Better Life With Steem | The Diary game | March 26, 2024 |
সকাল |
---|
আজকের সেহরির সময় আমরা কেউ উঠতে পারি নাই। আমি তো বলতে গেলে কোনদিনই আগে উঠতে পারিনা। সবার শেষে ওঠা পাবলিক আমি। এজন্য অবশ্যই আমার হাজবেন্ড আর ছেলেদেরকে প্রশংসা করতেই যে সেহরির পুরো ব্যাপারটাই ওরা সুন্দরভাবে সামাল দেয়।
অবশ্য মাঝে মাঝে যে আগে উঠতে পারি না এমনও না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে আমাদের কারোরই ঘুম ভাঙ্গে নাই। সাধারণত আমার হাজব্যান্ড সবার আগে উঠে। কিন্তু আজকে সেও অ্যালার্ম বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরেছে।
যার কারনে আমাদের উঠতে অনেক লেট হয়ে গেছে। সেহরির সময় সাধারনত আমি আর আমার বড় ছেলে সাধারণত কিছুই খাই না। ও আমারই মতো হয়েছে। সেহরিতে কিছু খেলে সারাদিনই কেমন জানি একটা অস্থিরতা কাজ করে। যার কারনে আমাদের কোন তেমন কোন সমস্যা হয় নাই।
কিন্তু আমার ছোট ছেলে আর ওর বাবারও কিছুই খাওয়া হয়নি। ওরা দুজনেও আমাদের মতোই পানি খেয়ে নামাজ পরে শুয়ে পরে। কিন্তু আমি না ঘুমিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে ভোর হওয়া দেখতে থাকি।
বেশ কদিন ধরেই ঠান্ডা পরেছে। কিন্তু আজকে যেন অন্য দিনের তুলনায় আরও বেশি ঠান্ডা লাগতেছিলো। বারান্দায় দাঁড়িয়ে রীতিমতো শীত লাগতেছিল। সেই সাথে ছিল প্রচন্ড বাতাস, আর বাতাসে আমার বারান্দার ছোট্ট বাগানের গাছগুলো অদ্ভুত সুন্দর ভাবে দোল খাচ্ছিলো।
বেশ কিছুটা সময় বারান্দায় কাটিয়ে রুমে এসে শুয়ে পরি।
মাত্রই চোখ লেগে এসেছে আর বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবারো শুব্দ।তাকিয়ে দেখি আমার হাসবেন্ডও জেগে পরেছে। আমাকে অবাক হতে দেখেই হয়তো সে জানালো যে আজকে তো ২৬ শে মার্চ। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
তখন বুঝতে পারলাম যে ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক অভিবাদন জানাতে।
আমাদের দেশে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস এই দুইদিনই ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়।প্রতিবছরই এই শব্দটা কানে আসলে একটা অদ্ভুত ভালো লাগায় মন ভরে যায়। চুপচাপ শব্দ শুনে আবারও ঘুমিয়ে পরি।
এরপর ঘুম ভেঙে ১০ টার দিকে। সাধারণত এত বেলা পর্যন্ত ঘুমাই না। বুয়া না আসার কারনে আস্তে আস্তে ঘরের কাজগুলো সেরে ফেলি।
দুপুর |
---|
দুপুর হলেই চিন্তায় পরে যাই আজকে ইফতারে কি বানাবো। সমস্যা হলো আমার দুই ছেলের পছন্দ দুই রকমই হয় বেশি। অন্যান্য বছর বাইরে থেকেই বেশি কিনে আনা হয়। কিন্তু এবার ঘরে বানানো খাবার খাওয়াতেই বেশি চেষ্টা করতেছি। প্রতিদিন যে সফল হচ্ছি এমনও না।
আজকে অবশ্য ছোলাবুট আর বেগুনি, পেয়াজু আর চপ দিয়েই কাজ চালিয়েছি।কিন্তু আম আর ওদের বাবা এসব না খেয়ে রুটি, লাউ আর ডিম ভাজি দিয়ে ইফতার করেছি।
রাত |
---|
কালকের মুরগির তরকারি রয়ে গেছে ওইভাবেই তাই আজকে আর রাতের জন্য কিছুই রান্না করি নাই। প্রয়োজনে ডিম ভেজে দেয়া যাবে।
এভাবেই দিনটা কাটিয়েছি আজকে।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.Thank you so much ma'am.
ঘুম থেকে সেহরির সময় উঠতে না পারার কারণে এক প্রকার না খেয়ে রোজা রাখলেন। যদিও রহমতের এ মাসে আল্লাহ ঠিকই তার বান্দাদের মধ্যে রহমত ছড়িয়ে দেন। যেমন প্রতিদিন রহমতের বৃষ্টি হচ্ছে এবং আবহাওয়া ও ঠান্ডা। সব মিলিয়ে রমজানের এই দিনগুলো সত্যিই খুব চমৎকার ভাবে কেটে যাচ্ছে। আপনার দিনগুলো খুব সুন্দর ভাবে কাটুক এই কামনাই করছি।
আপনার বারান্দার ফুল গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আসলে অনেকে এরকম সেহরির সময় পানি খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। কারণ অনেকেরই সেহরির সময় খেলে সারাদিন একটু অস্থিরতা কাটে। তবে আর যাই হোক আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে আমাদের রোজাদারের জন্য একটু সুবিধা হয়েছে। সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ফুল আসলে সব সময় সুন্দর সেটা আমার বারান্দাতেই ফুটিক কিংবা যেখানেই ফুটুক না কেন। পথ চলতি মানুষের নজর কেড়ে নেবেই।
এবারের রোজাটা কিছুটা ঠান্ডা ওয়েদারে হচ্ছে বলে আসলে রোজাদারদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে।
এতে কস্ট কমে গেছে অনেকটাই।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। এতো সুন্দর করে একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। এবারের রমজান মাসটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা কেটে গেল। অতিরিক্ত গরমের কষ্টটা খুব একটা পেতে হয়নি। আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ফুলের ছবিটি অসাধারণ।
ঠিকই বলেছেন যে, এবারের রমজান মাসে বেশ ঠান্ডা ঠান্ডাই ছুলো।যার কারনে রোজা রাখতে তেমন একটা কস্ট হশ নাই কারো। রোজার সময় মানুষ আসলে খিদের চেয়ে পানি পিপাসাতেই কাত হয়ে যায়।
আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে এই পানি পিপাসা থেকে রেহাই পাওয় যায়।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটা মন্তব্য পড়ে।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনারা আজকের দিনে কার্যক্রম পরে বেশ ভালো লাগলো।
এবং পোস্টটি পড়ার মাঝে আমার সাথে একটা জিনিস বেশ মিল পেলাম।
এটা আমিও আপনার মত এই রমজান মাসে দুপুর হলেই চিন্তা করি আজ ইফতারি কি তৈরি করব।
এটা মনে হয় প্রত্যেকটা সংসারের প্রতিটা নারী এ কথাটা চিন্তা করে, একটা মেয়ের মাথায় কত কিছু নিয়ে যে থাকতে হয় সারাটা দিন ভাবলে সত্যি মাথা ধরে যায়।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাসার সবাই যদি বড় মানুষ থাকে তাহলে রান্নার ঝামেলা অনেক কম হয় কিন্তু যদি কিছুটা ছোট সদস্য থাকে আর তারা যদি হয় একাধিক তাহলেই ঝামেলা। একজন যদি বলে খিচুড়ি খাব তো বরেকজন বলে পোলাও খাব। আমার বাসায় এটা নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা। যার কারনে জান বের হয়ে যেতে চায় আমার।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটা মন্তব্য পড়ে।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।