দীর্ঘদিন পর গ্রামের উদ্দেশ্যে বের হলাম।

in Incredible Indialast year

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি সুস্থ আছি মহান রবের দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়গুলো লিখতে শুরু করলাম সে বিষয়টি হচ্ছে দীর্ঘদিন পরে বাড়ি ফেরা।

received_612343994093794.jpeg

আমি আপনি সবাই কোনো না কোনো কর্মক্ষেত্রে শহরে কিংবা দূরবর্তী স্থানে বসবাস করি। কিংবা কেউ পড়াশোনা করার জন্য দেশে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত আছি।

কর্মক্ষেত্র হোক আর পড়াশোনা ক্ষেত্রেই হোক যে কোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন আমাদের দীর্ঘদিন প্রাণের গ্রাম, শহর, দেশ ছেড়ে থাকার কারণে আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে একটা শূন্যতা থেকে যায়।

আর সে শূন্যতার বিষয়গুলো হচ্ছে প্রাণের গ্রাম, শহর, দেশ, মা-বাবা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ইত্যাদি নিজের পরিবার থেকে দূরে থাকলেই কেবল বুঝতে পারা যায় শূন্যতা কেমন।

তা আমি এবং আপনাদের সবারই জানা, কারণ আমি এবং আপনার সবাই কোন না কোন কর্মক্ষেত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে অবস্থানরত আছি।

received_132991232933057.jpeg

আমার অবস্থানটা হচ্ছে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এখানে আমি একটি কর্মক্ষেত্রে বর্তমানে অবস্থানরত আছি।

আমি আমার পরিবার থেকে দীর্ঘ ছয় মাসের অধিক সময় ধরে আমার কর্মক্ষেত্র নিয়োজিত আছি। দীর্ঘদিন অবস্থান করার কারণে পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ইত্যাদি সবার কথা অত্যন্ত বেশি মনে পড়ে।

দীর্ঘদিন পরে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বেশ মনের ভিতর ভালোই লাগছে। কারণ অনেকদিন ধরে পরিবার বন্ধু বান্ধব এর সাথে দেখা হয় না।

received_2116855398504031.jpeg

আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে রওনা হচ্ছিলাম। এমন সময় দেখা হলে আমাদের সহপাঠীর সাথে তারাও কিনা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

ওদের সাথে দীর্ঘদিন পরে দেখা হল দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে বিরতি দিল। বিরতিটা দিয়েছিল ঠিক আছর নামাজের সময়।

সবাই নামাজ-কালাম পড়ে, গাড়িতে উঠলাম। বাস চালক বাস স্টার্ট করলেন। বাসের ভিতরে থাকা প্রিয় সহপাঠীর সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনা করলাম।

received_236761242244000.jpeg

আজকে বাড়ি ফেরা যেন আনন্দ সাথে হচ্ছে, কারণ ওদের সাথে বেশ মজা করছিলাম বাসের ভিতরে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। কে কি করছে সে বিষয় নিয়ে বেশ কথোপকথন হলো।

আমাদের তিনজনের বাসা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হওয়ার কারণে, মাঝপথে আমরা গাড়ি পরিবর্তন করলাম। আমরা কেউ বাসে উঠলাম কেউ সিএনজি কেউ অটোরিকশা। যার যে রূপ প্রয়োজন সে সেই গাড়িতে অবস্থান করলেন।

received_3030776227224926.jpeg

আমার বাসা যেহেতু উত্তরবঙ্গে সেহতু আমি আমার উত্তরবঙ্গের গাড়িতে উঠলাম। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর। আমাদের এলাকার বাসস্ট্যান্ড নামলাম। ততক্ষণে বেশ আকাশটা অন্ধকারের ছেয়ে গেছে।

এখান থেকে রওনা হলাম সিএনজি করে আমার নিজ উপজেলা সেখান থেকে আমার প্রানের সেই চিরোচেনা গ্রাম। গ্রামে নামতেই যেন মন প্রান ভরে গেল। যদিও অন্ধকারে চারদিকে ছেয়ে গিয়েছিল।

