ইটভাটায় বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
প্রথমে সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে ইটভাটায় বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবারই ভালো লাগবে।
আমার পরিচিত এক ভাইয়ার একটি ইটভাটা রয়েছে।সেই ইটভাটায় আমাদের দুজনকে একদিন আমন্ত্রণ করেছিল। ইটভাটায় বেরিয়ে আসার জন্য। আমরা দুজনে মিলে ভাইয়ার ইটভাটা বেড়াতে যাই।
আমার সেই পরিচিত ভাই ইটভাটাই থাকে। ইট ভাটার মালিক হওয়া সত্বেও ভাইয়া ইট ভাটায় থাকে।ইটভাটায় সে অনেক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে নিয়েছে। ভাইয়ার একটা সুন্দর ঘর আছে সেখানে। ঘরের ছাদে কবুতর থাকার জন্য সুন্দর করে ঘর বানিয়ে নিয়েছে।
ভাইয়ার অনেকগুলো কবুতর রয়েছে। কবুতরগুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। ভাইয়া কবুতরগুলোকে অনেক যত্ন করে থাকে। ওদেরকে খাবার দেয় ভাইয়া নিজেই। ভাইয়া যখন কবুতরগুলোকে খাবার দেয়ার জন্য ডাক দেয় সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
ভাইয়ার ইটভাটার জায়গাটা অনেক সুন্দর। আশেপাশে অনেক জায়গা জুড়ে রয়েছে অনেক সুন্দর দৃশ্য। ইটভাটার পাশে একটি বটগাছ রয়েছে। বট গাছের গোড়ায় বসার জন্য সুন্দর করে গোরা বাধাই করা রয়েছে।
রাতের বেলাও জায়গাটা অসাধারণ লাগলো। জায়গাটায় বসে গল্প করতে ভালই লাগলো।
ভাইয়ার ইটভাটায় অনেকগুলো হাসো ছিল। হাঁস গুলো দেখতেও সুন্দর লাগছিল।হাঁসগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে আর খেলা করছিল পানিতে।
আমরা সেদিন দুপুর থেকে রাত অব্দি ইট ভাটায় ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে ইটভাটা দেখতে অসাধারণ লাগছিল। সন্ধ্যার আকাশে ইটভাটা।
ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছিলাম আমরা ইটভাটায় বিকেল বেলায় রংধনু দেখতে পাই আমি সেই সময় একটা ছবি তুলে ফেলি।
রাতের বেলায় ইটভাটার দৃশ্য আমার কাছে অসাধারণ লাগছিল। সামনে কিছু পানি তার মধ্যে ইটভাটার লাইট গুলোর আলো পড়েছে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল।
রাতের বেলা ভাইয়ার ঘরটাও অনেক সুন্দর লাগছিল। কারণ রাতের বেলায় ঘরের যে লাইট গুলো জ্বালানো হয়েছিল তাতে ঘটার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছিল।
ভাইয়ার ইটভাটায় অনেকগুলো তার নিজস্ব ইট সরবরাহ করার জন্য নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে রেখেছিল দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল ইটভাটার মধ্যে।
ইটভাটায় যাওয়ার জন্য রাস্তাটা অনেক সুন্দর। পাকা রাস্তা থেকে নেমে গিয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে যেতে হয়। রাস্তাটার চারিদিক অনেক সুন্দর লাগছিল।
তারপর আমরা রাতের বেলা ইটভাটায় যেখানে ইট পোড়ানো হয় সেখানে গেলাম। গিয়ে আমরা প্রথমে ওখানে একটু বসলাম। ওখান থেকে চারিদিক দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।
তারপর আমরা ইটভাটার ইট পোড়ানো দৃশ্য দেখলাম। কিভাবে ইট পোড়ানো হয় সেটা আমরা সেখানে দেখে ভালোভাবে বুঝতে পারলাম।
ইটভাটার মধ্যে ইট পোড়ানোর জন্য সেখানে কর্মরত লোকজন গুলোর থাকা খাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। ইট পরানোর কাজের লোকগুলো ইট পোড়াতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। যেটা আমরা বুঝতে পেরেছি তাদের কাছাকাছি গিয়ে।
সব মিলিয়ে ইটভাটা টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। রাতের বেলায় অসাধারণ লাগে এই ইট ভাটাটা। সব মিলিয়ে ইট ভাটাটার সবকিছুই অসম্ভব সুন্দর।
বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ করছি। আবারোও অন্য কোনদিন অন্য কিছুর অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। এ পর্যন্তই আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ইট ভাটার আশেপাশে ঘুরতে ভালোই লাগে। আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে ভাটা আছে, তার আশেপাশে যাই বাট ভেতরে যাই না, কেমন যেন ভয় ভয় লাগে। যাইহোক, মনে হচ্ছে সময়টা খুব সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন। আপনার উঠানো পিকগুলোও অসাধারণ ছিলো। ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
আপনার ইটের ভাটায় ঘোরাঘুরির গল্পটা বেশ মজাদার ছিল পরিবেশ ভালো লাগলো।
তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলি ও ছিল অসাধারণ।
আমাদের এখান থেকে একটু দূরেও একটা ইটের ভাটা রয়েছে। তবে সেটা এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। তাই কেউ আর এখন ওখানে ঘুরতে যায় না। তবে সেখানে আমরাও ঘুরতে যেতাম ছোটবেলা।