আপনারা। মাঝেমধ্য সে ঝুড়ির মধ্যে গিয়ে বসে থাকে বিষয়টি খুবই ভালো লাগার মতো। আসলে পোষা প্রাণী কে আমরা যে ভাবে শিক্ষা দেবো তারা ঠিক সেই ভাবে শিক্ষা নেবে।

যাই হোক ঈদের পরে বাড়ি ফেরার অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Loading...
 8 days ago 

সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে যা বুঝলাম আপনি এবারের ঈদ নানি বাড়িতেই পালন করেছেন। ঈদের পর কাজিনের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে তারপরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। যাইহোক ভাই, আপনার টুকটুক কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর।
আসলেই বর্তমানে গ্রামের জায়গা জমি গুলো দিন দিন শহরের ছোঁয়া পাচ্ছে। কিছুদিন পরপরই পরিবর্তন হয়ে যায়।

ঈদের পরে বাড়ি ফেরা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 7 days ago 

আমার নানীবাড়িও মানিকগঞ্জ জেলাতেই। আগে আমরাও নানীবাড়ি বেড়াতে যেতাম। এখনতো সবাই ঢাকাতে। সেই দিনগুলি মিস করি।

আপনার টুকটুক আসলেই অনেক কিউট। মানিকগঞ্জের গ্রামগুলি অনেক সুন্দর হয় দেখতে। মাঝে মাঝে সরু সরু রাস্তা চলে গেছে। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। শীতের সময় আরো সুন্দর লাগে।

ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।

 5 days ago 

আপনার টাইটেল দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম কারণ সবাই ইদের পূর্বে বাড়িতে যায়। অথচ আপনি বলেছেন ইদের পরে বাড়িতে ফেরার কথা। তবে আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম বাড়ি এবং নানি বাড়ি কাছাকাছি তাই আপনি নানি বাড়িতেই অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন।

এটাতো শতভাগ সঠিক ভাই গ্রামের মন ভোলানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুহূর্তের মধ্যে মনকে ভালো করে দেয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার পরবর্তী আকর্ষণে লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম।

 4 days ago 

অনেক মানুষের শখের প্রাণে থাকে, তার আবার নাম ও দেওয়া হয় যেমন আপনি নাম দিয়েছেন টুকটুক।। যেখানে যান না কেন তাকে নিয়ে যান শুনে ভালো লাগলো।। এবারের ঈদ তাহলে ভালোই কাটিয়েছেন নানি বাসায়।। আর হ্যাঁ যশোর থেকে মানিক গঞ্জ অনেকটা দূর।। আর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে জার্নি আমার খুবই খারাপ লাগে।।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 60210.85
ETH 3297.19
USDT 1.00
SBD 2.38