Better Life With Steem | The Diary game | January 30, 2024 |
![]() |
---|
সকাল |
---|
আজকের দিনটা শুরু হয় রোদ ঝলমলে সকাল দিয়ে। যদিও গতকাল থেকেই মন খারাপ ছিল। বারান্দায় গিয়ে দেখি সূর্য উঠেছে। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে।
আমি শীতের দিন পছন্দ করি সেই সাথে কুয়াশাও। প্রতিবছরই শীত চলে যাওয়ার আগে মন খারাপ হয়ে যায় শীত চলে যাবে ভাবলে।কিন্তু কিছু করারও নেই, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যার কারনে মেনে নিতেই হয়, আর যদি মেনে নাও নেই তারপরও ধরে রাখা যাবে না।
বারান্দায় পাখি কিচিরমিচির শব্দ আর কা কা শুনতে পাচ্ছিলাম কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে গাড়ির হর্নের শব্দ কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিলো। স্কুল খোলা থাকার কারনে সাড়ে ছটা থেকেই রাস্তায় গাড়ি বাড়তে থাকে আর সোয়া সাতটা বাজা মানে রাস্তায় যুদ্ধ হয়ে গেছে ততক্ষণে।
আমি বারান্দায় থাকাকালীন সময়ে কাছেই কোথাও একট ট্রান্সফর্মার ব্লাস্ট হলো। বিকট শব্দে আমি নিজেও কিছুটা কেঁপে উঠেছিলাম কিন্তু পাখিগুলোকে দেখে খারাপ লাগলো।
লেকের পাড়ে গাছের উপরে যত পাখি ছিলো সেই সাথে আমার আশেপাশের পাখিগুলো বিশেষ করে কাকগুলো ভয় পেয়ে এমন কা কা করে উড়াউরি শুরু করলো যে এক ধরনের খারাপ লাগা শুরু হলো প্রকৃতির শান্তি আমরা কিভাবে বিনষ্ট করছি এটা ভেবে।
আমার বারান্দায় কয়েকটা এক পা'ওলা কাক খেতে আসে যারা এই ধরনের ব্লাস্টে তাদের পা হারিয়েছে।
![]() |
---|
সকালে হাসবেন্ডকে শুধু রুটি আর ডিম ভাজি আর সালাদ করে দেই। ছোট ছেলে সকালে নাস্তা না করেই স্কুলে চলে যায়। আগের দিন রাতে সবজি কেটে রেখেছিলাম ভেবেছিলাম যে সকালবেলা সবজি খিচুড়ি করবো।
কিন্তু হাসবেন্ড জানায় তার কাজ আছে আজকে অফিসে, খিচুড়ি খাওয়ার মতো সময় নেই। তাই ছেলে আর ওর বাবা দুজনই বের হয়ে যাওয়ার কারণে আর সবজিখিচুড়ি করা হয়নি।
বড় ছেলে রাতেই বলে রেখেছিল তাকে যেন সাড়ে নটার মাঝে ডাক দিয়ে দেই। ওর আজকে কুমিল্লা যাওয়ার কথা আছে। ও বের হবে ১১ টা সাড়ে ১১ টার দিকে, যার কারণে খিচুড়িটা কিছু একটু লেট করেই রান্না করি। ছোট ছেলের আজকে একটু মাত্র দুইটা ক্লাস যার কারণে চলে আসবে দ্রুতই।
বড় ছেলে বের হয়ে যাওয়ার আগে খিচুড়ি খেয়ে তারপরে চলে যায় কুমিল্লাতে। ওর ক্লাস শুরু হয়ে যাবে ৬ তারিখ থেকে। ওর জীবনে এত বড় ছুটি কোনদিনও কাটায়নি আগে কখনো ,এবার যতদিন ছুটি কাটালো।
দুপুর |
---|
সাড়ে বারোটার দিকে ছোট ছিল স্কুল থেকে চলে আসে। স্কুল থেকে আসার কিছু সময় পরেও খিচুড়ি খেয়ে নেয়, এটা ওর সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার একসাথেই হয়ে যায়।
এর মাঝে নিচ থেকে কিছু আলু আর পেয়াজ কিনে নিয়ে আসি।ছোট ছেলে খিচুড় খেয়ে জানিয়ে দিলো যে সে আর দুপুরে কিছু খাবে না। যার কারণে দুপুরে আর আলাদা করে কিছু রান্না করা হয়নি।
বড় ছেলে যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল যে সে কুমিল্লা থেকে ফেরত আসার সময় মিয়ামি রেস্টুরেন্ট থেকে খিচুড়ি নিয়ে আসবে রাতের জন্য। কালকের দিনটাকে বলা যায় খিচুড়িময় একটা দিন গেছে।
এক একটা দিন থাকে যে সেদিন চাইলেও আর কোন ভাবেই মন ভালো করা যায় না এমন একটা দিন গেছে আমার। নিচ থেকে এক চক্কর ঘুরে আসি তারপরও ভালো লাগতেছিলো না।
রাত |
---|
বিকেলের দিকে ছেলে লেকের পাড়ে চলে গিয়েছিল ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য। ও চলে আসে সন্ধ্যার পরপরই। আর তার কিছুক্ষণ পরে বড় ছেলেও চলে আসে কুমিল্লা থেকে। আগে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার কথা ভাবলেই ভয় লাগতো জ্যামের কারনে।
কিন্তু এখন সেই জিনিসটা পাল্টে গেছে। বিশেষ কোন ধরনের সমস্যা না হলে আড়াই থেকে তিন ঘন্টার মাঝে আসা যাওয়া করা যায়। রাস্তায় স্পিড লিমিট না থাকলে আরো দ্রুত সম্ভব হতো।
