অনুপ্রেরণার উৎস হবার প্রয়াস করুন।(Try to be a source of inspiration)

in Incredible India3 months ago (edited)
1000027273.png

আচ্ছা কখনো ভেবে দেখেছেন, স্কুল, কর্মস্থান, তথা দেশ এই সকল জায়গায় যদি নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী না থাকত, তাহলে পরিস্থিতি কি ভয়াবহ হতো!
বিশৃঙ্খলায় সমাজ ভরে যেতো!

অনেকেই বলবেন নিয়ম কানুন থাকা সত্ত্বেও কি সমাজে বিশৃঙ্খলা নেই?

নিশ্চই আছে, কিন্তু তার সাথে আছে আইনি ব্যবস্থা।

  • এই যে নিয়মের সৃষ্টি করা হয়েছে বিশৃঙ্খলা কে খানিক নিয়ন্ত্রণ করবার জন্যে। এটা সমাজে মাথা উঁচু করে নির্ভয়ে পথ চলার জন্য আবশ্যকীয়।
    নিজেদের উন্নত সমাজের অঙ্গ বললেই তো কাজ শেষ হয়ে যায় না, তারসাথে আসে আমি কাউকে কতটা সৎ পরামর্শ দিয়ে দিক নির্দেশনা দিতে পারছি, কতটা নিঃস্বার্থ ভাবে অন্যের মঙ্গলের কথা ভাবতে পারছি, যেখানে নিজের নয়, বরঞ্চ আছে অন্যের উন্নতির চিন্তা।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, একসাথে একই ক্লাশে পড়া বন্ধুদের মধ্যে বড় হয়ে কেউ খুব নামী দামী মানুষ হয়েছে সমাজে;
আবার কেউ অনেক পিছনে পড়ে রয়েছে।

  • এই বৈষ্যমের কারণ কি শুধুই পরিস্থিতি?
  • এই বৈষ্যমের কারণ কি মেধার পার্থক্য?

নাকি এর সাথে জড়িত আছে নিজেকে সঠিক পথে পরিচালনা করার অভাব?

আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এক্ সময় চা বিক্রি করতেন, কিন্তু তার অভাব কিন্তু তার উদ্দেশ্য তথা লক্ষ্যকে ম্লান করতে পারে নি।

এছাড়াও সমাজে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা অনেক দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেও নিজেকে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যারা অনেকেই সমাজ এবং নব প্রজন্মের অনুপ্রেরণা।

1000024825.jpg
1000024651.jpg
(জীবনের চলার পথ নির্ধারণ ভেবে করতে হবে- নইলে পরিণতি ভোগ নিজেকেই করতে হবে)

এই বৈষম্যের কারণ একটাই, সেটা হলো, যারা বোঝেন নিজের মঙ্গল নিজে না চাইলে, কেউ সেটা খাবারের মত খাইয়ে দেবে না।

আর ঠিক সেই কারণে তারা ভালো মন্দের তফাৎ করে সঠিক পথ বেছে নিতে সক্ষম।
আর নেহাত যদি এই প্ল্যাটফর্মে কর্মরত কিছু মানুষের উদাহরণ তুলে ধরতেই হয়, তাহলে অনেকেই দেখবেন এক্ সাথে পথ চলা শুরু করেও অনেকেই অনেক বেশি এগিয়ে গেছেন, আর কিছু মানুষ সেই পিছনেই পড়ে আছেন।

এর কারণ কি জানেন?

এই পৃথিবীতে শত্রু দু'ধরনের:-

এক্:-
বন্ধু বেশি শত্রু!
যারা সুন্দর মিষ্টি কথায় আকৃষ্ট করে, আপনাকে বোঝানোর প্রয়াস করবে, তাদের পথ অনুসরণ করাই সফলতার শ্রেষ্ঠ পথ।

দুই:-
যারা নিজের সবটুকু পাওয়া হয়ে গেলে পিঠে ছুরি চালাতে এক্ মুহুর্ত সময় নষ্ট করে না!

