Better Life With Steem | The Diary game | March 14, 2024 |
সকাল |
---|
রাতে সেহরির পর আজকে আর জাগি নাই দ্রুতই বিছানায় চলে গিয়েছিলাম।কারন সকালে দ্রুত উঠতে হবে। আমার হাসবেন্ড এর একটা অপারেশন আছে আজকে। সে অবশ্য আগে চলে যাবে কিছুটা আর আমরা খানিকটা পরে।সকালে ৮ টার দিকে সে উঠে পরে।
তার উঠার শব্দ পেয়ে আমিও উঠে পরি।সে বের হয়ে যায় বাসা থেকে ৯ টার আগেই। বললো যে, রিকশা নিয়ে আমি চলে যাবো।সে চলে যাওয়ার পরে আমি ছেলেদেরকেও ডেকে তুলি।এরই মাঝে আমার দুই ভাইও কল দেয় যে কখন বের হবো।সাড়ে ১০ টা নাগাদ বের হওয়ার কথা থাকলেও ছোট ছেলেকে ঘুম থেকে তুলতে খুব সমস্যা হচ্ছিলো।টেনে তুলে বসিয়ে দিলেও ঘুমাচ্ছিলো ও।পরে জানতে পারি যে, ও সকালে ঘুমিয়েছিলো।
এর মাঝে বড় ভাই কল দিয়ে জানায় যে, ওদেরকেও যেন তুলে নিয়ে যাই বাসা থেকে। এর মাঝে আমার হাসবেন্ড কল দিয়ে জানায় যে, আমরা যেন সাড়ে এগারোটা নাগাদ বের হই কারন অপারেশন হবে দেড়টার দিকে।কিন্তু আমরা রেডি থাকায় বের হয়ে যাই। আজকে সকালে এই রাস্তায় একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে আর ২জন পরিচ্ছন্নতাকর্মি মারা গেছে যার কারনে তারা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিলো।
আমরা যখন বাসা থেকে বের হই তার সামান্য আগেই সব রাস্তায় সব গাড়ি ছেড়েছে। এর কারনে প্রচন্ডরকম এর জ্যাম রাস্তায়। এরই মাঝে আমার হাসবেন্ড কল দিয়ে জানায় যে তাকে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের আর তখন কিছু করার নেই। আমরা মাঝ রাস্তায় বসে আছি তখন। এইদিকে ভাই বকা লাগাচ্ছে আগে কেন যাই নাই। আসলে আমি হাসবেন্ড এর সাথেই যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে মানা করেছে।
যাই হোক, হসপিটালের কাছাকাছি এসে আমরা গাড়ি থেকে নেমে যাই আর হেটে হসপিটালে পৌঁছাই।
হসপিটালে পৌঁছে আমি হাসবেন্ড এর সাথে ভেতরে গিয়ে দেখা করি কারন তখন ভিজিটিং আওয়ার চলছিলো। কিন্তু তখনও যে দুই ডক্টর অপারেশন করবেন তারা এসে পৌঁছান নেই । তাই কখন অপারেশন হবে একজ্যাক্ট সময়টা জানা নেই।এই দুই ডক্টর এর একজন আমার ভাসুর হন।
অপারেশনটা খানিকটা ক্রিটিকাল হওয়ার কারনে তিনি স্পেশিলাইজড হসপিটালে তার স্যার এর কাছে রেফার্ড করেছেন।ওটিতে দুজনই থাকবেন।
দুপুর |
---|
এরপর শুরু হয় বিরক্তিকর সময় কাটানো। কারন ডক্টরদের কোন খবরই নেই। এরই মাঝে আমার ৩ দেবর এসেও পৌঁছায়। ২ টার দিকে আমার ভাসুর কল দিয়ে জানায়, যে তার হসপিটালে হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঝটিকা সফরে ল্যাব এইড মানে তার হসপিটালে এসেছেন। যার কারনে তিনি আটকে গেছেন।
সাস্থ্যমন্ত্রী বের হওয়ার সাথে সাথে তিনি বের হয়ে যাবেন।যার কারনে আমরা ধরেই নেই যে আজকে হয়তোবা আর ইফতার এর আগে অপারেশন হওয়া সম্ভব না। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে সাড়ে তিনটার পরে আমাকে ভেতরে ডাকে। যেয়ে দেখি আমার ভাসুর চলে এসেছেন। তিনি আমার সাথে কথা বলার পর অপারেশন শুরু করে দেন । ইফতার এর আগ মূহুর্তে ভেতর থেকে জানায় যে অপারেশন সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।
আমার ছেলেকে দিয়ে আগেই ইফতারি কিনে এনে রেখেছিলাম। আমার হাসবেন্ডকে ওটি থেকে বেডে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আযান দিয়ে দেয়।তখন আমরা সবাই মিলে ইফতার করি।
রাত |
---|
