Contest of May #2 by @sduttaskitchen |Qualities all humans should carry within!
![]() |
---|
Edited by Canva |
---|
সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইলো।আশা করি সবাই ভালো আছে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মান্থলি কনটেস্ট এবং জন্য এতো চমৎকার বিষয়বস্তু নির্বাচন করার জন্য ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হলো ,মানুষের মাঝে যেসব গুণাবলী থাকা উচিত । নিচে এ বিষয়ে আমার মতামত তুলে ধরছি।
As per your viewpoint, which three qualities all humans should carry within? |
---|
আমার মতে প্রতিটা মানুষের মাঝে অনেক ধরণের গুণাবলীই রয়েছে। কিন্তু আমাকে যেহেতু এমন তিনটা গুণাবলী বেছে নিতে বলা হয়েছে যা সব মানুষের থাকা উচিত তাই আমি বলবো যে ,একজন মানুষের মাঝে অবশ্যই সততা ,ক্ষমাশীলতা ও ভালোবাসা থাকা উচিত।
- সততা
আমি মনে করি যে ,একজন মানুষের মাঝে অবশ্যই তার ঘরে -বাইরে সব জায়গাতে অথাৎ মানুষের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখা উচিত। অসৎ মানুষ পরিবার ,সমাজ ও রাষ্ট সবজায়গার জন্যই সমান ভাবে ক্ষতিকর।
![]() |
---|
- ক্ষমাশীলতা
মানুষ এর মাঝে অবশ্যই ক্ষমাশীলতা থাকা উচিত। জীবনের পথে চলতে গেলে আমাদেকে বিভিন্ন ধরণের মানুষ ও বিভিন্ন ধরণের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। অনেক সময় এমন সব অনাকাঙ্খিত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় । আমাদেরকে মানসিক ,সামাজিক কিংবা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় কোনো একজন বক্তি কিংবা একাধিক ব্যাক্তির কার্যকলাপ কিংবা চক্রান্তের শিকার হয়ে। যার ফলে ওই নির্দিষ্ট ব্যাক্তি কিংবা এই সব কাজের সাথে জড়িত মানুষগুলিকে আমরা মন থেকে ক্ষমা করতে পারি না।
তবে তারা যদি ভুল বুঝতে পারে বা এমন আচরণ করে যাতে মনে হয় তারা কিছুটা হলেও অনুশোচনাগ্রস্থ অথবা তাদের সাথে সাথে আরো মানুষ যেমন তার নিরপরাধ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে সুযোগ না দিলে ,তাহলে তাদের ক্ষমা করে দিয়ে আরেকটা বার সুযোগ দেয়া উচিত।
তবে সেটা একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত। সুযোগ দেয়ার পরও যদি সংশোধনের কোনো লক্ষণ দেখা না যায় তখন তাদের বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত কিন্তু সেটাও যতটা সম্ভব তার ক্ষতি না করে।
অথাৎ তাকে শাস্তি দেয়ার সময়ও যতটা সম্ভব ক্ষমাশীল হওয়াই উচিত ,নিজের গুণাবলী একেবারে ত্যাগ না করে।
![]() |
---|
- ভালোবাসা
আমার মতে একটা মানুষের জীবনের সবচেয়ে থাকা উচিত হলো হলো ভালোবাসা থাকা । এই ভালোবাসা শুধুমাত্র তার পরিবারের জন্য না ,বরং সমাজ ,রাষ্ট্র ও তার উর্ধে উঠে পুরো পৃথিবীর জন্যই থাকা উচিত।আর এই ভালোবাসা পুরো মানব জাতির পাশাপাশি প্থিবীতে বসবাসকারী সব জীবজন্তুর জন্যও থাকা উচিত। তবেই পৃথিবী সুন্দর হবে।
How do those qualities help to enhance us and others (including family and society)? Describe. |
---|
মানুষ যদি জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখে তাহলে এর প্রভাব সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই ভালোভাবে পরবে। এর একটা খুব সহজ উদাহরণ দিয়ে আমি বলতে পারি যে ,একজন মানুষ যদি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সততা বজায় না রাখে তাহলে তার পরিবারে কখনো শান্তি থাকবে না।
যদি কোনো স্ত্রী অথবা স্বামী তার সঙ্গীর সাথে সততা বজায় না রেখে বাইরে অন্য কোনো মানুষের সাথে সম্পর্কে জড়ায় তাহলে তার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হবে আর এর প্রভাব তাদের সন্তানের উপর পরবে অথাৎ তারাও শান্তিতে থাকতে পারবে না।
