প্রথম বছরের শুরুতে কাল বৈশাখী ঝর।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বৈশাখী ঝড় নিয়ে লিখতে শুরু করলাম।
বৈশাখ মাসে বৈশাখী ঝর আমাদের মাঝ দিয়ে বয়ে গেল। বৈশাখী ঝর আমাদের কারো কাছে শুনতে ভালো লাগলে ও কৃষকের জন্য এখন এই ঝর অত্যন্ত কষ্টের। কৃষক এখন তার কৃষি জমির ফসল এখন তার ঘরেতে তুলবে। এই বৈশাখ মাসে ঝর হয়ে থাকে তা আমরা সবাই জানি।
এই ঝরে কৃষকের অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমের ফসল নিমেষে নষ্ট করে দিতে পারে এই কাল বৈশাখের ঝড়। যেহেতু বাংলাদেশে এখন কৃষির মৌসুম এখন প্রায় সব বিভাগে এই বোরো ধানের উৎপাদন করা হয়েছে। এই ধান কৃষকের ঘরে তোলার উপযোগী হয়ে গেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ। এদেশে সারা বছর কম বেশি ফসল উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈশাখ মাসে ফসল উৎপাদন করে থাকে,,, এবং শীতের মৌসুমে ও অনেক ফসল উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
শীতকালীন ফসলের মধ্যে রয়েছে সরিষা,,, আলু,,,পিয়াজ,,রসূন,, কাঁচা মরিচ এবং শীতের মৌসুমে বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদন করে থাকে বাংলাদেশের কৃষক।
বৈশাখ মাসে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ধান উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এই বৈশাখ মাসে ঝর এর পরিমাণ বেশি হলে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি হওয়ার সম্ভনা থাকে।
আমরা সবাই কম বেশি জানি বৈশাখী ঝরের সাথে সিলা-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে,,, আর একবার যদি সিলা-বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের কৃষকের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে।
সিলা বৃষ্টির কারণে যে শুধু ধানের ক্ষতি হয় এমন টা নয়,,,,বৈশাখ মাসে বাংলাদেশের আম,, এবং জাতীয় ফল কাঠেলের মৌসুম এ সময় বাংলাদেশে এই ফলের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।
সিলা-বৃষ্টির কারনে এই ফল মূল নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে,,, কারন সিলার আঘাতে ফল গুলো ঝরে পরে এবং সিলার আঘাতে পঁচে নষ্ট হয়ে যায়।
এখন প্রায় সমগ্র বিশ্ব অত্যন্ত প্রখর তাপদ্রাহ চলছে। আর আমরা সবাই জানি অতি বৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি দুটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতি কর। অতি বৃষ্টি হলে ও ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে তেমনি অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে।
অতি খরা আমাদের জন্য এবং ফুল-ফল এর জন্য হুমকির সম্পরুপ কারণ অতি খরা হলে পরর্বতীতে এই খরা অত্যন্ত কঠিন শিলাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বড় বড় দূর্যোগ এর হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অতি খরা আমাদের শুধু ফসলের জন্য ক্ষতি করে এমন টা নয় কারন আমাদের মানব দেহে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। অত্যন্ত রোদের কারণে মানুষ স্টোক ও করে থাকে,,, শ্বাসকষ্ট এর রগীর পরিমান বেড়ে যায়।
বৃষ্টি আমাদের জন্য যেমন প্রয়োজন অনুরুপ রোদ্রের ও প্রয়োজন,,,, বৃষ্টি আমাদের ফসল উৎপাদন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে,,,,কারণ বৃষ্টির পানি ফসলের জন্য পুষ্টি গুনাগুন হয়ে থাকে।
রোদ আমাদের মানুষের জন্য যেমন ভিটামিন ডি এর চাহিদা পরুন করে,,,অনুরূপ ফসলের বিভিন্ন উপকার বয়ে আনে,,,রোদের কারণেই ফসল উৎপাদন এবং উচ্চ ফসলের ফলন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আজকে আমাদের বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার অন্ততগত বেলকুচিতে এই ঝরো আবহাওয়া বয়ে যায়। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বেস ভালোই হয়েছে। অনেক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে যার কারনে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেছে। কারন অনেক গাছপালা বৈদ্যুতিক লাইন এর তার বিছিন্ন করে দিয়েছে।
আমাদের এলাকায় ঝর হলে যে প্রধান সমস্যার সম্মুখীন হই তা হলো লোডশেডিং,,, কারণ আমাদের যেহেতু গ্রামীণ জনপদ এলাকায় গাছপালা পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। একটু ঝরো হাওয়ায় বৈদ্যুতিক লাইন এর তার এবং পিলার ভেঙ্গে যায়।
