Incredible India monthly contest of March #1|Three tasks I like, and three I dislikes.

in Incredible India2 months ago (edited)
1000021012.png

আজকে আবারও একবার নিজের মাতৃভাষায় কমিউনিটির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যম

প্রতিযোগিতার মুল বিষয় যাবার আগে আমি নিয়মানুসারে, @msharif, @solaymann এবং @enamul17 দের আমন্ত্রণ জানাতে চাই
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিজের ভালো লাগা আর মন্দ লাগা তিনটি কাজের বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরা যাক।

তবে যেমনটি উপরিউক্ত ক্যানভা দিয়ে আমি বুঝিয়ে দিয়েছি ভালো লাগার সাথে মন্দ অনুভূতিগুলো জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করতে আমাদের সাহায্য করে।

কারণ ভালোর ভালোটা আমরা মন্দ না থাকলে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতেই পারতাম না!



  • প্রথমে তিনটি কাজ যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে আমার পছন্দের তালিকাভুক্ত সেগুলো উল্লেখ করি।
Which Three tasks you love to do, and three jobs you avoid in your daily life. Describe the reasons behind.

Pixabay

আমার

প্রথম পছন্দের মধ্যে রয়েছে বই পড়া।

এখানে যারা আমাকে ফুড ব্লগার হিসেবে চেনেন তাদের চুপি চুপি একটা কথা জানাই, আর সেটা হলো এই বই পড়ার প্রতি ভালোবাসার জন্য, বহুদিন রান্না পুড়িয়ে ফেলেছি! 🤫
কথাগুলো নিজেদের মধ্যেই রাখবেন, পাঁচকান করবেন না! বাঙালিদের পেটে কথা থাকে না, খুব মুশকিল!


1000006064.jpg
1000006706.jpg
1000003205.jpg

আমার

দ্বিতীয়
পছন্দের তালিকায় রয়েছে
বিভিন্ন দেশ তথা রাজ্যের নামকরা এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার রান্না।
একদম সঠিক পড়েছেন, আমি একার জন্য বিশেষ রান্না করি না, তবে যেদিন কাউকে খাওয়াবো মনে করি অথবা রান্না করতে যাই নিজের জন্য, সেদিন আমি যত্ন সহকারে এই কাজটি করে থাকি, কারণ এটাও আমার পছন্দের কাজ।


IMG_20240311_235212.jpg

আমার

তৃতীয়
পছন্দের কাজ হলো
গান শোনা।
আমার পছন্দের গান শুনতে শুনতে আমি পুরোটা রাত অবলীলায় জেগে কাটিয়ে দিতে পারি।

IMG_20240311_235222.jpg

উপরের তিনটে কাজ আমার পছন্দের তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে, তবে ঘরের অনেক কাজ আমার দৈনন্দিন জীবনে ভালো লাগে। সেটা বাসন মাজা হোক, অথবা ঘর মোছা বা কাপড় ধোয়া কাঁচা ইত্যাদি।

আমার সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাড়িঘর রাখাটা ছেলেবেলা থেকে দেখে ওটা রক্তে মিশে গেছে। আসলে আমার মা এবং বাবা দুজনে বলতেন একজন মানুষের রুচির পরিচয় তার রান্না ঘর এবং বাথরুম দেখলে নাকি বোঝা যায়!
হাহাহা!এখনও হাসি পাচ্ছে লিখতে গিয়ে কিন্তু কথাগুলোর পিছনের যুক্তিগুলো এখন বুঝতে পারি।

আসলে বসার ঘর সকলেই চকচকে রাখেন কারন বাইরের লোক এসে প্রথম সেটাই দেখতে পায়, কিন্তু আসল বিষয় ভিতরের ঘর দেখলে বোঝা যায়, আর সুস্বাস্থ্য অব্যাহত রাখার দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রান্নাঘর আর অপরটি স্নানঘর এবং শৌচাগার মধ্যবিত্তদের জন্য একটাই।



  • পছন্দ যখন আছে তখন অপছন্দ না থাকলে তো ভারসাম্য বজায় থাকবে না, কারণ পূর্বেই উল্লেখিত।
1000021029.jpg
IMG_20240311_235717.jpg
IMG_20240311_235709.jpg

প্রথম অপছন্দের কাজ, প্রেশার কুকার মাজা!
😬
এই কারণে অনেক বছর ওই পাত্রটি ছাড়াই চালিয়ে দিয়েছি!
অনেক পড়ে কিনেছি বটে তবে কেক আর পাঁঠার মাংস রান্নার সময় ছাড়া ওটির দিকে ভুলেও তাকাই না!

