বাংলার কৃষকের পরিশ্রমের সোনালী ফসল।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
হ্যালো বন্ধুরা,,, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। গ্রাম বাংলার কিছু অপরূপ সৌন্দর্য ও গ্রামের মানুষের কষ্টের কিছু ফসল উৎপাদন কিভাবে করে সেই বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে শুরু করলাম,,,,
আমরা সবাই জানি বাঙালী মাছে ও ভাতে বাঙালী। আমরা সবাই নিজেদের ফসল নিজেরাই উৎপাদন করে থাকি,,,নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে রপ্তানি করে থাকি।
আমরা বাংলাদেশের মানুষ মাছে ও ভাতে বেশি প্রিয়। মাছ আমরা নদী নালা খাল-বিল পুকুর ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করে থাকি। বাংলাদেশকে নদ নদীর দেশ বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ভিতরে সবচেয়ে বড় বড় কয়েকটি নদী গুলোর মধ্যে রয়েছে পদ্মা,,, মেঘনা,,, যমুনা,,, ধানসিড়ি মধুমতি এছাড়াও আরো অনেক অনেক নদ নদী দিয়ে ভরপুর বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য মাঠঘাট।
আমরা যেমন অতি সহজেই নদ নদী খাল বিল থেকে মাছ সংগ্রহ করে থাকি,,, পক্ষান্তরে অতি সহজে ধান কিংবা গম ইত্যাদি ফসল অতি সহজে উৎপাদন করতে পারি।
কারণ বাংলাদেশের মাটি অত্যান্তই উর্বর প্রকৃতির মাটি। মাটি উর্বর হওয়ার বেস কয়েকটি কারণ রয়েছে বাংলাদেশের। এখানে অতি বৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি কোনটাই তেমন হয় না,,, এই অতি বৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি ফসলের জন্য অত্যন্তই মারাত্মক কারণ ফসল উৎপাদন হতে পারে না,,,,
যেহেতু বাংলাদেশের সঠিক পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে সেই সাথে বাংলাদেশের সঠিক মৌসুমে সঠিক সময়ে বর্ষা হয়ে থাকে। আর বর্ষার মৌসুমে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পলি মাটি কৃষি জমিতে পড়ে থাকে।
বাংলাদেশে এখন প্রধান কৃষি ফসল ধান উৎপাদন এর মৌসুম। বাংলাদেশ এ প্রধান ফসল হলো ধাম,,এই ধান উৎপাদন হয়ে থাকে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্যমাসে এই সময় ধান কৃষক জমি থেকে ফসল বাড়িতে নিয়ে আসে উৎপাদন করে।
ধান উৎপাদন এই বছরে বেস ভালো হয়েছে যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন,,,কারন এই বছরে এখন পর্যন্ত কোন শিলা বৃষ্টি ঝর ইত্যাদি ইত্যাদি ফসলের উপর এসে পড়ে নি।
ধান উৎপাদন জন্য আমাদের বেস কিছু প্রদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে। যেমন ধান উৎপাদন এর জন্য আমরা প্রথমে বিজ তলা তৈরি করি ধানের বীজ তৈরি করার জন্য। বীজ তলা তৈরি করি কাদা যুক্ত মাটিতে কারন যেন ধানের বীজ গুলো পুষ্টি সম্পন্ন হয়ে থাকে,,, এছাড়া ও বিভিন্ন ভাবে ধানের বীজ তৈরি করা হয়ে থাকে,,,
এই বীজ গুলো রোপনের পূর্বে বীজ তলা থেকে বীজ তুলে ফেলা হয়,,, এবং একটি নিদিষ্ট সময়ে এর মধ্যে ধানের বীজ ধানের জমিতে রোপন করা হয়ে থাকে,,,,
চারা রোপন এর বেস কিছু দিন পর ধানের জমিতে নিরানী এবং নিদিষ্ট পরিমানে গোবর সার এবং ইউরিয়া সার দেওয়া হয়ে থাকে। যেন বীজ গুলো সুন্দর ভাবে ধানের জমিতে লেগে যায় এবং পুষ্টি গুনাগুন সম্পন্ন হয়।
এছাড়া ও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিরনী,,সার,,এবং পরিচর্যা করা হয়ে থাকে,,,, এবং এই ধানের জমিতে সঠিক পরিমানে পানি সের্চ দেওয়া হয়ে থাকে,,,,পানি দেওয়া হয়ে থাকে ধানে সঠিক পরিমাণে চাউল আসা পর্যন্ত।
এর পর কৃষক তার অতি কষ্টের সোনালী ফসল তার ঘরে তুলে থাকেন,,, এই ফসল তুলে তাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে রপ্তানি করে থাকে,,,
ফসল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকেন কৃষক। কৃষক ধান উৎপাদন করে দেশের ভিন্ন ভিন্ন পেষা জীবী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতা করে থাকে,,,,
এদেরকে দেশের ফ্রিডম ফাইটার্স বলা যায়,,,কারন এরা একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে,,,, কিন্তু তাদের পাপ্প মুজুরী কিন্তু আমরা দেই না,,,,
কৃষক যে দু মোঠো ভাত সবার জন্য যোগাচ্ছে এত কষ্ট করে রোদ বৃষ্টি কত না কষ্ট আমরা কি তাদের পাপ্প মুজুরী দিয়ে থাকি,,,,
