বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তাওলার অশেষ রহমতে সুস্থ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং ভালবাসায় আমি সুস্থ আছি ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে শুরু করলাম তা হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে চলুন শুরু করা যাক।
আপনারা সবাই জানেন বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ নবীনগরে অবস্থিত। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহিত মুক্তিযোদ্ধা ও বেসামারি বাঙালি এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
আপনারা সবাই জানেন এটি বাংলাদেশের সাভারের নবীনগরে অবস্থিত। এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থাপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন এর নিবেদিত, একটি স্মারক স্থাপনা করা হয়েছে।
আপনারা সবাই জানেন এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের গণ কবর রয়েছে দশটি। আমরা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই বিদেশ থেকে কোন রাষ্ট্রনায়ক বা অতিথি আসলে আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমন করেন।
১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা আরিচা মহানগর এর পাশে নবীনগরে স্মৃতিসৌধের শিলা বিন্যাস করেন।
১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং নকশা আহবান করেন। আমার জানামতে ৭৮ টি নকশার মধ্য সৈয়দ মাইনুল হোসেনের নকশাটি গৃহীত হয়। স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
এবং ১৯৮২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফিট। এটি দেখতে ত্রিভুজ আকৃতির মত এটি সাতটি অংশ নিয়ে গঠিত।
প্রত্যেকটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা আন্দোলনকে নিদর্শন করে থাকে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধা।
আমি এখানে এসে অনেক কিছু দেখতে পেলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধের কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে জলাশয় এবং পাক বাহিনীর নির্মাতার নিদর্শন বধ্যভুমি, জলাশয়, এছাড়াও রয়েছে বাগান, জলাশয় বৈচিত্র্যময় সেই সাথে রয়েছে জাতীয় ফুল শাপলা, দেখতে অনেক ভালো লাগছে।
আমি আমার এক ভাইকে নিয়ে গিয়ে ছিলাম, এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখতে, দেখে মনে হলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধাদের কথা, তারা তাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের এই সোনার বাংলা, মায়ের ভাষা আমাদের উপহার দিয়েছেন।
আমি এখানে দারিয়ে নিজেকে অনুভব করতে লাগলাম। আমি এখানে আজ স্বাধীন দেশে গুরে- বেড়াচ্ছি অথচ এই সোনার বাংলাদেশে।
একমাত্র এই মহান মুক্তিযুদ্ধা দের জীবন ত্যাগের বিনিময়ে। তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তারা যেন জান্নাতুল ফেরদৌস পান সৃষ্টি কর্তার কাছ থেকে।
আমি আমার বড় ভাইকে নিয়ে স্মৃতিসৌধ সমস্ত কিছু দেখলাম। পরিশেষে আমি বলতে পারি আমি গর্ব করি আমি বাঙালি বলে।
আমাদের এই স্মৃতিসৌধে দিনে হাজারো মানুষের ডলনামে। সবাই এই স্মৃতিসৌধ দেখার জন্য দেশর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে থাকে।
পরিশেষে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি, মহান আল্লাহতায়ালা যেন তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
বন্ধুরা আজ আমি এখানেই আমার লেখা শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই আশা করেই আমি আপনাদের কাছে থেকে বিদায় নিচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme c11 |
Camera | 13MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shahinalam12 |
I don't really understand your language, but I want to wish you thousands of blessings, since I started Steemit I am very happy with life, a thousand blessings to you.
দারুন ভাই দারুন প্রথমেই জানাই বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ কে অনেক অনেক সম্মান ও ভালোবাসা ৷ আমাদের দেশের গর্ব এই স্মৃতিসৌধ ৷ মহান বিজয় দিবসে হাজারো মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি আমরা ৷ আপনার পোস্ট টি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ৷
আপনাকে ও ধন্যবাদ জানাই, আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য, আপনি ইত পূর্ব জেনেছেন আমাদের এই স্বাধীন দেশ তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের পেয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনেক সুন্দর সেখানে আমিও ঘুরতে গিয়েছিলাম।
আমরা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা ওখানে ছিলাম সবাই মিলে মজা করেছিলাম ফুচকা খেয়েছিলাম।
আজকে আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে আমার সেদিনকার কথা মনে পড়ে গেল। আপনি খুবই সুন্দর একটা প্রশ্নের সাথে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে ও ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য। আমার মনে হয় আমাদের সব বাঙালিদের এখানে একদিন হলেও যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি, কানো না আমাদের এখানে গেল মহান মুক্তিযুদ্ধাদের কথা বীর উত্তম বীর চেষ্ট, সবার কথায় মনে পড়ে। তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
হ্যা ভাই, আমিও ৪ বসর আগে গিয়েছিলাম এখানে। তারপর আর যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টে আবারও দেখতে পেলাম স্মৃতিশোধ টা।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন, এখানে মুকযোদ্ধা রা শায়িত আছেন। তাদের জন্য প্রান ভরে দোয়া ছারা আর কিছু নেই। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপহার করেছেন পাশাপাশি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আমিও স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলাম কিন্তু খুব ইচ্ছে ছিল যে স্মৃতিসৌধের ভিতরে প্রবেশ করার কিন্তু সন্ধ্যার সময় গিয়েছিলাম তাই গেট লক করা ছিলো। কারন জানতাম না যে স্মৃতিসৌধের সন্ধ্যার পরে ঢুকতে দেয় না কিন্তু কি করব তখন স্মৃতিসৌধের আশপাশে দিয়ে ঘুরে চলে আসছিলাম কিন্তু তুমি তো ভালই স্মৃতিসৌধের ভিতরে গিয়ে অনেক ছবি তুলেছ এবং স্মৃতিসৌধের অনেক বর্ণনা দিলে তা দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং তোমার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম স্মৃতিসৌধের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দশটি কবর রয়েছে তাই তোমার পোস্টটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম তাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবে ছোট ভাই
দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন পুরো ব্যাপারটা, সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।