পাত্রটিকে দেখলেই চোখের সামনে পুরনো টুথব্রাশ সহ আরো অনেক কিছুর ছবি ভেসে ওঠে ওই পাত্রকে পরিষ্কারের কথা ভেবে! যাক গে যাক!


আচ্ছা এরপর

দ্বিতীয় অপছন্দের কাজ হলো আলমারি গুছানো।

মানে ওই পাটে পাটে জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখার না সময়, আর না ইচ্ছে আমার হয়।

একবার সম্পা গুছিয়ে দিয়ে গেছিলো, এবং নির্দেশ দিয়েছিল, যে জিন্স প্যান্টটা পড়বে সেটা যদি নিচে থাকে উপরের ভাঁজ করা কাপড়গুলো আগে তুলে বিছানায় রাখবে, তারপর সেই প্যান্ট বের করে আবার ভাঁজ করা কাপড়গুলো আলমারিতে রেখে দেবে।🙄

এগুলো করতে যা সময় লাগবে দুবার বাজার ঘুরে আসা হয়ে যাবে! যদি লেখাটা পড়ে তাহলে রক্ষে নেই।🤫 চেপে যান!


IMG_20240312_000103.jpg

আমার

তৃতীয় অপছন্দের কাজ হলো, বাজার করে ফেরার সময় দু'হাতে অতিরিক্ত ওজন বয়ে নিয়ে চারতলায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা!

যারা এই অপছন্দের কথাটি শুনে হাসছেন বা হাসবেন বলে ভাবছেন তারা ১০-২০ কিলো জিনিষ একদিন সিঁড়ি বেয়ে চারতলায় তুলে দেখুন তারপর দেখবেন হাসি পাচ্ছে কিনা!

মাসের বাজার করতে গেলে হাল বেহাল হয়ে যায় ফেরার সময়!



Do you think tasks that we avoid in our daily lifestyle are equally essential to perform? Justify.
1000019560.jpg

অবশ্যই,
আমি যে কাজগুলো অপছন্দের তালিকায় রেখেছি, সেগুলোর সবটাই দৈনন্দিন জীবনে পালন করা আবশ্যকীয়।

কাজেই, পছন্দ হোক বা না হোক, কিছু কাজ আমাদের জীবনের অঙ্গ যেগুলো আমরা বেশিদিন এড়িয়ে যেতে পারি না।

সেটা পেটের দায়েই হোক, অথবা জিনিষ নষ্ট হয়ে যাবার ভয়েই হোক;
কাজগুলো আমাদের করতেই হয়।
আর ওই যে বললাম, সব কাজের মধ্যে দিয়ে গেলেই তো পছন্দ আর অপছন্দের বৈষম্য করা সম্ভব।

তবে, কোনো কাজকেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে যেগুলোর সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন জড়িত।



Do you ever regret avoiding things in your life? Share your experience.

প্রতিদিন আমাকে এই এড়িয়ে যাওয়ার ফলাফল ভোগ করতে হয়। ওই যখন যে কুর্তি পড়ে বেরোবো ভাবি তাকে খুঁজতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায়! এক্ ঢিপি জামা কাপড় এর আড়ালে নির্দিষ্ট জামা খুঁজে না পাওয়া আমার রোজকার সমস্যা। একটা কুর্তি এই গরমে পড়ে বেরোব বলে কবে থেকে খুঁজে বেড়াচ্ছি, কিন্তু আজও তার দেখা মেলেনি! কাজেই হাতের কাছে যাকে পাচ্ছি তাকেই পরে বেরোচ্ছি!🙄


আবার ডাল বসিয়ে আকাশের তাঁরা গুণী সেদ্ধ হবার অপেক্ষায়। ওই যে, মানে প্রেশার কুকার ধোবার ভয়ে কড়াইতে সেদ্ধ বসাই!😬
ভাগ্যিস ইনডাকশন এ রান্না করি নইলে মশা মারতে কামান দাগার মত পরিস্থিতি হতো এখন গ্যাস সিলিন্ডার এর যা দাম!

আজকেও বাজার যাবার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু ওই ওজনের ভয়ে এড়িয়ে গেলাম, কিন্তু কতদিন? সেই তো ছুটতেই হবে আর ওজন বয়ে চারতলায় উঠতেই হবে।

তাই জ্ঞান পাপীর মতই বলছি এবং মানছি আমাদের দৈনন্দিন এড়িয়ে যাওয়া কাজগুলো সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ! মাগো বাঁচাও! নিজের প্রশ্নে নিজেই ফেসে গেছি।
আর এগোচ্ছি না, এখানেই সমাপ্তি রেখা টেনে বিদায় নিলাম, তবে অবশ্যই আপনাদের অভিমতের প্রতীক্ষায় রইলাম।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...

Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.

 2 months ago 
  • আসাধারণ আপনার উপস্থাপন ভঙ্গি। আপনার লেখা পড়লে বুঝা যায় , শব্দ ভান্ডারের প্রাচুর্য রয়েছে আপনার মধ্যে। কি সুন্দর !গুছিয়েলিখেন আপনি ।সত্যি দিদি চমৎকার লিখেছেন ।

  • প্রেসার কুকার মাজার ভয়ে পাত্রে ডাল বসিয়ে আকাশে তারা গুনছেন । এই লাইনটি পড়ে তো আমি হেসে খুন। আপনার এই পোস্টটি আমার মন ভালো করার টনিক ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লিখা আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে, আপনার তিনটি পছন্দের কাজ এবং তিনটি অপছন্দের কাজ সম্পর্কে জানতে পারলাম। সত্যি কথা বলতে প্রথমত আপনার পোস্ট যখন পড়ছিলাম তখন অনেক বেশি হাসি পাচ্ছিল। কিন্তু ২০ কেজি ওজনের জিনিস নিয়ে চার তলায় ওঠা চারটে খানি কথা না। ওই কথাটা পড়ার পর, সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে।

একা মানুষ তাই হয়তোবা সবকিছু সামলে নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। কেউ যদি সঙ্গে থাকতো এই কষ্ট অনেকটাই দূর হয়ে যেত। একদমই ঠিক বলেছেন, আমরা যে কাজগুলো এড়িয়ে চলি, সেগুলো আমাদের অনেক বেশি অনুশোচনা দেয়। প্রত্যেকের উচিত প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটা কাজ সঠিকভাবে করা। ধন্যবাদ চমৎকার ভাবে প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।



We support quality posts and good comments posted anywhere and with any tag.
Curated by : @ripon0630

 2 months ago 

@ripon0630 thank you for this encouraging support 🙏

 2 months ago 

আজকের লেখাটা বেশ উপভোগ্য মনে হলো, আপনি নিয়মিত যে বই পড়েন সেটা আগেই অনুমান করেছিলাম। আজকে সেটা খোলাসা করলেন।
কাপড় গুছানোর মত ঝামেলার কাজ আর নেই, আবার গুছিয়ে রাখলেই যে কাজ শেষ তা কিন্তু নয়, যতই গুছিয়ে রাখবেন এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বহাল তবিয়তে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

আপনার পছন্দ অপছন্দের বিষয়গুলো জেনে ভালো লাগলো। খুব উপভোগ করলাম আপনার লেখা। ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখা উপহার দেবার জন্যে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

পড়েছি আর হেঁসেছি ,বেশ উপভোগও করেছি।
আপনার পছন্দের তালিকা গুলো শুনে তো আমার ভীষণ ভালো লেগেছে,
তবে আপনার অপছন্দের তালিকার সাথে আমার একটা জিনিস মিল রয়েছে,, সেটা হচ্ছে প্রেশার কুকার মাজা সত্যি, এটা খুবই বিরক্তকর একটা কাজ তবে, রক্ষে নেই খেতে হলে তো করতেই হবে।।
দিদি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে, আপনার প্রতিযোগিতার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

 2 months ago 

আপনার আলমারি গোছানোর দিন মনে পড়লো। জামাটা পেলেও, তার প্যান্ট পেতে আমার জামার সাগরে ডুব দিতে হয়েছিল। আর যদিও বা প্যান্ট পেলাম, ওড়নার দেখা নেই রে, ওড়নার দেখা নেই। লাস্ট যেদিন গেলাম, দেখলাম আবার গোছানোর সময় হয়ে গেছে। আমিও তৈরি জামা খোঁজার যুদ্ধের জন্য। 😄 ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। রান্নাটা আপনি কতটা যত্ন করে করেন তা আমি জানি। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

এ মা! ভাবলাম তোর চোখ এড়িয়ে দু ' কথা লিখি , তাও ধরে ফেললি। যাক বাবা নিশ্চিন্ত হলাম আবার গুছিয়ে দিবি জেনে, বলতে একটু দ্বিধা হচ্ছিল। আপাতত তাহলে সেই কুর্তি আর খুঁজছি না, তোর আগমনের অপেক্ষায় সেটা আড়ালেই থাকুক।🤪🥰