এর প্রায় আধাঘন্টা পরে আমাদের দুইজনকে ভেতরে যাওয়ার পারমিশন দেয়।আমি ভেতরে ঢুকে কথা বলে দেখি আল্লাহর রহমতে সুস্থই আছে শুধু হাতে কিছুটা ব্যাথা আছে।
হসপিটালের থাকতে দেয় না
কাউকে তাই আমরা এরপর বাসায় চলে আসি।আমার ভাই জোর করে আমাদেরকে ওর বাসায় নিয়ে যায় রাতে খাওয়ার জন্য। সেখান থেকে বাসায় আসি সাড়ে নটা নাগাদ।
এরপর সেহরির জন্য শুধু ভাত আর ডাল রান্না করি।সেহরির সময় ডিম ভাজি করে দিবো সাথে । এরপর দ্রুত ঘুমিতে যাই।কারন সারাদিন এমনিতেও স্ট্রেস গেছে আবার সেহরির সময় উঠতে হবে। এভাবেই দিনটা শেষ হয়ে যায়।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
নিঃসন্দেহে বলা যায় অনেক ব্যস্তময় একটি দিন কেটেছে আপনার, প্রথম দিক দিয়ে পরে খারাপ লাগছিল, যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসার আর সময় পেল না।।
তবে শেষের দিকে ভালো লেগেছে কারণ অপারেশন টা ঠিকঠাক মত ইফতারের আগে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
গতকাল একই জিনিস আমিও হসপিটালে বসে বসে ভেবেছি যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঝটিকা সফরে আসার দিন খুঁজে পেল না।আজকেই উনাকে আসতে হবে।
কিন্তু আসলে ভাগ্যের ওপর আমাদের কোন হাত নেই, যা হওয়ার সেটা হবেই। আর সেটাই হয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য শুভকামনা রইলো আপনার। জন্য।
ম্যাম আপনার হাজবেন্ডের অপারেশন সুস্থ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। যদিও আপনাদের একটু বিরম্বনায় পরতে হয়েছিল। রাস্তায় দুর্ঘটনার কারণে আটকে পড়া এরপর হসপিটালে স্বাস্থ্য মন্ত্রী আসা সব মিলিয়ে খানিকটা ঝামেলা পোহাতে হয়েছিলো। যাক শেসমেস সব কিছু ভালই হয়েছে।
গতকাল দিনটা আসলেই খারাপ গেছে। রাস্তায় একবার পরিচ্ছন্নতা কর্মি মারা যাওয়ার কারণে আমাদেরকে প্রচণ্ড পরিমানে জ্যামের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুট করে ল্যাবএইডে ঝটিকা সফরে এসেছিলেন। আর এই দুই ঘটনার ফলাফলই ভোগ করতে হয়েছে আমাদেরকে।
একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, যার শেষ ভালো তার সব ভালো। তাই অপারেশন ঠিক মতো হয়েছে এটাই সার্থকতা।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ঢাকা শহরের জ্যামের কথা কি বলবো আর, বিশেষ করে রাস্তার মধ্যে যদি কোন ঘটনা ঘটে। ওই সময়টাতে জ্যাম আরও বেশি থাকে। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ আপনার হাসবেন্ডের অপারেশন সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে, জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি উনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। চিন্তা করবেন না আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সবকিছু ঠিক করে দেবে।
ঠিকানা নেই একদম ঠিক বলেছেন ঢাকা শহরে জ্যাম কখন যে কোথায় শুরু হয়ে যাবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই । যদিও জ্যাম এর পরিমান আগের চোয়ে কমেছে কিন্তু যেটুকু আছে সেটুকুও মারাত্মক।। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে । এত সুন্দর করে মন্তব্য করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময়।
এটা ঠিক যে বিভিন্ন ধরনের ফ্লাইওভার হওয়ার কারণে, আগের চাইতে বর্তমান সময়ে ঢাকা শহরে জ্যাম অনেকটাই কম। কিন্তু আমি বেশ কিছুদিন আগে যখন এলিফ্যান্ট রোড গিয়েছিলাম। ওইখানে যেতে আমার প্রায় তিন ঘন্টা সময় লেগেছে। বিশেষ করে জ্যামের মধ্যে আমি দুই ঘন্টা বসেছিলাম। এ কারণেই ঢাকা শহর যেতে খুব কষ্ট লাগে, ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ঢাকার জ্যাম আগের চেয়ে অনেক কমেছে এটাও যেমন ঠিক আবার তেমনই হঠাৎ হঠাত এমন মারাত্মক জ্যাম লাগে যে তখন আর কিছু করার থাকে না।