এরকম যদি বেশিরভাগ পরিবারেই ঘটে তাহলে তার প্রভাব পুরো সমাজে পরবে,আর যেহেতু সমাজ মিলেই রাষ্ট্র গঠিত হয় তাই এর প্রভাব পুরো রাষ্ট্রতেই পরবে। আর যদি এটা দেশে দেশে চলতে থাকে থাকে তাহলে পুরো পৃথিবীতেই পরবে এর প্রভাব। আর এর উল্টোটা যদি হয় তাহলে প্রতিটা ক্ষেত্রেই শান্তি বজায় থাকবে।
এটাতো আমি ঘরের কথা বললাম একই ভাবে যদি ব্যাক্তি তার কর্মক্ষেত্রে সততা বজায় না না রাখে তাহলে তার প্রভাবও সব জায়গাতেই পরবে। তাই প্রতিটা মানুষকে তার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে অবশ্যই সততা বজায় রেখে চলতে হবে সমাজ ও পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য।
![]() |
---|
মানুষতো ভুল করবেই ,কারণ মানুষ মাত্রই ভুল করে। তবে প্রতিটা মানুষই যদি তার পাশের মানুষটার প্রতি ক্ষমাশীল হয় তাহলে তার প্রভাবও পরবে সবজায়গাতেই। পরিবারের সদস্যরা যদি বাকি সদস্যদের প্রতি ক্ষমাশীল হয় তাহলে পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে। ঊর্ধ্বতন পদে অধিষ্ঠিত ব্যাক্তিরা যদি অধস্তন পদে কর্মরত মানুষদের প্রতি ক্ষমাশীল আচরণ করেন তাহলে কর্মক্ষেত্রে শান্তি বজায় থাকবে।
অনেক সময় ক্ষমা শাস্তির চেয়ে বেশি কাজ করে। অন্যায়কারী ব্যক্তির মাঝে ক্ষমা পেয়ে অনুশোচনার সৃষ্টি হয় এবং সে নিজেকে শোধরাতে চেষ্টা করে। যদিও এটা সবসময় হয় না ,অনেক সময় এর উল্টোটাও হয়। অন্যায়কারী ব্যাক্তি আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে। তারপরও তাকে সুযোগ দিয়ে দেখা উচিত।
ভালোবাসা থাকা উচিত সবকিছুর প্রতি, সেটা মানুষই হোক বা অন্যকোনো জীবই হোক। যদি মানুষের মাঝে ভালোবাসা থাকে তাহলে শান্তি নেমে আসবে সব জায়গাতেই। দেশে হানাহানি ,কাটাকাটি ,সন্ত্রাসবাদ দেশে যুদ্ধ -বিগ্রহও বন্ধ হবে।
পৃথিবীর সব দেশের ক্ষমতায় থাকা ব্যাক্তিবর্গ শুধুমাত্র নিজেদের কথা চিন্তা না করে সমস্ত পৃথিবীর কথা চিন্তা করে তাহলে শান্তি আসবে সব ক্ষেত্রে। কোথাও পড়েছিলাম যে ,পৃথিবীর কয়েকটা ধনী দেশ তাদের দেশের কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টন গম কিনে নিয়ে জাহাজ ভর্তি করে সমুদ্রে ফেলে যাতে পৃথিবীতে গমের দাম না কমে।
![]() |
---|
অথচ দামের কথা চিন্তা না করে যদি দারিদ্র পীড়িত মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের মাঝে কিছুটা কম দামে দিতো তাহলে লাভ কিছুটা কম হলেও মানুষ ক্ষুধার হাত থেকে রেহাই পেতো। যদি মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকতো ,তাহলে হিটলার ষাট লক্ষ ইহুদি মারতো না কিংবা হিরোশিমার নিরপরাধ মানুষগুলি মারা যেত না।
শুধুমাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেই না ,অতীতেও মানুষ মারা গেছে আর এখনো মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই আমি প্রতিটা ব্যাক্তির মাঝে ভালোবাসা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করি পরিবার ,সমাজ ,রাষ্ট্র এবং পুরো পৃথিবীর জন্য।
Do you believe identifying self-mistakes and quality somehow makes us distinct? Justify your view. |
---|
![]() |
---|
আমি নিজে যেহেতু মানুষ তাই আমি ভুলের উর্ধ্বে না ,আর নিজেকে কখনো সর্বগুণসম্পন্ন মানুষ বলেও ভাবি না । জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই ছোট বড়ো অসংখ ভুল করে থাকি। তবে অন্যের ভুল ধরার আগে নিজের ভুল খোঁজাটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি আমি। নিজের ভুল খুঁজে বের করে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে যাতে একই ভুল না করি সেই চেষ্টা করলেই মানুষের মতো মানুষ হতে পারবো বলে বিশ্বাস করি আমি।
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে আমি @mdsahin111 , @hafizur46n, @sifat420 এবং @goodybest কে এই কন্টেস্টে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
https://x.com/SayeedaSul40871/status/1794314438260162728