এর কারনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,,,যেমন বলতে গেলে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস গুলো চার্জের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়,,,এমন কি ফসলি জমিতে পানি সেচ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অথাৎ সমস্যার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
এই কাল বৈশাখী ঝরের কারণে অনেক অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়,,, এই কাল বৈশাখী ঝরের কারণে অনেক বাড়ি ঘর ফসল ফলাদির ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছি না,,, আমার লেখা শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme c11 |
Camera | 13MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shahinalam12 |
ছোট ভাই কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে ভালো কথা বলেছো।
এই কালবৈশাখী মূলত এক ধরনের স্থানীয় বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়। বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অঞ্চলে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে এই বজ্রঝড় বেশী হতে দেখা যায়। গতকাল আমার এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে অনেক বাতাস ছিল এই বাতাসে দেখা গেছে অনেকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং গতকালকে আমাদের এলাকায় একজন মানুষ মারা গিয়েছে বজ্রপাতের দুর্ঘটনায় তাই দেখা যায় এই বৈশাখ মাসে প্রতি বছরই ঝড় বৃষ্টি হয়ে থাকে দেখা যায় অধিকাংশ এলাকায় কোন দুর্ঘটনায় হয়ে থাকে ।তাই আমাদের এই কালবৈশাখী ঝড় আসলেই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং বেশি বেশি মহান আল্লাহতালাকে স্মরণ করা উচিত কারণ বিপদ দেয়ার মালিক আল্লাহ এবং বিপদ থেকে রক্ষা করার মালিকও আল্লাহ । তাই ছোট ভাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে কালবৈশাখী ঝড় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবে।
#miwcc
আমাদের এলাকায় কাল বৈশাখীর ঝরের কারনে,,,অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক তার লাইন বিছিন্ন হয়েছে।
ঝরে এর কারণে অনেক জায়গা বজ্রপাত ও হয়েছে। অনেক ফসলের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এই ঝরের কবলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বেস বেশি হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমার পোস্ট পড়ে বৈশাখী ঝর নিয়ে মন্তব্য করার জন্য
#miwcc
কালবৈশাখী ছোটখাটো এক প্রকারের প্রকৃতিক দুর্যোগ। এর ফলে অনেক আবাদি ফসল নষ্ট হয়, ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। যেকোনো দুর্যোগ আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত। তাই এর মোকাবিলা করা আদৌও সম্ভব নয়। কিন্তু এইসময়গুলোতে সচেতনতা বেশি কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। দুর্যোগ ছোট হোক আর বড় হোক, সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
#miwcc
জি ভাইয়া দূর্যোগ মোকাবিলা করা যাবে না কিন্তু পূর্ব থেকে আমরা সচেতন হয়ে নিজেদের এবং বিভিন্ন ফসল পশু পাখি ইত্যাদি নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,,, দূরর্যোগ সম্পর্কে সচেতন মূলক কমেন্ট করার জন্য।
#miwcc
কালবৈশাখি নিয়ে আপনার লিখাটি অনেক চমৎকার ছিলো। আপনি আপনার লিখায় কৃষকের দুঃখ কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন। সেইসাথে কিসে আমাদের লাভ বা কিসে ক্ষতি হয় এসব উল্লেখ করেছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর লিখনির জন্য। ভালো থাকবেন।
এই বছরে কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার অনেক সম্ভবনা রয়েছে ৷ তার সাথে শীলাবৃষ্টি প্রবল আঘাত আনতে পারে ৷ তাছাড়াও এই কালবৈশাখীর ঝড়ে অনেক কিছু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ৷ যা থেকে আমাদের সবাই কে সাবধানে থাকতে হবে ৷
সাধারনত এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর এগুলো মেনে নিতেই হবে ৷
#miwcc