আজকের কবিতা - নিঃসঙ্গতা।
|
---|
ভাবতে ভালো লাগে,
তুই এখনও কাছে আছিস!
আচ্ছা! আমার থেকে
দূরে গিয়ে তুই কি ভালো আছিস?
তোর গায়ের মিষ্টি গন্ধ
আজও লেগে নিশ্বাসে;
আমার পাশে আজও আছিস,
বেচেঁ আছি সেই বিশ্বাসে!
স্মৃতি ভরা রাতগুলো মোর;
কাটে ভেবে কথা শুধু তোর।
বালিশটাকে আকড়ে ধরে
তোর অনুভূতি পাওয়া;
আলতো হাতের স্পর্শে
তোকে কাছে চাওয়া।।
বড়ো সাধ হয় তোর মুখে
সেই ডাকটা আবার শুনতে;
তোর প্রতীক্ষায় আগের
মতোই পথ চেয়ে সময় গুনতে!
পারিনি আমি করতে কভু
তোর মনকে স্পর্শ;
কল্পনার হাত ধরেই তাই
একাকীত্বে কেটে গেল কতগুলো বর্ষ।।
বাইরে থেকে চক্চকে হলেও
ভেতরে জং ধরা!
সকলেরই কি আমার মতই
বাইরেটা রং করা?
সম্পর্কে যদি থাকে মান,অভিমান
আর যদি থাকে নালিশ;
তাহলে কি আমার মতোই,
সঙ্গী সকলের একমাত্র বালিশ?
গতকাল লেখার সময় পাইনি একেবারেই, তাই এই ভর দুপুরে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম
একটি ছোট্ট কবিতার সাথে নিজের অনুভূতি সহ বেশ কিছু প্রশ্ন নিয়ে!
জানেন তো, অনেক সময় আমরা অনেক প্রশ্নের সদুত্তর নিজেরা পাই না;
অন্ততঃপক্ষে আমার ক্ষেত্রে তো সেরকমটাই হয়, এবং আগেও হয়েছে।
সকলের জীবন একই ধারায় বয়ে চলবে এটা যেমন সঠিক নয়।
তেমনি অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন জীবন সহ বেশ কিছু সম্পর্ক বোধহয়, একটা সময়ের পরে একই ধারায় বয়ে চলে।
জানিনা! কারণ, অন্তর পড়ার ক্ষমতা মানুষের নেই;
কাজেই কারোর পক্ষেই বোধহয় কোনো মানুষকে সম্পূর্ণ চেনা সম্ভব নয়।
সেটা অনেকসময় একসাথে থেকেও সম্ভব হয় না, আবার দূরে থেকেও অনেক সময় সম্ভবপর হয়। বিষয়টা খানিক নির্ভর করে ব্যাক্তি বিশেষের উপরে।
কেনো যেনো মনে হয় প্রতিটি মানুষ নিজের মধ্যে একটা সুপ্ত সুনামি বয়ে বেড়াচ্ছে! ভালো আছি বলতে হয়, তাই বলা!
সভ্য সমাজের অঙ্গ হয়ে থাকতে গিয়ে অনেকখানি মেকি হয়ে যাচ্ছি আমরা বাইরে থেকে তো বটেই, খানিক ভেতর থেকেও।
কিছু রক্ত মাংসে গড়া আধুনিক রোবট, যাদের শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে কেমন আছো জানতে চাইলে
অপছন্দ হলেও মুখ খোলা নিষেধ, সত্যি বলার আগে সামনের মানুষের ক্ষমতা যাচাই করে নিতে হবে।
আশ্রয় দিয়েছে যারা, তারাই আমাদের মালিক! খাবার খরচ বইছে, বস্ত্রের খরচ;
এরপর সেখানে নিজের ইচ্ছে, সাধ, আহ্লাদ, মতামত মূল্যহীন।
(এক্ আকাশ শূন্যতা কখনো কালো কখনো সাদা মেঘের আকারে ভেসে বেড়াচ্ছে আমাদের মনেও) |
---|
কলের পুতুলের মত বাঁধাধরা কাজ করে, মন যুগিয়ে চলতে হবে, নইলে বিপদ অনিবার্য!
শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, ভদ্রতা, শালীনতা কে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখা হবে!
এক্ নিমেষেই উধাও হয়ে যাবে দিবা রাত্রের পরিশ্রম, সততা ,ভালোবাসা!
বেঁচে থাকবে শুধু একরাশ নালিশ!
আজ তাই রক্ত মাংসে গড়া আধুনিক রোবট খানিক বিরোধিতা শিখেছে, আর এই বিরোধিতার ফলস্বরূপ সমাজ তাদেরকে নিজেদের সভ্যতার মাপদন্ড দিয়ে অন্য নজরে বিচার করেন!
যেখানে পতাকা, মিছিল নিয়ে বড়ো বড়ো কথা মঞ্চে দাড়িয়ে মহান ব্যাক্তিরা সমাজ সম্পর্কে বলেন, তাদের ঘরে কি কেউ কখনো উঁকি দিয়ে দেখেছেন, তারা নিজেদের অন্দর মহলেও কি সেগুলো পালন করছেন?
আমি সন্দিহান! তাই আমার স্মৃতির পাতায় বেঁচে থাক্ কিছু মানুষ;
যার সাক্ষী হয়ে থাকুক আমার বালিশ।
একান্তই নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করলাম, একেবারেই সহমতের আশা নিয়ে নয়।
তবে, আপনাদের মধ্যে কারোর যদি নিজের নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ইচ্ছে হয়; অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে করতে পারেন।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
কবিতাটা পড়তে গিয়ে মনে হয় আমি আপনার মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম,,
কাছের মানুষকে পেয়েও না পাওয়ার যন্ত্রণা কতটা বেশি তা মাঝেমধ্যে অনুভব করতে পারি।
তাই মনে হয় আমিও সবাইকে হাসি মুখে বলি ভালো আছি! তবে এই ভিতরের ভালোটা দেখার সাধ্য হয় তো সবার থাকে না।
তাই সবশেষে বলবো ভালো থাকুক আপনার আমার সবার বালিশ ।।।।।। খুব ভালো লেগেছে কবিতাটা পড়ে ধন্যবাদ দিদি।।।।
একা থাকাকে যখন আমরা নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করি তখনই একাকীত্ব বোধ আসে। এই বোধ তখন আমাদেরকে ভেতর থেকে ভেঙ্গেচুরে দেয়। কুড়ে কুড়ে খায়। এর যন্ত্রণা কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ সুন্দরভাবে বর্ণনা দিতে পারবে না।