প্রিয় পাঠকগণ ও প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই বাড়ি ফেরার গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

তো বন্ধুরা আজ আর লিখেছি না,এখানেই শেষ করলাম সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

DeviceName
AndroidRealme c11
Camera13MP camera
LocationBangladesh 🇧🇩
Short by@shahinalam12
Sort:  
 last year 

হুম গ্রামে আসার মজাই অন্যরকম ৷ যদিও আমি বাইরে থাকি না গ্রামের বাড়ি আসার আনন্দ তেমন ভাবে উপভোগ করতে পারি নাই ৷

তবে অনেক জনে গ্রামে বাড়ির আসার আনন্দ টা সবাই উপভোগ করে থাকে ৷ তাই আমি ও কিছুটা অনুভব করে থাকি গ্রামের বাড়ি আসার আনন্দ টা ৷

যাই হোক ভাই আপনি আপনার যাত্রা অনেক শুভ হোক এই কামনাই করি ৷ ভালো থাকবেন ভাই ৷

#miwcc

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর ভাবে পড়ার জন্য।
গ্রামের বাড়ি আসতে কার না ভালো লাগে, কারন দীর্ঘদিন বাহিরে থাকার কারণে , গ্রাম এবং গ্রামের মানুষকে বেশি মিস করাটাই স্বাভাবিক এবং গ্রামকে ভালোবাসাটাই স্বাভাবিক।

 last year 

আমি আপনি সবাই কোনো না কোনো কর্মক্ষেত্রে শহরে কিংবা দূরবর্তী স্থানে বসবাস করি। কিংবা কেউ পড়াশোনা করার জন্য দেশে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত আছি।

আপনি তো দেখা যাচ্ছে চাকরির সুবাদে শহরে থাকেন। কিন্তু আমরা যারা মেয়েরা আছি। তারা তো বিয়ের পরেই বাবা-মার বাড়ি নিজের গ্রাম। সবকিছু ছেড়ে পরের বাড়িতে চলে আসতে হয়। তাদের মধ্যে কতটা শূন্যতা কাজ করে, সেটা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।

আমি আমার পরিবার থেকে দীর্ঘ ছয় মাসের অধিক সময় ধরে আমার কর্মক্ষেত্র নিয়োজিত আছি। দীর্ঘদিন অবস্থান করার কারণে পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ইত্যাদি সবার কথা অত্যন্ত বেশি মনে পড়ে।

দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধু-বান্ধব পরিবার সবার কাছ থেকে দূরে থেকে। সবাইকে এখন আপনার বেশ মনে পড়ছে। আসলে এটাই স্বাভাবিক। প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে দূরে থাকা যায়। কিন্তু এত বেশি দূরে থাকা যায় না। যাতে করে তাদের না থাকার অনুভূতি, আমাদেরকে অসহায়ের মত নিজের কাছে মনে হয়।

আসলে আপনি বাড়ি আসতেছেন এটাই হচ্ছে আপনার সবচাইতে বড় আনন্দ। আর সেই আনন্দের কারণেই আপনি আপনার সহপাঠীদের সাথে, বেশ ভালো একটা সময় পার করেছেন।

আপনাদের একেক জনের বাড়ি একেক জায়গায়। আর ঠিক সেই অনুযায়ী, সবাই যার যার মত করে গাড়ি নিয়ে নিয়েছে।

গ্রামে নামতেই যেন মন প্রান ভরে গেল। যদিও অন্ধকারে চারদিকে ছেয়ে গিয়েছিল।

একদমই ঠিক বলেছেন, আমাদের সেই চিরচেনা আমাদের গ্রামে আমরা যখন পা রাখি। তখন প্রথম নিঃশ্বাসটা নিতে গিয়ে মনে যে প্রশান্তি অনুভব করি। সেটা হয়তো বা কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়।

আপনি গ্রামে গিয়ে বেশ আনন্দ করবেন এটাই কামনা করছি। আর আপনার গ্রামে যাওয়ার সময়ে আনন্দ অভিজ্ঞতাটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

#miwcc

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66705.81
ETH 3626.46
USDT 1.00
SBD 2.93