এখন মেট্রোরেল চালু হওয়াতে হাজবেন্ডের জন্যেও সুবিধা হয়েছে অনেক । প্রায় দিনই ব্যাংক থেকে বের হয়ে মেট্রোতে চলে আসে এতে সময়টা বেঁচে যাচ্ছে।দ্রুতই চলে আসে বাসায়। ওদের বাবা চলে আসার পর আমরা সবাই মিলে একসাথেই রাতের খাবারটা খেয়ে নেই। আরে এভাবেই দিনটা চলে যায়।
আমাদের এখানে কুয়াশার বিদায় ঘন্টা অলরেডি বেজে গেছে। কাছাকাছি কোথাও ট্রান্সমিটার বা ট্রান্সফর্মার ব্লাস্ট করলে ওই শব্দে কানে তালা ধরে যায়। আমরাই ভয় পেয়ে যাই তো পাখিদের আর কি দোষ। দুই বেলাই তাহলে খিচুড়ি খেয়েছেন।
এখন তো প্রায় প্রত্যেকটা দিন রোদ দেখা যায়। সেই সাথে শীত আমাদের কাছ থেকে একটু একটু করে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে। আসলে সময়টা তার গতি অনুযায়ী চলতে থাকে, কখনো এক জায়গায় থাকে না।
সংসারের কাজ এবং বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আপনি অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কাটিয়ে দিয়েছেন। আপনার আজকের দিনটা। তবে আমার কাছে শহরে রাত্রি বেলা অনেক বেশি সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এটা ঠিক যে শীত চলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, আজকে সন্ধ্যায় আবার বৃষ্টিও হয়েছে । বাচ্চাকাচ্চা থাকলে তো ঝামেলা থাকবেই তারপর এখন বড় হয়ে যাওয়ায় যেমন অনেকটাই ঝামেলা কম।
ছোট থেকেই ওদেরকে নিজেদের কাজ নিজের করা শেখানোর কারণেও অনেক কিছুই আমাকে আর করতে হয় না তেমন একটা।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সব সময় এই কামনা রইল আপনার জন্য।
যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। শুধু কুমিল্লা নয় যেকোন জায়গায় ই আগের তুলনায় একটু কম সময় ব্যয় হয়।
সবজি খিচুড়ি কিন্তূ খারাপ লাগে না। তাই না। আমার তো খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ছেলেকে সবজি খাওয়ানোর জন্য আমি প্রায়সময় রান্না করি সবজি খিচুড়ি।
আমার তো মনে হয় মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য আর্শীবাদ। ভালো লাগলো আপনার আজকের দিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক যে পুরো বাংলাদেশেই যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। যার কারনে জ্যামটাও পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
শীতের সময় সবজি খিচুড়ি আমি প্রায়ই করি কারণ বাচ্চারা সবজি একদমই খেতে চায় না। সবজি খিচুড়ি রান্না করলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে যায়।
ঠিকই বলেছেন মেট্রো রেল ঢাকা বাসীদের আশীর্বাদ স্বরূপ।
ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পা হারানো কাক গুলো আপনার কাছে আসে কারণ তারা আপনাকে বিশ্বাস করে, আর আপ্নিও তাদের প্রতিদিন খাবার দেন। অদ্ভূত ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।
শুধু কুমিল্লা নয় এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে, ঢাকা ছাড়া সব যায়গায় সহজে যাতায়াত করা যায়, ঢাকাতেও এখন জ্যাম কমে যাচ্ছে।
এটা ঠিকে যে যোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। জ্যামও কমে গেছে অনেকটাই। ঢাকাতেও অনেকটাই চেন্জ হয়েছে। আর বিশেষ করে মেট্রো রেল হওয়ার পরে তো আরো সুবিধা হয়েছে মানুষের।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
শীতকালীন সময়টা সবারই অনেক পছন্দের। কারন শীতকালীন সময়ে সবকিছু সুন্দরভাবে করা যায় যদিও ঠান্ডা লাগে তারপরেও কোন সমস্যা হয় না। আর গরমের সময় সবকিছু এলোমেলো লাগে চটপট লাগে কোন কিছুই ভালো লাগেনা।
একদম ঠিক কথা বলেছেন। শীতের সময় সব কিছুই খুব সুন্দর মতো করা যায় সামান্য শীত লাগলেও।কিন্তু গরমের সময় আসলেই খুব বিরক্তিকর। ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে।ভালো থাকবেন সবসময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।