কাজের অভিজ্ঞতার নিরিখে দুই ধরনের মানুষের সংস্পর্শে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

তবে, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত, এমনকি যদি আজকের দিনটাকেও ধরি তাহলেও অনেকেই আমার কাছে ইনবক্স করে পরামর্শ নিতে আসেন;
যদিও নাম উল্লেখ করবো না, কারণ তারা আজ উচ্চ পদে আসীন, আর অনুমতি ছাড়া কারোর নাম উল্লেখ সঠিক নয়।

তারা কি মনে করে আসেন বলুন তো?
কারণ এতগুলো বছর কাজ করে তারা হয়তো বুঝেছেন কাউকে অসৎ পরামর্শ কখনো দেবো না। আবার মন পরীক্ষা করতেও অনেকেই আসতে পারেন! সঠিক জানা নেই।

কথায় কথায় বলেন, আমি তো বুঝি না! আমার বেশ অবাক লাগে কথাটা শুনলে! কারণ, আমরা সকলেই এতটা বড় হয়ে গেছি যে, কোনটা সাদা আর কোনটা কালো, তার প্রভেদের ক্ষমতা আমাদের যথেষ্ট হয়েছে।

আজকের এই লেখাটা অনেকের কার্যক্রম বিশেষ করে এই কমিউনিটিতে দেখে লিখতে বাধ্য হলাম।
একটা কথা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করে এসেছি, আর সেটা হলো, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটা পথ পর্যন্ত অতিক্রম হয়তো সম্ভব, কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে সততার প্রয়োজন।

1000024829.jpg
1000024828.jpg

যেদিন এই কমিউনিটি শুরু করেছিলাম সেদিনকেও আমার ভরসা ছিলেন সৃষ্টিকর্তা, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আর ঠিক সেই কারণে অনেকেই ক্ষমতা দেখিয়ে নিচে নামানোর প্রয়াস করেও সফল হয়নি, কারণ, সর্বশক্তিমান সকলের সুপ্ত উদ্দেশ্য পড়তে সক্ষম।

জীবনে একটাই শিক্ষা পেয়ে বড়ো হয়েছি, সেটা হলো, কারোর ভালো করতে না পারলে, কারোর ক্ষতি কখনোই করা উচিত নয়।

কারোর অনুপ্রেরণার কারণ হতে না পারলে, কারোর পথের কাঁটা হওয়া উচিত নয়।
এছাড়া আমি শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী মানুষ, এবং কাজের ক্ষেত্রে হোক অথবা ব্যাক্তি জীবনে আমি শৃঙ্খলা মেনে কাজ করতে পছন্দ করি।

একজন সুস্থ্য মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হয়, সেই মানুষের শৃঙ্খলার উপর আস্থা দেখে। আমরা নিজেদের আধুনিক সমাজের ভাবলেই আধুনিক হয়ে ওঠা যায় না, যতক্ষণ আমরা নিজেদের সামাজিক শিক্ষায় উন্নত করতে না পারবো।

সুশিক্ষায় শিক্ষিত তারা, যারা অন্যেকে দিকভ্রান্ত না করে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে থাকেন।
প্রবাদেই আছে,

চক্ চক্ করলেই সেটা সোনা হয় না!

1000024652.jpg
  • উদাহরণ স্বরূপ আমি বলতে পারি করলা খেতে তেতো কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
    আবার চিনি খেতে মিষ্টি কিন্তু তার দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
IMG_20240606_230817.jpg

আজকে যাদের ঘরে সন্তান আছে, তারা সবসময় চাইবেন তাদের সন্তান মানুষের মতো মানুষ হোক, সময় মতো খাবে, সময় মতো ঘুমোবে, সময় মতো লেখাপড়া করবে ইত্যাদি।

যে আশা তারা নিজেদের সন্তানের কাছ থেকে করছেন, সেটা নিজেদের জীবনে কতখানি পালন করছেন, একবার ভেবে দেখা উচিত, কারণ একটাই আগের আলো যেদিকে যায়, পিছনের আলো সেদিকে ধায়!
এটা আমার নয়, বিজ্ঞান এর কথা!

