নিম গাছের উপকারিতা।
হ্যালো বন্ধুরা,, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিম গাছের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
Source
আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন ঔষধি গাছ রয়েছে। ঔষধি গাছ বললে আমরা অতি সহজে একটি গাছ চিনে থাকি সেটি হচ্ছে নিম গাছ। নিমগাছ একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ।
বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ঔষধি গাছ হিসেবে সেই প্রাচীন যুগ থেকে নিমগাছ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
এখন আশি নিমপাতার উপকারিতা বিষয় নিয়ে,, নিমপাতায় রয়েছে হাজারো ঔষধি গুণ। নিমপাতায় ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে নিমপাতা খুবই কার্যকর।
নিম এমন একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিমপাতা বেটে পেস্ট করে ক্ষত স্থানে লাগালে দ্রুত তা সেরে যায়। এছাড়াও কীট পতঙ্গ কামড়ে ক্ষত স্থানে নিমপাতা খুবই কার্যকর হিসেবে কাজ করে।
Source
খুশকি তাড়ায়,,? নিমপাতার সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না পানি নীল হচ্ছে। এরপর পানি ঠান্ডা করুন। চুলে ভালোভাবে শ্যাম্প দিয়ে চুল পরিস্কার করার পর এই পানি চুলে ব্যবহার করুন। এভাবে বেস কয়েক দিন ব্যাবহার করুন।
নিমপাতা চোখের সমস্যা দূর করে। নিমপাতা পানিতে সেদ্ধ করে,, সেই পানি ঠান্ডা করে চোখে লাগানো হলে চোখে লালচে ভাব দূর হয়। ব্যর্থা নাশক হিসেবে কাজ করে।
নিমপাতা আরো বিশেষ গুণ রয়েছে যেমন ব্রণ দূর করে। নিমপাতা বেটে পেস্ট করে ব্রণ এ লাগালে দ্রুত তা সেরে যায়। যতদিন ব্রণ না শুকোচ্ছে এভাবে নিমপাতা ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও নিমপাতা কানে ব্যথা হলে নিমপাতা ব্যবহার করলে কানে ব্যথা নিরাময় হয়। ত্বকে কোনো সমস্যা হলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা চূর্ণ করে প্রতিদিন পানির সাথে মিশিয়ে সেই পানি সকালে বেলা পান করলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
Source
এছাড়াও নিমপাতা চুলকানি ও চর্মরোগ দূর করে। সেক্ষেত্রে নিমপাতা বেটে পেস্ট করে চুলকানি স্থানে লাগাতে হবে। এভাবে বেস কয়েক দিন লাগালে চর্মরোগ ভালো হয়ে যাবে।
নিমপাতার উপকারিতা
কফ জনিত বুকের ব্যথা দুর করে নিমপাতা।
মাথায় উকুন থাকলে নিমপাতা ব্যবহার করেলে উকুন দুর হয়।
পোকামাকড় কামড়ের ব্যথা দূর হয়।
জন্ডিসের ভালো কাজ করে।
নিমপাতা দাঁত মজবুত করে।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ এ রাখে।
নিমপাতা দিয়ে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে চর্মরোগ দূর হয়।
এছাড়াও আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন ঔষধি গাছ রয়েছে। যেমন স্বর্নলতা, থানকুনি, ধুতরা, দূর্বাঘাস, লজ্জাবতী, জবা, অর্জুন গাছ, বাসক, কালোকেশী, তুলসী, হলুদ, সজনে, আমলকী, ঘৃতকুমারী, মেথি, পাথরকুচি ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রিয় বন্ধুরা উপরে যে সমস্ত ঔষধিগাছের নাম বলা হয়েছে এগুলো আমাদের অধিকাংশ মানুষের চেনা পরিচিত গাছ।
এই ঔষধি গাছ গুলোতে অনেক অনেক উপকারীতা রয়েছে। আমলকী খেতে তেতু লাগলে ও এটি মুখে রুচি এবং মাথার চুলের বেস উপকারী। কালোকেশী হাত পা কেটে গেলে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিলে বেস ভালো উপকার পাওয়া যায়।
Source
এছাড়াও তুলসীপাতা বিভিন্ন রোগের গাছ হিসেবে চিনহৃিত। যেমন ছোট একটি রোগের নিরাময় এর কথা বলি ঠান্ডা, গলা ব্যথা জনিত কারণে তুলসী পাতা রস করে পান করলে অতি দ্রুত গলা ব্যথা দূর হয়ে যায়।
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের ঔষধি গাছ নিয়ে লেখা ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
আমাদের প্রকৃতিতে যত ধরনের গাছ রয়েছে তার মধ্যে নিমপাতা ঔষুধি গাছ হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই গাছের ক্ষমতা অন্যান্য ঔষুধি গাছের চেয়ে অনেক দিগুন রয়েছে এই নিম পাতা ও নিম গাছের ৷
তাছাড়াও আপনি নিম পাতার বেশ কিছু উপকারিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ৷ আর এই উপকারিতা অবশ্যই আমাদের অনেক সাহায্য করে থাকবে ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