প্রকৃতির সবকিছুই নিয়মাধিন।(Everything in nature is subject to laws and regulations.)
প্রকৃতিতে অবস্থিত ছোটো বড়ো প্রাণী সহ, প্রতিদিনের উদিত এবং অস্তমিত সূর্য নিয়ম করেই প্রকৃতির মাঝে যুগ যুগ ধরে যাওয়া আসা করে চলেছে।
মানুষের বাইরে প্রকৃতিতে অবস্থিত প্রাণীরাও নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা মেনেই নিজেদের জীবন অতিবাহিত করে।
অনেকেই হয়তো জানা বিষয়গুলো আজকে লিখছি, সেটা পড়ে খানিক অবাক হবেন!
তবে, এই কথাগুলো আজকে লেখার উদ্দেশ্য হলো, প্রাণী জগতের মধ্যে যদি কোনো প্রাণী নিয়ম ভঙ্গের শিরোপা পেয়ে থাকে, তাহলে সেটা প্রযোজ্য মনুষ্য জাতির ক্ষেত্রেই।
এখন দুটো প্রশ্ন আমাদের ভেবে দেখা উচিত!
আমার মত করে উত্তরগুলো খুঁজে দেখার প্রয়াস প্রচেষ্টায় আমার আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হওয়া।
নিয়ম আমাদের শৃঙ্খলার শিক্ষায় শিক্ষিত করে।
নিয়ম আমাদের সঠিক বেঠিক এর তারতম্য করতে সহায়ক।
নিয়ম আমাদের একটি দিনকে সঠিক ব্যবহার করতে শেখায়।
নিয়ম আছে বলে বহু অসামাজিক এবং বেআইনী কার্যকলাপ থেকে অনেকেই নিজেদের দূরত্বে রাখি।
নিয়ম মেনে চলে বলেই প্রকৃতির পাশাপশি ব্যাক্তি জীবনে এবং কর্ম জীবনে আমরা নিজেদের উন্নত করতে সক্ষম।
এই পৃথিবীতে আসা যাওয়া সেটাও নিয়মাধীন।
উপরিউক্ত বিষয় থেকে খানিকটা পরিষ্কার কেনো প্রকৃতি সহ প্রাণীকুল নিয়ম মেনে চলে।
আরো অনেক প্রয়োজনীয়তা আছে আর ঠিক সেই কারণে সৃষ্টির আদি থেকে নিয়ম বহির্ভূত কিছুই নয়।
এখন প্রশ্ন হলো প্রকৃতিতে উপস্থিত সকলেই সৃষ্টির নিয়ম মেনে চললেও কেনো বুদ্ধির শিরোপা পাওয়া মনুষ্য জাতি নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বসে আছে!
অনেক কারণের মাঝে সবচাইতে বড়ো কারণ হলো
- ক্ষমতার লোভ।
- চাওয়া পাওয়ার লোভ।
- আমি এবং আমার প্রাপ্তির লোভ।
- অর্থের লোভ।
- সল্প সময়ের মধ্যে অধিক অর্জনের লোভ।
এছাড়াও কথায় কথায় প্রচলিত কথা, আমরা বলে থাকি, নিয়ম সৃষ্টি করা হয় ভঙ্গের জন্য!
তার মানে দাড়ালো মানসিক দিক থেকে বুদ্ধিজীবীদের মস্তিষ্কে ধ্বংসের রাস্তা খুজে বের করবার প্রচেষ্টা অধিক।
ব্যতিক্রমী মানুষ কিন্তু জীবনে আর্থিক উন্নতি করে সর্বসেরা হতে না পারলেও তারা জীবনে শান্তিতে অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম।
আজকের কথাগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার মাঝে প্রধান কারণ হলো, আগামী মাস থেকে বেশ কিছু নতুন বিষয় আসতে চলেছে কমিউনিটিতে।
যে সকল সদস্য দু'নৌকায় পা রেখে মনে করবেন নিজেদের আলোচ্য বিষয় অন্যত্র জানিয়ে লাভবান হবেন এবং উভয়পক্ষে সম্পর্ক সমান রাখার প্রয়াস করবেন;
তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখবেন যে থালায় খাচ্ছেন সেটাতে ফুটো করাকে সৃষ্টিকর্তা কোন দৃষ্টিতে দেখেন!