পরিশেষে তাই বলতে চাই, যা চাষ করবেন, ফসল হিসেবে সেটাই পাবেন। এটাই জীবনের ফর্মুলা অথবা সূত্র।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আমাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সমাজে তার একটা উঁচু স্থান রয়েছে তবে তাদের মধ্যে কতজন তার আশেপাশের মানুষকে সৎ ও যৌক্তিক পরামর্শ দেয় সেটা ভাবার বিষয়। তবে অযৌক্তিক পরামর্শ দেওয়া লোকের সংখ্যাই বেশি।

অনেকেই খুব বাজে অবস্থানের মধ্যে দিয়ে চললেও একসময় সফলতার মুখ দেখেন শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টা, সৎ ভাবে কাজ করা ও সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখার মাধ্যমে।

দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথা, এ কথাটা সচারাচর শোনা যায়। মুখে মিষ্টি কথা বলে এবং মনে থাকে কুমতলব এমন লোকের সংখ্যা কম নয় সমাজে।

আপনার কাছে অনেকেই পরামর্শ নিতে আসেন, হয়ত তারা মনে করে আপনিই তাদের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারবেন বা উপযুক্ত পরামর্শ দিবেন। পূর্বেও আপনি তাদের বিপদে সহায়তা করেছেন বলে আপনার উপর এই ভরসাটা তাদের জন্মেছে।

তাদের কথা বাদই দিলাম, আমি নিজের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সেটা আপনাদের কাছেই পরামর্শ নেই কারন এই অল্প দিনের ভিতর এমন কিছু ঘটেছে যার কারনে আমি মন থেকেই বিশ্বাস করি যে আপনারা সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিবেন। ম্যাম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনার পোস্ট পড়ি তো বটে তবে কমেন্ট করার সাহস পাই না, যদি অযৌক্তিক কিছু লিখে থাকি, শুধরে দিবেন। ভালো থাকবেন। ❤️

STEEM DREAM TEAM

Congratulations, your comment has been successfully curated by our team via @steemdoctor1 at 5%



 2 months ago 

Thank you very much🙏

Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.

 2 months ago 

আপনার আলোচিত প্রতিটি লাইন ছিলো শিক্ষনীয়। আসলে সমাজে এমন অনেক মুখোসধারী মানুষ আছে যারা মুখে সর্দাই মিষ্টি দিয়েই কথা বলবে।আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দুই ধরনের শত্রুর কথা উল্লেখ করেছেন।তবে এদের আরো অনেক ধরণ আছে।আসলেও চকচক করলে সব কিছু সোনা হয়না।যদি তাই হতো তাহলে পৃথিবীতে থাকা সকল বাহ্যিক সৌন্দর্যপূরপূর্ণ মানুষগুলো শ্রেষ্ঠ মনবের খেতাব অর্জন করতো।একটা মানুষ যতক্ষণ না একটা কাজ ভালোবেসে করতে পারবে, ততক্ষন সেই কাজে সে সফলতা পাবেনা।তাই অনেকেই অল্প সময়ে অনেক দূরে গেলেও অনেকগেই পিছনেই পড়ে আছে।আপনার প্রত্যেকটি কথা অনেক ভালো লাগলো।শুভকামনা রইলো।

 2 months ago 

অনেকেই বলবেন নিয়ম কানুন থাকা সত্ত্বেও কি সমাজে বিশৃঙ্খলা নেই?

  • খারাপ আছে বলেই ভালোর এতো মূল্য, কারণ ভালোটা কদাচিৎ দেখা যায়। নিয়ম কানুন অবশ্যই প্রয়োজন এটার বাইরে আমরা কেউই চলতে পারবো না।

  • সে হোক না শত্রু কিন্তু যদি পরামর্শ নিতে আসে তাহলে এটাই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে তাঁর আমার প্রতি এই বিশ্বাস আছে। এর থেকে বড় অর্জন আর কি হতে পারে? অর্থের বিনিময়ে এখনো বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা ক্রয় করা যায় না এবং কখনো সেটা সম্ভবই না।

  • ম্যাম, ঈশ্বর সর্বদাই সৎ, পরিশ্রমী ও পরোপকারী মানুষের সাথে থাকেন। এখানেই আপনার আত্মতৃপ্তি‌।

  • কর্ম অনুযায়ী ফল পেতে হবে এটাই বাস্তবতা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ম্যাম দিকনির্দেশনা মূলক এই লেখাটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

STEEM DREAM TEAM

Your post has been successfully curated by our team via @steemdoctor1 at 35%.

Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.



 2 months ago 

@steemdoctor1 Thank you so much my dear bro for this lovely support 💕

 2 months ago (edited)

নিয়ম-শৃঙ্খলার মাঝে আমাদেরকে অবশ্যই চলতে হবে না হলে সমাজে প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকবে। সেই সাথে নিজেকে সঠিক ভাবে পরিচালনাও করা উচিত। আর এটা আসলেই কঠিন কাজ বলে মনে হয় আমার কাছে।
আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অল্প সময়ে সফল হওয়ার মতে বিভিন্নরকম কর্মযজ্ঞ।
এর মাঝে সঠিকটা বোঝার মান নিজেরা অনেক সময় একা বুঝে উঠা কঠিন হয়ে পরে আর তখনই অন্য মানুষের পরামর্শ প্রয়োজন পরে।
সঠিক পরামর্শ সবার কাছ থেকে সবসময় পাওয়া যায় না।
তবে কখনো কখনো কিছু কিছু মানুষ সবসময়ই সঠিক পরামর্শ দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এক্ষেত্রে আপনার নাম আমি সব সময়ই বলবো।

অনেক বার আমি নিজেও আপনার কাছে পরামর্শ চেয়েছি আর আপনি সঠিক পরামর্শই দিয়েছেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।

 2 months ago 

যে আশা তারা নিজেদের সন্তানের কাছ থেকে করছেন, সেটা নিজেদের জীবনে কতখানি পালন করছেন, একবার ভেবে দেখা উচিত

  • সত্যি বলতে উচিত কাজ করার জ্ঞান আমরা অন্যকে দিতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি। তবে অন্য কেউ যদি আমাদেরকে কিছু বোঝাতে যায়, তাহলেই আমরা বিরক্ত হই। সমাজে বেশিরভাগ মানুষের স্বভাবই এমন। তার ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, যদিও তার সংখ্যা খুবই কম।

  • বাবা-মা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই চাওয়া থাকে, তবে সন্তান হিসেবে নিজের বাবা-মায়ের কতখানি চাওয়া পাওয়া আমরা পূরণ করতে পেরেছি, সেই বিষয়ে কখনোই নিজেকে প্রশ্ন করা হয়ে ওঠে না। যদি সেটা করি তাহলে তার উত্তর মেলানো বড় কঠিন।

  • জীবনের ক্ষেত্রে হোক বা কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা সর্বত্র জরুরী। অনেকের কাছেই সেটা বিরক্তিকর হলেও সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য সততার পাশাপাশি শৃঙ্খলাও সমানভাবে জরুরী।

  • জীবনের অভিজ্ঞতা আমার থেকে আপনার অনেকটাই বেশি। তাই সৎ ও অসৎ মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ আপনার বেশি হয়েছে। তবে নিজের জীবনের সামান্য যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার নিরিখে বলতে পারি, আজকাল সঠিক পথ দেখানো মানুষদেরকে অনেকেই বোকা বলে গণ্য করে। আর অসৎ পথে চলা মানুষগুলি নিজেদেরকে ঈশ্বরের সমতুল্য ভাবে। তবে হ্যাঁ দুটি ক্ষেত্রেই পরিণতি কিন্তু অসৎ মানুষেরই খারাপ হয়। সৎ মানুষগুলো এই খারাপের ভিড় ঠেলে ঠিক সফলতা অর্জন করে, এটাই বাস্তব। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 60708.09
ETH 2619.74
USDT 1.00
SBD 2.58