বাংলাদেশে বনাম নেপাল খেলার রিভিউ
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
শুরুতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো ছিলো না। টসে জিতে বল নেয় নেপাল। বোলিং পিচ বলেই বোধ হয় তারা ভেবেছিলো অল্প রানের টার্গেট চেস করে সহজেই জিতে যাবে। বরাবরের মতই বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি হতাশ করেছে। কোনভাবেই যেনো বাংলাদেশ এই জায়গাটার দুর্বলতা ঠিক করতে পারছে না। ব্যাট হাতে সকল ওপেনাররাই ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন সাজঘরে।
মাত্র ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন চাপের মুখে ঠিক তখন সাকিব আল হাসানের ভুল কলে বাংলাদেশের অন্যতম ডিপেন্ডেন্ট ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রান আউট হয়। হতাশা যেন আরও ঘিরে ধরলো বাংলাদেশকে। গত ম্যাচের হিরো সাকিব ও এই ম্যাচে বেশী দূর যেতে পারলেন না। মাত্র ২২ বলে ১৭ রান করে মাঠ থেকে বিদায় নিলেন। এরপর আর কেউই তেমন ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না। আজকের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানই এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
এরপর কোন মতে এদিক ওদিক করে ১৯ ওভার ৩ বলে সকল উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১০৬ রান। শুরুতে খুব খারাপই লাগছিলো। ভাবলাম খেলা আর দেখবো না। দিনের শুরুতে মনটা নষ্ট হবে। কিন্তু তবুও নিজের দেশ বলে কথা। আর ঈদের নামাযেরও দেরী আছে তাই বসেই গেলাম বাকী টুকু দেখতে।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
কম রানের টার্গেটে নেমে নেপালের শুরুটা ভালোই ছিলো। ১২০ বলে দরকার ১০৭ রান। ২ ওভারে ৯ রান নিয়ে ফেলে। কিন্তু এর পরেই আমাদের ইয়াংস্টার তানজিম হাসান সাকিবের বলের তাণ্ডবে যেন পাত্তাই পেল না নেপাল বাহিনী। ২য় ওভারেই ২টি উইকেট নিয়ে নেপালকে চিন্তায় ফেলে দেন তানজিম। বোলিং পিচ হওয়ার কারণে তার বল যেন নেপালের কাছে এক বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ায়। এর পরের ওভারে তাসকিনের বল একটু বুঝে খেলতে পারলেও পরবর্তীতে তানজীম শিকার করেন আরও দুটি উইকেট। মাত্র ৪ ওভার বল করে ৭ রানের বিনিময়ে ৪ টি উইকেট নিয়ে নেয়।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
এত স্বল্প টার্গেটেও বাংলাদেশ যেন আশার আলো দেখতে পায়। একটু একটু করে ম্যাচ এগোতে থাকে। ৫ম উইকেটে গিয়ে ভালো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে নেপালের কুশাল মাল্লা এবং ডি.এস আইরি। বাংলাদেশের জন্য দূর্ঘটনার কারণ হতে পারতো এই জুটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পড়েই মুস্তাফিজের বলে কাবু হয়ে সাজ ঘরে ফিরলেন কুশাল মাল্লা। তারপর ডি. এস আইরি খেলার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারলেন না। বাকীরা যেন আসলেন আর গেলেন। বৃষ্টির মতন বাকী উইকেটগুলো হারিয়ে ১৯ ওভার ২ বলে নেপালের সংগ্রহ হলো ৮৫ রান।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
জিতে গেলো বাংলাদেশ। আজকের খেলায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন তানজিম সাকিব। বল হাতে তার জ্বলে ওঠার কারণেই অল্প রানের টার্গেটেও বাংলাদেশ বিজয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছে এবং জায়গা করে নিয়েছে সুপার ৮ এ।
ব্যাটিংয়ের পর ভেবেছিলাম আজ বোধ হয় আর জেতা হলো না। কিন্তু অবশেষে শেষ রক্ষা হলো। বাংলাদেশ একটি অনিশ্চিত ক্রিকেট দল। এদের মতি গতি বোঝা বড় দ্বায়। জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়া এবং হারা ম্যাচ জিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এদের জুড়ি মেলা ভাড়। সুপার ৮ এ সব বাঘা বাঘা টিমের সাথে খেলা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখন ইন্ডিয়া, অস্ট্রলিয়া এবং আফগানিস্তান। দেখা যাক কি হয়। বাংলদেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। যদিও বাংলাদেশের ম্যাচটা দেখিনি তবে আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম পুরো ম্যাচটা সম্পর্কে। বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট এর আরও এক ধাপ অতিক্রম করেছে এটা অনেক সম্মানের। আমি চাই দল আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরভাবে সব কিছু উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল। আশা রাখি আপনি আপনার পরিবারের সাথে খুবই সুন্দর করে আজকের দিনটি উপভোগ করেছেন এবং করবেন। যাই হোক সকালবেলা আমরা যখন নামাজে গিয়েছিলাম তখন অনেক মানুষ খেলা দেখতে দেখতে নামাজ শেষ করে এসেছিল। তাদের মুখ থেকে শুনছিলাম বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তবে আপনিও এখানে তাই বলেছেন।
এবং এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো যে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম আজ যেতে গিয়েছে এবং আশা রাখি পরবর্তীতে তারা অনেক ভালো খেলবে তাদের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।
ক্রিকেট খেলা মানে অন্যরকম একটা আনন্দ। সবাই মিলে খেলা দেখার মাধ্যমে সুন্দর মুহূর্ত পার করা যায় বেশ ভালোই লাগে। তবে প্রথম অবস্থায় আপনার খেলার রিভিউ পড়ার পর, আমার নিজের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানতে পারলাম নেপালের সাথে বাংলাদেশ জিতে গিয়েছে, জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ চমৎকার ফুলার রিভিউ আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।