আপনাকে এলিফ্যান্ট রোডে আসতে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে জেনে খারাপ লাগলো।
এজন্য অনেকে বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে থাকে তাদের অনেকে ঢাকায় আসতেই চায় না।
আমরাও যখন বের হই তখন হাতে সময় নিয়েই বের হয়ে থাকি তারপরও মাঝে মাঝে এমন ঝামেলায় পরে যেতে হয়।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সত্যি কথা বলতে এই জ্যামের কারণে ঢাকা শহর যখনই যাওয়ার কথা বলে, আমি এক হাত পিছিয়ে আসি। কেননা ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামের মধ্যে অপেক্ষা করার মতো ধৈর্য আমার নিজের থাকে না। কেননা আমি জার্নি করতে পারিনা সমস্যা হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
সকালে দ্রুত উঠতে হবে এজন্য সেহরি খাওয়ার পর আর রাত জাগেন নি, তারাতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম। আপনার হাসবেন্ড এর একটা অপারেশন আছে এজন্য সে একটু আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো। ছেলেকে দিয়ে আগেই ইফতার আনিয়ে রেখেছিলেন এবং সময়মত সবাই মিলে ইফতার করেছিলেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।।
সকালে কাজ থাকলে ভোরে জাগার কোন অপশন থাকে না।হয় সেদিন ঘুমানোর কোন সুযোগ থাকে না অথবা সেদিন দ্রুত ঘুমাতে হয়।
রোজার দিনে ইফতার এর আয়োজন করতেই হয় সেটা বাইরেই থাকি কিংবা বাসাতেই। এজন্যই ছেলেকে দিয়ে ইফতার কিনে এনে রেখেছিলাম সবার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আজকে সকাল বেলা সেহেরি খেয়ে আবার শুয়ে পড়েন ৷ আবার আজকে আপনার হাজবেন্ডের অপারেশন রয়েছে সে সকাল সকাল বেরিয়ে যাবে ৷ অবশেষে তাই হলো আর আপনি এই দিকে আপনার ছেলেদেরকে ডেকে তুললেন ৷
যাই অপারেশন সুস্থ ভাবে হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ৷ তারপর আমরা সবাই ইফতারি সেরে ফেলেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিকই বলেছেন আমার হাজব্যান্ড এর অপারেশন থাকার কারণে সেহরি খাওাার পরে দ্রুতই উঠে পরতে হয়েছিলো।কারণ সে সকাল বেলাই হসপিটালো চলে গিয়েছিল। যদিও আমি বেশ কিছু সময় পরে গিয়েছি।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময়।
আপনার দিনটি একদমই ভালো ছিল না এটাই মনে হল। কারণ পরিবারের কারো শরীরে এই ধরনের কথা থাকলে অন্যান্য সকলের অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
তবে এটার পড়ার পর ভালো লাগলো যে বিলম্ব হলেও শেষ পর্যন্ত অপারেশনটা সফল ভাবে হয়েছিল। আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের সুস্থ্যতা প্রার্থনা করি।🙏 আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সমস্যায় থাকা সত্ত্বেও আপনার লেখাটি পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
একদমই ঠিক কথা পরিবারের কোনো সদস্য যদি এধরণের থাকে তাহলে সেদিন সেই পরিবারের প্রতিটা মানুষের এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা থাকে।তবে যার শেষ ভালো তার সবই ভালো, এটাই সান্তনা দিতে হয় নিজেদেরকে।
আসলে ভিজিটিল আওয়ারের আগে বসে বসে ওই লেখাটা লিখেছিলাম।
এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।