Better Life With Steem | The Diary game | January 28 , 2024 |
সকাল |
---|
বিছানা থেকে উঠার শুয়ে শুয়েই পর্দার ফাঁকা দিয়ে বাইরের আলো চোখে পড়েছিল। দরজা খুলে দেখি কুয়াশা কেটে গিয়ে এক রৌদ্রোজ্জ্বল ঝলমলে সকাল আজকে। আজকে উঠতে কিছুটা লেট হয়ে গেছে অন্যদিনের থেকে। তারপরও বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ লেকের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
লেকের গাছের ওপর কুয়াশা আর রোদ মিলে এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে। বাইরে থেকে ভেসে আসা হর্নের শব্দ, লেকে দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের মানুষের শব্দ আর সেই সাথে পাখির কিচির মিচির সবকিছু মিলেমিশে একসাথে একাকার হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু লেট করে ওঠার কারণে এই ভালোলাগা উপভোগ করার সময় ছিল না।
দ্রুত রান্না ঘরে চলে গেলাম নাস্তা বানানোর উদ্দেশ্যে। কারণ আজকে হাজব্যেন্ড বললো যে আজকে অন্য দিনের থেকে দ্রুত এসে বাসা থেকে বের হয়ে যাবে। গতকাল সব রুটি রাতের বেলা খেয়ে শেষ করে ফেলার কারণে আজকে ফ্রিজে আর কোনো রুটিও ছিল না ।
যার কারণে একদিকে চুলায় আটা সেদ্ধ দিলাম পাশাপাশি আলু কাটতে থাকলাম। এত সুন্দর সব্জির সিজন চলছে।ছোট ছেলেটার জন্য আলু ভাজি করতে হচ্ছে প্রতিদিন না হলে ও সকালে কিছু খেতে চায় না। পাশাপাশি টমেটো কেটে সালাদ বানিয়ে নিলাম।
এটা অবশ্য পুরোপুরি আমি একা করি নাই। আমার হাসবেন্ড টমেটো কেটে দিয়েছে আর বাকিটুকু আমি করেছি। আমার হাজব্যেন্ড অন্যদিনের থেকে দ্রুতই নাস্তা করে বের হয়ে গেল সে ব্যাংকের উদ্দেশ্য।
সে চলে যাবার পরে যুদ্ধ চালাইলাম দুই ছেলেকে বিছানা থেকে টেনে তুলতে। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি ওদের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠাতে কিন্তু ওরা উঠতে চায় না।
এই নিয়ে প্রতিদিনই বাসায় যুদ্ধ চলে।অবশ্য ওদের কাজ বা ক্লাস থাকলে সেদিন ওরা নিজে থেকেই উঠে যায়, ঐদিন আর টানাটানি করতে হয় না। ছোট ছেলে ওঠে নাস্তা করে। আর বড় ছেলে উঠে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবার শুয়ে পড়ে।
দুপুরের রান্না শেষ করে ফেলি কারণ একটু পরে রান্না করতে গেলে গ্যাস পাবো না। ছোট ছেলে আগেই বলে রেখেছে রাতে মাছ খাবে না। তার আলুর ভর্তা লাগবে আর সেই সাথে ডাল। যদিও ডাল এই শীতের মাঝে কেউ খেতে চায় না।
দুপুর |
---|
বুয়ার দেখা নেই আজকেও, গতকালও আসে নাই। আসবে কিনা সেটাও বুঝতেছিনা ফোন করলেও রিসিভ করেনা। পরে ছোট ভাইয়ের বাসায় ফোন করে জেনে নিলাম সকাল ওর বাসায় কাজ করে গেছে। কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অনেক সময় দেখা যায় দুই এক বাসায় কাজ করে চলে যায়।
না আসলে তেমন একটা সমস্যা হয় না যদি আগে জানিয়ে দেয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় তখনি যখন তাদর জন্য কাজ ফেলে রাখি।পরে দেড়টার দিকে দেখি তিনি এসেছেন।
এরই মাঝে কলিংবেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুলে দেখি ভাইয়ের ভাইয়ের ছেলে এসেছে সোজা স্কুল থেকে। ওর ছোট ভাইকে আনতে আমার ভাবি স্কুলের অন্য ব্রাঞ্চে গিয়েছে। ওকে খাওয়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করি কিন্তু খায় না। কিছুক্ষণ থেকে চলে যায় তিনটার পরপরই।
ওর জন্য আজকে আমাদের সবার খাওয়াই আজকে কিছুটা লেট হয়ে যায়। খেতে বসার পরপর বড় ছেলের কাছে কল আসে যে আজকেও ওর ইনভিজিলেশন আছে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। বাসায় একদম কাছেই হওয়াতে কোন সমস্যা হয় না। ও যেখানে কাজ করে তার পাশেই পাশাপাশিই আমার দুই ভাইয়ের বাসা আর মিনিট পাঁচ/সাত এর দূরত্বে আমার বাসা।
কয়েকটা দিনই কাজ করতে পারবে তারপরে বন্ধ হয়ে যাবে হয়তো।৬ তারিখে ওর ওরিয়েন্টেশন ক্লাস এরপর সময় দিতে পারবে কিনা সেটা পরে বোঝা যাবে।ও বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় উইন্চকোর্টের উদ্দেশ্যে।
রাত |
---|
তার একটু পরেই ছোট ছোট ছেলেও বের হয়ে যায় ওর কোচিং শুরু হয়েছে আজকে থেকে। ওর কোচিং চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। ওরা চলে যাওয়ার পরে আমি ডায়েরি গেম লিখতে বসি।
রাতের ফটোগ্রাফিটা এক কথায় অসাধারন হয়েছে, প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।।।
এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।
শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার কাজে সাহায্য করেছে।। আসলে এরকমটাই করা উচিত দুইজন দুইজনার কাজে সাহায্য করলে কাজটা অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।।
এই শীতের মধ্যে কেইবা সকালে উঠতে চায়।। মন চায় দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকতে।। আজকে বাসায় আপনার ভাইয়ের ছেলেও এসেছিল।। আর হঠাৎ কাজের লোক না আসলে একটু অসুবিধাই হয়।।
শীতের দিনে একটাই সমস্যা সকালে বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে এমনিতে লেকের পাড়ে বেশ ভালোই লাগে ঘুরতে। আর সেটা যদি শীতকাল হয় তাহলে তার কোন কথা নেই। লেকের পাড় একেবারে কুয়াশা ঢেকে থাকে। যেটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে ।আপনার দিনটা বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কেটে দিয়েছেন। ধন্যবাদ ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।