আমি আপনাদের মাঝে একটি বিষয় শেয়ার করি,,,,আমরা পানি,, মাম,, যায় বলি না কেনো আমরা রাস্তায় বের হলে হাফ লিটার পানি আমরা বিশ থেকে ত্রিশ টাকা দিয়ে ক্রয় করে পান করে থাকি,,,,,
আমি কিছুটা অবাক হই এজন্য যে এই পানি প্রক্রিয়া জাত করতে কোম্পানি শুধু মাত্র একটি বোতল রেড়ি করতে হয়েছে,, পানি তো প্রকৃতির দান এখানে একটি বোতল তৈরি করতে কোম্পানির মাত্র কয়েক পয়শা খরজ হয়ে থাকে,,, অথচ এই পানি এত টাকা দিয়ে ক্রয় করি,,,,,
আর এদিকে কৃষক ধান রোপন করা থেকে শুরু করে বাড়িতে নিয়ে আসা পর্যন্ত তাদের যে কঠোর পরিশ্রম মেহনত এগুলো কথা বাদ দিলাম তাদের কি আমরা পাপ্প মুজুরী দিচ্ছি ,,,,কখনোই পাচ্ছে না এটাই গরিবের প্রতি বৈষম্য।
আমরা আবার কেউ কেউ তো কৃষকে নানা ভাবে অপমান করে থাকি,,তাদের কষ্টের মেহনতী টাকা না দিতে পারলে ও তাদের অপমান না করি,,,,তারা বেঁচে আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি,,,,
আমাদের উচিত তাদের যথাযথভাবে মুজুরী না দিতে পারলে ও তাদের অপমান না করা,,, সম্মান টুকু করি,,,,কারণ তারা আমাদের ফ্রিডম ফাইটার্স,,,,
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার লেখা আজকে এখানেই শেষ করলাম। আসসালামু আলাইকুম,,,,,
Device | Name |
---|---|
Android | Redmi |
Camera | 10c camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shahinalam12 |
দারুন লিখেছেন ভাই আপনার পোস্ট টি পড়ে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে ৷ আপনি মাঠ খাল বিল নদী নিয়ে যে সব তথ্য আপনার পোস্টে শেয়ার করেছেন আসলেই এখান থেকে অনেক কিছু বুঝার রয়েছে ৷ আর সোনালি ফসল বাংলার কৃষকের একটি সোনার খনি বলা যায় ৷ তারা পরিশ্রম করেই তবে এই সোনালি ফসলের দেখা মিলে ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি ৷
আপনি পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,,,ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসলে বাঙ্গালী কৃষকের শ্রমের সোনালী ফসল অনেক সুন্দর হয়েছে এবং আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সেগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,,,,?
কৃষক আমাদের গর্ব তারা আছে বলে আমরা এক কথায় বলতে বেঁচে আছি তাদের প্রতি আমার আন্তরিকতা ভাবে ধন্যবাদ জানাই পাশাপাশি আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর সোনালী ফসলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে ও ধন্যবাদ ভালো থাকবেন,,,?
সোনালী ফসলি মাঠগুলো ভরে গিয়েছে বর্তমান মৌসুমে। কৃষকের মনে হাসি ফুটেছে, বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি সোনালী ফসল ধান।
এই মৌসুমগুলোতে ধান উৎপাদিত হয় সবচাইতে বেশি। বাংলাদেশের এই মাটি যেন অনেক উর্বর। পলি মাটি সবচাইতে বেশি কৃষি জমিতে থাকার কারণে ফসল উৎপাদিত হয় সবচাইতে বেশি। যেমন ভাবে আপনি উল্লেখ করেছেন।
আমরা কৃষকদের প্রাপ্য মূল্য না দেওয়াতে তাদেরকে অপমান এবং তাদের কঠোর পরিশ্রমকে অপমান করা হয় অবমূল্যায়ন করা হয়। আমাদের উচিত তাদেরকে প্রাপ্য মূল্য দেওয়া এবং তাদেরকে সম্মান দেওয়া।
ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনের জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের কৃষকেরা অনেক কষ্ট করে ফসল বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে তারা ফসলায়। কিন্তু দামের বেলায় তারা সেই হিসেবে মূল্য পায়না অর্থাৎ ন্যায্য দাবি পায়না। এই বছরের প্রথম দিকে দেখা গেল ধানের দাম ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গিয়ে ছে কিন্তু যখন শুরু হল ধান কাটা তখন হতে আবার ধানের দাম কমে গিয়েছে। তাই কৃষক সব হতাশ হয়ে পড়েছে কারণ অনেক টাকা খরচ করে ফসল ফলায় কিন্তু তারা ন্যায্য মূল্য পায় না বাংলার কৃষক আজ অবহেলিত লাঞ্ছিত। তাই আমাদের উচিত কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়া এবং কৃষকের কাজকে সম্মানের চোখে দেখা। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই,,, আপনি সুন্দর ভাবে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য,,, কৃষক আমাদের দেশের ফ্রিডম ফাইটার্স,,, তারা আমাদের দেশের উন্নয়ন এ বিশাল ভূমিকা রাখে সব সময়।