বাংলাদেশ বনাম আফগানস্থান খেলার রিভিউ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। এই ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ২০২৪ বিশ্বকাপের যাত্রা শেষ হলো। এই একটি ম্যাচের উপরে অনেকগুলো সমীকরণ নির্ভর করেছিল। তিন দেশের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচ ছিল এটি। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানস্থান।
গতকাল রাতে ইন্ডিয়ার কাছে অস্ট্রেলিয়া হেরে যায়। ফলে সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে তাদেরও বিভিন্ন ধরনের সমীকরণের সহায়তা নিতে হয়। এবার বিষয়টা এসে এমন দাঁড়ায় যে, আজকে সকালে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলই বলে দিবে এই তিন দেশের মধ্যে কোন দেশ সেমিফাইনালে যাবে। তাই তিন দেশের হাজার হাজার সমর্থক তাকিয়ে ছিলে এই ম্যাচটার দিকে।
যদি বিপুল রানে বাংলাদেশ জিতে তাহলে বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করবে। যদি অল্প রানে বাংলাদেশ জিতে তাহলে অস্ট্রেলিয়া কোয়ালিফাই করবে। আর যদি স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তান জিতে তাহলে আফগানিস্তান কোয়ালিফাই করবে। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার সময় খেলা শুরু হয়। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের ক্যাপ্টেন রাশিদ খান। কিন্তু ব্যাট হাতে বেশি রান সংগ্রহ করতে পারেননি তারা। ব্যাট হাতে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন গুড়বাজ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১১৫। খেলা অনুযায়ী স্কোর খুবই কম।
সমীকরণ মিলিয়ে দেখা গেল বাংলাদেশ যদি ১২.১ ওভারের মধ্যে ১১৬ রান করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ সরাসরি সেমিফাইনালে চলে যাবে। প্রতিবারের মতন খেলার শুরুতেই ওপেনিং জুটি ছিটকে পড়ল। তিন বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরেন তানজিদ হাসান তামিম। তারপরে আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি। একদম খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলে গেছেন বাংলাদেশের ওপেনার ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। সে তার ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও তা দলের জন্য খুব বেশি কাজে আসেনি।
নতুন ব্যাটসম্যানদের সাথে সাথে পুরানো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদেরও এত খারাপ পারফরমেন্সের কারনে যেটা ম্যাচটাও হারতে হলো বাংলাদেশের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান গোল্ডেন ডাক মেরে সাজ ঘরে ফেরেন। মাহমুদুল্লাহও আশানুরূপ স্কোর করতে পারেনি।
এর মাঝে বৃষ্টি বারবার বাঁধা দিচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম বোধহয় খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সম্পূর্ণ খেলাই হয়েছে। যেখানে আমরা বাংলাদেশ সাপোর্টাররা সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলাম। ভেবেছিলাম পাওয়ার হিটিং এর মাধ্যমে ১২.১ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ জিতে যাব। সেখানে পরপর উইকেট পতনের কারণে ১০৫ রানেই প্যাক হয়ে যায় বাংলাদেশ। জেতা ম্যাচ হারানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জুড়ি মেলা ভার। আফগানিস্তানের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন রাশিদ খান।
বাংলাদেশের সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়ারও সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন এখানেই থেমে গেল। অসাধারণ খেলার মাধ্যমে সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই হয়ে গেল আফগানিস্তান। এই গ্রুপ থেকে ইন্ডিয়া এবং আফগানিস্তান পরের রাউন্ডে খেলবে। বরাবরের মতন হতাশা নিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের আরেকটি টুর্নামেন্টের যাত্রা।
ভাই দুঃখের কথা কি আর বলব। পুরো খেলাটি দেখে একদম হতাশ হয়ে গেছিলাম। বাংলাদেশ দলকে নিয়ে এবারের দর্শকদের মাঝে যে স্বপ্নটা ছিল। সেটা নিমিষেই ধ্বংস করে ফেলল।
আসলেই বাংলাদেশ টিম আমাদেরকে ভালো কিছু দিতে পারলো না।
যেখানে এমনিতেই ম্যাচটি জেতার কথা। সেখানে কি থেকে যে কি হয়ে গেল।
খেলার রিভিউ নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই, মনটা ভেঙে গিয়েছিল খেলা দেখতে গিয়ে। আমি তো রীতিমতো টেলিভিশন বন্ধ করে ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম। এই পরাজয়টা মেনে নিতে রীতিমতো কষ্ট হয়েছিল।
দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের এইরকম পারফরম্যান্স দেখে মাঝেমধ্যেই মনে হয় আর দেশের দলের খেলা দেখবো না। কিন্তু ঐ যে মাটির টানে আবারো সময়মতো টেলিভিশননের সামনে বসে যাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ম্যাচ রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য। আপনার পরবর্তী লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
খেলাটার কথা মনে হলে আজও খারাপ লাগে ভাই।। কিন্তু কিছু করার নাই যেহেতু ক্রিকেট খেলা কখন কি হয়ে যায় সেটা বলা মুশকিল।। ধন্যবাদ আপনাকে এই খেলাটা এত সুন্দর ভাবে রিভিউ করার জন্য।।