ভয়ংকর এক নিষিদ্ধ দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড(snake Island), যেখানে শুধুই সাপের রাজত্ব।
![]() |
---|
সমস্ত পৃথিবীতে সাপের যে সব দ্বীপ রয়েছে, তাদের মধ্যে এটির স্থানই সবার আগে। প্রায় ১১ হাজার বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানে ঘটে এবং এটি ব্রাজিলের মূল ভূ-ভাগ থেকে দূরে যায় ,আর এটিকে একটি দ্বীপে পরিণত করে। স্থানীয় লোকজন দ্বীপটিকে ইলহাদা কুইমাদা গ্রান্দে নামেই চিনে ।
দ্বীপটি প্রায় প্রায় বিশ মাইল দীর্ঘ। এখানে শুধু সাপেদেরই বসবাস। পৃথিবীর সবধরণের বিষাক্ত সাপই এখানে হাজার হাজার রয়েছে ।এই দ্বীপে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের মাঝে বোতরোপস ইনসুলারিস প্রজাতির সাপ পিট ভাইপার (গোল্ডেন লাঞ্চহেড) অন্যতম।
এই সাপ পৃথিবীর বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে একটি আর এই দ্বীপেই এই সাপটির প্রধান আবাসস্থল। সাধারণ বিষধর সাপের তুলনায় এই সাপ আরো কয়েকগুণ বেশি বিষধর হয়ে থাকে। এই প্রজাতির সাপগুলো দেখতে উজ্জ্বল হলুদেটে বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে । এরা গড়ে ২৮ ইঞ্চি থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে আর এদের বিষ এতটাই বিষাক্ত ও ভয়ানক যে, এই বিষ দিয়ে মুহূর্তের মাঝেই মানুষের মাংসকে গলিয়ে ফেলা সম্ভব। এই সাপের বিষ কোন মানুষের শরীরে প্রবেশ করার মাত্র আধা ঘন্টার মাঝেই সে মারা যায়।
![]() |
---|
এটাই পৃথিবীর একমাত্র জায়গা যেখানে এই সাপটি দেখতে পাওয়া যায় এবং এই সাপের জন্যই মানুষ দ্বীপটিকে এড়িয়ে যান। প্রায় চার লক্ষ ত্রিশ হাজার বর্গ মিটারের এই দ্বীপটিতে কমপক্ষে চার লক্ষ ত্রিশ হাজার সাপ রয়েছে অর্থাৎ এখানে সাপের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে, প্রতি এক বর্গমিটারে একটা করে সাপ পাওয়া যায়। এখানে প্রচুর সামুদ্রিক ও পরিযায়ী পাখি আসে যা কিনা এই সাপদের প্রধান খাবার।
প্রচলিত গল্প |
---|
এই দ্বীপ নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে স্থানীয় লোকজনের মাঝে। প্রচলিত আছে যে ,জলদস্যুরা এই দ্বীপে প্রচুর পরিমানে তাদের ধন-সম্পদ লুকিয়ে রেখেছিলো। তাদের এই সম্পদ যাতে আর কেউ না নিতে পারে সেজন্যই তারা কিছু বিষাক্ত সাপ নিয়ে এই দ্বীপে ছেড়ে দিয়েছিলো আর সেখান থেকেই এতো প্রচুর পরিমানে সাপের উৎপত্তি। তারপরও এই সেই সোনার লোভে মানুষ বারেবারই সেখানে গেছে ,কিন্তু তাদের কেউই ফেরত আসে নাই ।
![]() |
---|
সরকারিভাবে এখানে কোনও মানুষেরই প্রবেশাধিকার নেই। জাহাজ চলাচলের সুবিধার জন্য এই দ্বীপটিতে একটি লাইট হাউস তৈরি করা হয়েছিল উনিশশো নয় সালে। এটা নিয়েও শোনা যায় যে ,সেই লাইট হাউজ রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একটি পরিবার সেখানে বাস করতে গিয়েছিলো কিন্তু একদিন সাপেরা সেখানে ঢুকে তাদের সপরিবারে নিহত করে ,আর তারপর থেকেই একেবারে জনমানব শূন্য দ্বীপটি।
![]() |
---|
নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কখনো কখনো লাইটহাউস পর্যন্ত গিয়ে ওপর থেকে নিরীক্ষণ করে ফেরত আসেন। যদিও জীববিজ্ঞানী এবং গবেষকরা অনেক সময় কষ্ট করে ব্রাজিল সরকার থেকে অনুমতি পেয়ে থাকেন ।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcbLFsUnAvByRWqVfYseHWp96dDnrerJ2JEAey2YBHMfn/image.png)
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
আপনার পোস্ট পড়ে। আজকে একটা আজনা বিষয় সম্পর্কে আমার জানা হল। যেটা সম্পর্কে আমার আগে কোন ধারনা ছিল না। আপনি ভয়ংকর এক নিষিদ্ধ দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড সম্পর্কে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। এই রকম পোস্ট পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।
যাইহোক আপু আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় কোন পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।
ত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
ইতিহাস সম্পর্কে আপনার বেশ ধারণা রয়েছে আজকে আপনি আমাদের কাছে শেয়ার করছেন ভয়ংকর এক নিষিদ্ধ দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড যেখানে সাপের রাজ্য।
সাপ বেশি অংশ কম বেশি সব জায়গায় থাকে তবে এইখানে মনে হয় তুলনামূলক অনেক বেশি এই জন্য সাপের রাজ্য বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আপনার লেখা পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
এই দ্বীপ সম্পর্কে একটু আধটু জানা ছিল। তবে আপনি যেরকম বিস্তারিত আলোচনা করেছেন অনেক কিছু জানতে পারলাম। যেমন আপনি বলেছেন দ্বীপটিতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে একটি করে সাপ থাকে আর এই দ্বীপে কোন মানুষ বাস করে না। এত বড় দ্বীপ আর জন মানুষ শূন্য বেশ অবাক করা বিষয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর নতুন একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।