সব মানুষ যদি সৎ হতো, বিশেষ করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যারা দেশের উত্থান এবং পতন নির্ধারণ করেন, তাহলে দেশ এবং সমাজের চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে যেত। আমি বেশিরভাগ অসৎ মানুষকে দেখেছি ভুল এবং পাপ কাজ সজ্ঞানে বারংবার করে যেতে। সেই ক্ষেত্রে আমি তাদের ক্ষমা করার পক্ষে নই। ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
আপানার সাথে আমিও এই বিষয়টাতে সম্পূর্ণ একমত যে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যারা দেশের উত্থান এবং পতন নির্ধারণ করেন, তাহলে দেশ এবং সমাজের চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে যেত।
এই মানুষগুলির মতো বড় অপরাধীরা যে ভুল ও পাপ করেন আর এদের ক্ষমা করলে যে এরা পাল্টাবে এটা আমিও বিশ্বাস করি না।
তবে যারা খুব সাধারণ মানুষ তারা অনেক সময়ই ছোট ছোট অন্যায় করেন আর এদেরকে ক্ষমা করলে এদের মাঝে পাল্টানোর সম্ভাবনাও থাকে।তাই এদেরকে সুযোগ দেয়ার পক্ষপাতি আমি। আর শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে চরম শাস্তি যেমন মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিরোধী আমি।
কারন আমার কাছে মনে হয় যে, কোন অপরাধই শাস্তি মৃত্যু হতে পারে না।আর একটা মানুষ এর সাথে তার পরিবার এর মানুষগুলোও জড়িয়ে থাকে।তাই তাদের কথা চিন্তা করে হলেও কিছুটা ক্ষমাশীল হওয়া প্রয়োজন।
চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
মে মাসের কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একজন মানুষের মাঝে অনেকগুলো সৎ গুণাবলী প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি গুণাবলী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সততা এমন একটি গুণ, যে মানুষের মাঝেই সততা আছে সেই ব্যক্তি কখনোই কারো ক্ষতি করতে পারে না।
আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক সৎব্যক্তিকে মানুষ পছন্দ করেন না। যদিও অনেক মানুষ পছন্দ করেন না কিন্তু আমাদের সৃষ্টিকতা ঠিকই তাদেরকে পছন্দ করেন।
আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ছিল।
আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
সত্যি আপনার এই কথাগুলোর সাথে আমিও একমত । আমরা অন্যের ভুলগুলো ধরার আগে নিজের ভুলগুলো ধরি এবং সেগুলো শুধরানোর চেষ্টা করি তবে আমরা খুব সহজে সবকিছু সমাধান করতে পারব।
এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মানুষ গুণ ও দোষ সবকিছু নিয়েই আমাদের জীবন । আপনার মানুষের যে তিনটি বিশেষ গুনের কথা বলেছেন সত্যি এই তিনটি গুণ আমাদের থাকা একান্ত প্রয়োজন। সততা ক্ষমা ও ভালোবাসা ছাড়া জীবনকে সুন্দর করা যায় না।
আমাদের এই সমাজে প্রত্যেকটা মানুষ এক রকম নয়। প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা চরিত্র রয়েছে রয়েছে আলাদা আলাদা আচরণ। কিন্তু আপনি যে লেখাটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। সেটা সত্যিই অসাধারণ। একটা মানুষের মধ্যে ক্ষমাশীল তা ভালোবাসা এবং সততা অবশ্যই তার সাথে থাকতে হবে ধৈর্য। কেননা একটা মানুষের জীবনে এই জিনিসগুলো না থাকলে। সে কখনোই জীবনের পথ চলা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেনা।
সময়ের সাথে মানুষের পরিবর্তন হওয়ার পরিবর্তন হয় সমাজের। এসব কিছু পরিবর্তনের সাথে যদি মানুষের মন-মানসিকতা পরিবর্তন হতো। তাহলে আমাদের সমাজের নিরীহ মানুষগুলো না খেয়ে থাকতো না। কেননা বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম এত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার কথা অনুযায়ী তারা যদি একটু দাম কমিয়ে নিতো। তাহলে নিরীহ মানুষগুলো অন্ততপক্ষে পেট ভরে খেতে পারত। ধন্যবাদ প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।