কবিতা:- সময়চক্র! Poetry:-Time cycle!
|
---|
আমি ছিলেম, আমি আছি
কালও হয়তো থাকবো;
প্রাপ্তিগুলো যত্ন করে
স্মৃতির পাতায় ধরে রাখবো।
জীবনের মানেটা এখন
শিখতে বসেছি সবে;
শিক্ষকদের পরিণতি
জানিনা দেখবো কবে?
সময়ের সাথে জমছে হিসেব,
ততই কমেছে টান!
যখন দেখেছি দ্বিচারিতা,
পদদলিত হয়েছে আত্মসম্মান!
কষ্ট গুলোকে জমিয়ে রেখেছি;
যে যা দিয়েছে, মাথা পেতে নিয়েছি!
হলেই নিজের স্বার্থ শেষ;
বিন্দুমাত্র থাকে না এদের
কৃতজ্ঞতার রেশ!
অভিনয় গুলো দেখে
তাই আনন্দ পাই বেশ।
সময়ের চক্র পরিবর্তিত
হবেই একদিন;
দেখবো তাদের পরিণতি
হাসি মুখে সেইদিন।
সুবিধাবাদির আধিক্য
বেড়েছে বড্ড আজ;
দেখা মেলেনা এদের
ফুরিয়ে গেলে কাজ!
নিজের প্রয়োজন মিটে গেলে
গা ঢাকা দেওয়া স্বভাব;
এই সমাজে এমন মানুষের
নেইকো একেবারেই অভাব!
ভালবাসার আড়ালে লুকিয়ে
আত্ম কার্যসিদ্ধি;
এসব আর কিছু নয়
করেছে আমার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি!
আজকে আবারো মনের কিছু কথা ছন্দের হাত ধরে প্রকাশের প্রয়াস করেছি।
ছোটবেলা থেকে জীবনের এই পর্জন্ত ঘরে বাইরে আমি অধিক সময় এমন মানুষের সংস্পর্শে এসেছি, যারা কেবল আমার বিশ্বাস, ভরসা এবং ভালবাসাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে!
অনেকেই হয়তো এই দলে সামিল, তবে পার্থক্য একটাই আর সেটা হলো, আমি কারোর সাথে সেটা ভাগ করে নেবার মতো মানুষ এখনো পর্যন্ত পাই নি।
যাদের পেয়েছি, দেখা গেছে তাদেরও আমার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার ছিল, তাই তারা হয়তো আমার কথাগুলো খানিক সময় অতিবাহিত করে শুনেছে।
বিস্ময়কর বিষয়, আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো আসলেই ভুলে যায়, সময় সব সময় পরিবর্তনশীল, আর ঠিক সেই কারণে তাদের সুপ্ত উদ্দেশ্য আমি বুঝতে না পারলেও, যার দেখার এবং বোঝার তিনি প্রতি মুহুর্তে দেখছেন এবং বুঝছেন।
(নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে এই বেশ আছি) |
---|
সময়ের সাথে ব্যবহারের তারতম্য এতটাই আমাকে কষ্ট দিয়েছে এবং অবাক করেছে সময় সময়;
যখন ভাবতাম এত তাড়াতাড়ি কি করে ভুলে গেলো তাদের প্রয়োজনে আমি পাশে ছিলাম!
অনেকেই আছে যারা মুখের উপরে না বলতে পারে না, তখন তারা চুপ করে থাকে;
মানে বুঝে নিতে হবে তারা পারবে না!আবার আরেক ধরনের মানুষ যারা মুখের উপরে বলে দিয়েছে আমাকে তাদের আর দরকার নেই!
যদিও দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষদের আমি বেশি উন্নত বলবো, কারণ তারা না বলার সাহস মুখের উপর দেখিয়েছিলেন।
তবে, যারা সামনে ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকেন, আর ভালো থাকার জন্য হয়তো তারা মুখের উপরে না বলেন নি, তাদেরকেও মনে রেখেছি, মনে রেখেছি সেই মুহূর্তগুলোকে!
- এছাড়াও আরেক প্রকারের মানুষ দেখেছি, যারা কেবলমাত্র নিজেদের প্রয়োজন অন্যের আবেগগুলোকে ব্যবহার করে, তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিতে দু'বার চিন্তা করেন না! এমনকি, নিমেষেই কৃতজ্ঞতা বোধের পরিবর্তে, সেই মানুষের ক্ষতি সাধন করতেও দ্বিধা বোধ করে না!
শুধু এখানেই তাদের ইতি ঘটে এমনটা নয়, আবার প্রয়োজন হলে, হাসি মুখে এসে উপস্থিত হয় অবলীলায়;
এরা কোন ধাতু দিয়ে তৈরি আমার জানা নেই!
তবে, এই পরিবর্তিত সময় চক্রের হাত ধরে অনেক মানুষের, অমানুষ চেহারা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে।
বড় বড় অভিনেতা অভিনেত্রী হার মানে এদের অভিনয়ের কাছে, সামনে সম্মান, আর পিছনে সমালোচনা এই এদের মূলত কাজ।
আজকে যাকে প্রয়োজন নেই বলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, অথবা যারা বিনা উত্তরে না বলে দিচ্ছে, তাদের মাথায় এটা কি কখনও কাজ করে,
ধৈর্য্য, সহ্য, সত্যি, সাহস এইগুলোই আমার বেড়ে ওঠার পাথেয়।
(অনেক ভিড়েও একলা পথ চলেছি, তবে নকল সঙ্গীর চাইতে বোধহয় একলা চলাই শ্রেয়) |
---|
রক্ত মাংসে গড়া মানুষ আমিও, তবে ছলনার আশ্রয় নিয়ে কারোর আবেগকে আহত করিনি, বিশ্বাসকে ব্যবহার করিনি কখনো!
আস্থাকে নিজের মধ্যে আজও ধরে রেখেছি;
কারণ, আমি জানি একজনের আদালতে সবাইকেই একদিক হাজিরা দিতে হবে।
কাউকে কখনোই ছোটো করে দেখতে নেই! একটি পিপীলিকা একটি হাতির আকারের কাছে খুবই সামান্য;
কিন্তু যদি কোনক্রমে হাতির কানে সেই পিপীলিকা ঢুকে পড়ে, তাহলে তার পরিণতি কি সেটা সকলের জানা।
ক্ষমতার গদিতে বসলেই রাজা হওয়া যায় না, প্রজাবৎসল মানসিকতা অর্জিত না করতে পারলে!
তেমনি মানুষকে কখনো দ্রব্য ভাবতে নেই, সকলেই বিক্রিত নয়, এটাও মনে রাখতে হবে।
আমি দেখেছি, যার মানসিকতা যেমন, সামনের জনকে সে একই দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে থাকে!
এটাকে বলে স্বভাব, যেটা অপরিবর্তিত থেকে যায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
এর আগেও একটি লেখায় উল্লেখ করেছিলাম, ক্ষমতা এবং অর্থ দিতে সবকিছু আজও কেনা যায় না, এবং উদাহরস্বরূপ মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্রের উদাহরণ দিয়েছিলাম।
বিশ্বের সেরা ধনীও কিন্তু নিজের সন্তানের জন্য সুস্বাস্থ্য কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন, তার চোখেও জল দেখা গেছে, নিজের ছেলের বক্তব্যে!
তাই, কারোর ক্ষতি অথবা কাউকে ব্যবহার করবার আগে, আমাদের হয়তো সবসময় মনে রাখা উচিত, সময়ের হাত ধরে নিজেদের কর্ম ফিরে আসে।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.