A few travel photography of Istanbul- ইস্তানবুল শহরের কিছু ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
শুরুতে ইচ্ছে ছিলো লেখাটা ইংরিজিতে লিখবো, কিন্তু এখন বাংলায় লিখতে হচ্ছে দুটি কারণে।
প্রথমত:- এখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১ টা বেজে ৪৫ মিনিট।
খাওয়া দাওয়া কিছুই করা হয়নি।
দ্বিতীয়ত:- আমার ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ।
কাজেই নিজের মাতৃ ভাষায় চলে এসেছি আপনাদের মাঝে বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নিতে।
যদিও ছবিগুলোর নিচে জায়গার নামগুলো ইংরিজিতে দিয়েছি সকলের বোঝার সুবিধার্থে।
আজকে দেখতেই পারছেন ছবিগুলো ইস্তানবুল শহরের ছবি।
(Hagia Sophia Mosque- Istanbul) |
---|
তুর্কী শহর বেড়াতে যাবার ইচ্ছে থাকলে ইস্তানবুল না দেখলে আপনার ঘুরতে যাওয়া অসম্পূর্ণ এরকমটাই কথিত।
ছবিগুলো কিন্তু একই রকম কথা বলছে।
পৃথিবীর একমাত্র আন্তঃমহাদেশীয় শহর হলো ইস্তানবুল।
এখানে যে বাজারের ছবি দিয়েছি সেটাকেও পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম বাজার বলেই পরিচিত।
এছাড়া রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মিউজিয়াম, মসজিদ ইত্যাদি।
ছবির সাথে সংযোগ রেখে কিছু কথাও আপনাদের বলতে চাই।
আমরা সকলেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট জীব। যার শুরু আছে এবং শেষ আছে।
|
---|
অথচ দেখুন প্রতিটি দেশের মানুষের জীবনযাপন, পোশাক পরিচ্ছদ, তাদের দৈনন্দিন কাজের ধরনের বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়।
আমার মাঝে মধ্যে মনে হয়, সৃষ্টির রচয়িতা যখন একজন, তখন কেনো সকলে একই রকম মানসিকতার হতে পারি না।
যেখানে থাকবে না বিদ্বেষ, থাকবে না বিভাজন, থাকবে না হিংসা!
এরকম একটা পৃথিবী আমরা মনে মনে হয়তো সকলেই চাই, কিন্তু লোভ, আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারি না আমরা।
|
---|
অথচ জীবিত কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, শাহজাহান তাজমহল গড়ে রেখে গিয়েছেন সঠিক কথা, ভালোবাসার উদাহণস্বরূপ তাকে তুলে ধরা হয়। সাথে কিন্তু তিনি তাজমহল নিয়ে যেতে পারেন নি, তবে রয়ে গেছেন ইতিহাসের পাতায়।
কেবল ঠাঁই হয়নি সেই মানুষগুলোর যারা তাজমহলকে আকার দিয়েছেন, তাদের কথা কেউ বলেন না।
স্মৃতিসৌদ্ধ এরকম সব দেশেই কম বেশি আছে, তবে কিছু যত্নে আছে বলে তাদের ইতিহাস আজও মানুষ জানতে পারছেন আর বেশিরভাগ অযত্নের ফলে হারিয়ে গেছে সময়ের সাথে।
|
---|
যাইহোক এই ইস্তানবুল কিন্তু তিনটি শাসকের রাজধানী হিসেবে পরিচিত; লাতিন, রোমান আর অটোমান।
বর্তমানে আঙ্কারা হলো তুর্কীর রাজধানী, ইস্তানবুল নয়।
আমার কাছে অবাক করার বিষয় হলো, বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা সৃষ্টি করা যেকোনো জিনিসের মেয়াদ এত লঘু, সেখানে সেই প্রযুক্তি ছাড়া সৃষ্টির নিদর্শন আজও অক্ষত।
তাহলে কি কোথাও প্রশ্ন রয়ে যায় না, আধুনিকতা কি আমাদের উন্নত করছে না ফাঁকিবাজ তৈরি করছে?
যদি তাই না হবে তাহলে, দু দিনের তৈরি ব্রীজ কি করে ভেঙে পড়ে?
কি করে নবনির্মিত ইমারত অবলীলায় ধসে পড়ে?
আসলে ঐ যে আমি সবসময় পরিশ্রমের কথা বলি, এই পুরনো ইমারত টিকে থাকার পিছনে আসলে এটাই প্রমাণিত, সস্তার তিন অবস্থা।
(Devrent valley-Cappadocia) |
---|
(Bosphorus- Istanbul) |
---|
(Egyptian spice Market) |
---|
এই পুরনো সৌদ্ধগুলো যদি না থাকতো, তাহলে ইতিহাস মুছে যেত, আজকের মানুষ জানতেই পারতো না, সেই সময়ের মানুষের জীবনধারা সম্পর্কে।
কত অসুবিধার মধ্যে দিয়ে গিয়েও তারা আমাদের জন্য নিদর্শন রেখে গেছেন, যেগুলো প্রতিটি দেশের গর্ব।
যাইহোক, আজকের ছবিগুলো কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না, ইতিহাস মনে জানবেন আমাদের পূর্বপুরুষ কাজেই সবসময় সেগুলো সম্পর্কে জানবার প্রয়াস আমাদের সকলের করা উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আর্টিকেলটি বাংলায় লেখার জন্য, কেননা আমার মাতৃভাষা বাংলা তাই আমি বাংলা পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার পর একটি জায়গায় বারবার পড়তে ইচ্ছে করছিল সেটি হল, (শাহজাহান তাজমহল গড়ে রেখে গিয়েছেন সঠিক কথা, ভালোবাসার উদাহণস্বরূপ তাকে তুলে ধরা হয়। সাথে কিন্তু তিনি তাজমহল নিয়ে যেতে পারেন নি, তবে রয়ে গেছেন ইতিহাসের পাতায়।) ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে এটাই সত্য ঠিক তেমনি আর একটা সত্য হলো কেউ সাথে করে কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। আমি হয়তো বা কোন একটি জায়গায় পড়ছিলাম এই পৃথিবীটা অভিনয়ের মঞ্চ আমরা সবার জায়গা থেকে অভিনয় করছি। তো যাই হোক লেখা গুলো অনেক বাস্তবমুখী ছিল তাই আরও বেশি ভালো লাগলো করতে। বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করি যাতে করে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারি।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.