এছাড়াও যারা অন্যের অনুকরণে নিজেদের এগিয়ে নেবার প্রয়াস করেন তাদের সফলতা সবসময় সীমিত, কারণ আগেও জানিয়েছি নকল করে পাশ করা গেলেও ভালো ফলাফল করা কখনো সম্ভব নয়।
আর ঠিক সেই কারণে, আমি বেশ কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেটা সমাধা আমি নিজেই করবার দায়িত্ব নিয়েছি।
এর আগেও অনেক বিষয় আমাদের কমিউনিটি শুরু করবার পরে অনেকে সেটা নকল করে বেশ ফলাও করে নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে এবং অবাক বিষয় কোথা থেকে সেই ধারণা পেয়েছে সেটা উল্লেখ করবার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন বোধ করেনি!
আবারো নতুন বিষয় নিয়ে আমাদের কমিউনিটি আসতে চলেছে, এবং আমিও অপেক্ষায় আছি কবে সেটাও নকল করে নিজেদের নাম ফলাও করবে ঠিক আগের মতই।
যাইহোক, আমি সেই সকল ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে যারা কাজ তো এখানেই করেন, উপার্জন এখান থেকেই করেন, অথচ যে থালায় খান, সেই থালা তেই ফুটো করেন।
আমাকে সৃষ্টিকর্তা মস্তিষ্ক দিয়েছে এবং কাউকে নকল করে চলার অথবা গুপ্তচর দের সাহায্যে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না।
এই কমিউনিটি নিয়ম এবং সততা মেনেছে এবং ভবিষ্যতেও মেনে চলবে, যারা চলতে পারবেন এই দুটি বিষয় মেনে তারাই এখানে কাজ করুন, বাকি মীরজাফর দের স্থান এখানে নেই।
নিয়ম আছে বলেই এখনো পৃথিবীটা টিকে আছে। ঘুম থেকে ঊঠে খাওয়া দাওয়া, কাজ কর্ম, চলাফেরা সব কিছুরই কিছু নিয়ম থাকে। আর এই নিয়ম মেনে চলাটা প্রত্যেকের দায়িত্ব। যখন ই নিয়মের বাইরে মানুষ আসে তখন ই তা হয় অন্যায়। আর নিয়ম ভংগের দিক থেকে মানুষই সবার উপরে। আর এর পেছনে লোভ লালসা, মোহ অন্যতম কারণ। এগুলো মানুষকে এতটাই অন্ধ করে যে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করা ভুলে যায়।
কমিউনিটিতে এরকম মানুষ আছে যারা যে পাত্রে খায় সে পাত্র ফুটো করে। একজনের এত কষ্টের ক্রিয়েটিভ আইডিয়া কিভাবে নকল করে বা অন্য যায়গায় প্রকাশ করে তা বুঝে আসে না। তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা এভাবে কোনদিন বড় হওয়া যাবে না। সময় ও সুযোগ থাকতেই এই ধরনের হীন মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি।
ধন্যবাদ ম্যাম এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে ২ টা প্রশ্নের উত্তর ও তার সাথে জড়িত কমিউনিটির দিক নির্দেশনা গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন এর জন্যে।
Your comment has been successfully curated by @sduttaskitchen at 5%.
We invite you to strive to publish quality content and comments.
It could qualify you to be nominated for the weekly Top of our curation team.
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
There is no place for Brutus in our community #IncredibleIndia. The person who has done this, please leave our community or be ready to face the consequences.
সততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করি সবসময়ই। আর সেটা সব জায়গাতেই। এ শিক্ষা পারিবারিক ভাবেই পেয়েছি।আমি স্টিমিট এ কাজ করছি নিজের কাছে ভালো লাগার জন্য যে, কিছু একটা করতেছি। তাই অসততার আশ্রয় নিয়ে এই ভালো লাগাটা নস্ট করতে চাই কোনভাবেই।
তবে একসাথে এটাও ঠিক যে, যদি কেউ এধরনের কাজ করে থাকে তবে তাকে ভালো হবার সুযোগ দেয়ার পরও যদি ভালো না হয় তাহলে কঠোর হওয়াটাই উচিত। কারন আপনার জায়গায় আমি হলেও সেটাই করতাম।
আপনি এই লেখার মাধ্যমে তাদেরকে সাবধান করেছে ন এজন্য ধন্যবাদ।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময়।
দিদি অনেক মূল্যবান কিছু কথা আজ আপনি আমাদের বলেছেন। আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু তবুও কেন জানি কোন নিয়ম শৃঙ্খলায় আমরা বেশিদিন আবদ্ধ থাকতে চাই না। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তি তো পেতেই হবে, শাস্তি পেলে হয়তো নিজের ভুল বুজতে পারি কিন্তু ততক্ষণে আর কারোরি কিছু করার থাকে না।
যাইহোক দিদি আমাকে আশীর্বাদ করবেন যাতে আপনার কথাগুলো পালন করতে পারি এবং সকল নিয়ম কানুন মেনে এই কমিউনিটিতে কাজ করতে পারি। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো।
এই কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে একটা কথাই বারংবার শুনে এসেছি সততা ও নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে এবং সর্বদা সেই কথা অনুসরণ করেই কাজ করে চলেছি। এবং আগামীতে ও এভাবেই এই পরিবারের সাথে যুক্ত থাকতে চাই।।
আসলে কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা সোজা পথে হাঁটতে নারাজ এবং একই চেহারার মধ্যে দুই ধরনের রূপ নিয়ে চলে। তাদের ভালো করে বোঝানোর পরেই যদি তারা না বুঝে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শ্রেয়।
দিদি আপনার পোস্টের মাধ্যমে আপনি অনেক সাবলীল ভাবেই সেই সকল মানুষকে একটি সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।।
নিজেকে সর্বদা আমাদের এই পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রাখতে চাই,,এবং আপনার দেখানো পথ অনুসরণ করে চলতে চাই।
আমরা সমাজে বা পরিবার যে যেখানেই থাকি না কেন? সবাইকেই নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। যেহেতু আমরা একটা প্লাটফর্মে যুক্ত আছি। সেখানকার প্রত্যেকটা নিয়ম আমাদের মেনে চলা উচিত। আর সব সময় সৎ পথে থাকা উচিত।
যে মানুষগুলো নিজের পরিবারের কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করে বেড়ায়। সে নিজের জায়গা থেকে কখনোই সফল হতে পারেনা। নিজের পরিবারের কথা নিজের মধ্যে রেখে। যে মানুষগুলো কঠোর পরিশ্রম করে এগিয়ে যায়। তারাই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।
নিয়ম মেনে কাজ করার নিয়ম মেনে, সবকিছু পরিচালনা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। চমৎকারভাবে নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সাথে আবারো অবগত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই চেষ্টা করব সবকিছু মেনে নিয়ম, অনুযায়ী কাজ করার জন্য ভালো থাকবেন।
প্রতিদিন সূর্য উঠে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর অস্তিমিত হয়,নিময়ানূযায়ী। আমরা আমাদের জীবন শুরু করছি এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর
জীবনের শেষ হিসাব কষে চলে যাব নিজ গন্তব্যে,সেটিও নিয়ম মাফিক। তেমনি এই পার্থিব জীবনে হোক আর পরকালে হোক নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোন কিছুই হয়না। তাই আপনাদের নিয়ম নীতি মেনে ই জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। শৃংখলা ছাড়া জীবন স্বার্থ হীন। এই কমিউনিটির ও কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে।তা আমাদের মেনে চলার মতো মনমানসিকতা তৈরি করতে হবে। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বিষয়টি। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ম্যাম।