Better Life With Steem | The Diary game | January 27 , 2024 |

in Incredible India7 months ago (edited)
Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage (1).png

সকাল

ছুটির দিন হবার কারণে ভেবেছিলাম লেট করে উঠবো । কিন্তু সে আসার গুঁড়ে বালি। সকাল বেলা ঘুম ভেঙে গেছে নিয়মমাফিক অন্য দিনের মতোই।
উঠে দেখি কুয়াশা আছে। যদিও আগের থেকে অনেকটাই ক্লিয়ার।
একবার ভেবেছিলাম যে বাইরে থেকে নাস্তা কিনে অন্য কিন্তু পরে মনে হলো যে ছেলেরা বিশেষ করে ছোটো ছেলে কদিন থেকেই বাইরেই বেশি খাচ্ছে যার কারণে রুটি আর আলু ভাজি করলাম আর সাথে সালাদ বানালাম।

বড় ছেলে নাস্তা না করেই চলে গেলো ওর কাজে। আজকে ওর ইনভিজিলেশন আছে উইঞ্চকোর্টে। ওর ডিউটি চলবে দুইটা পর্যন্ত। আসতে আসতে তিনটা বেজে যাবে। আজকে অবশ্য দুপুরে রান্নার কোনো ঝামেলা নেই। কারণ গতকাল আমার শশুর বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল।

আমি অবশ্য যাই নাই কারণ আমার দুই ছেলেই ঢাকাতে ছিল। সেখান থেকে খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে। ছোট ছেলে আর ওর বাবা দশটার দিকে নাস্তা করে নিলো।
বুয়া আসবে ভেবে তেমন কিছু করি নাই কিন্তু তার কোনো দেখা পেলাম না আজকেও। যার কারণে বাসার ছোটোখাটো কাজ গুলি করে নিলাম।

দুপুর

Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage (2).png

এরই মাঝে বড় ভাই বাসায় এসে হাজির। তার সাথে কথা বলতে বলতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো। ওকে খেয়ে যেতে বললাম কিন্তু রাজি হলো না। বললো যে ওষুধ খেতে হবে বাসায় যেয়ে।

ভাবীকে কল দিয়ে আসতে বললাম কিন্তু সেও আসলো না। বললো যে আমি কম্বলের ভেতরে আছি। বের হতে পারবো না। বড় ছেলের ডিউটি ২টা পর্যন্ত হলেও পরীক্ষার কপি কালেক্ট করে জমা দিয়ে বাসায় আসতে আসতে তিনটার কাছাকাছি বেজে যাবে যার কারণে খাবার গরম করতে একটু দেরিই করলাম।

নাহলে হয় বার বার করতে হবে অথবা ঠান্ডা হয়ে হয়ে যাবে। অবশ্য গরম করার মতো তেমন কিছু নেইও। বিরিয়ানিই শুধু। এর সাথে খাওয়ার জন্য সালাদ ,পেঁয়াজ আর লেবু কেটে নিলাম। গরম করে টেবিলে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেখি বড় ছেলে চলে এসেছে।

গরম করে টেবিলে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেখি বড় ছেলে চলে এসেছে। যার কারণে আজকে অনেকদিন পরে দুপুরের খাবার একসাথে আমরা চার জন মিলে খেয়ে নিলাম।

এর মাঝেই দুই ছেলে বাইরে কোথাও যাবো কিনা জানতে চাইলো। শুরুতে রাজিও হয়েছিলাম কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে চারটা বেজে গেছে। যার কারণে মানা করে দিলাম।
পরে অবশ্য কথা হলো যে আগামী সপ্তাহে হয়তোবা বড় ছেলের ইনভিজিলেশন নেই ,ঐদিন চেষ্টা করবো কোথাও সারা দিনের জন্য ঘুরে আসার।

রাত

Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage (3).png

পরে ছোট ছেলের পাশে কিছুসময় শুয়ে ছিলাম । এরই মাঝে দেখি আরেকভাই এসে হাজির। আজকে কন্টেস্টের জন্য লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেটা আর হলো না।

সে দেখি দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এসেছে। মেসেঞ্জারে অবশ্য আগেই দাওয়াত পেয়েছিলাম। আমাদের এক কাজিনের বিয়ে। অনেকটা হুট করেই ঠিক হয়েছে। সাথে আরোও কিছু জরুরি কথাও ছিলো।

আসার সময় মোগলাই পরোটা নিয়ে এসেছিলো। ওর সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় দশটা ছুঁই ছুঁই। ফ্রিজে রুটি ছিলো। সাথে ডিম্ ভেজে দিলাম। কারণ কথা বলতে আর কিছু করা হয় নাই। সেগুলি দিয়েই সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিলো। পরে আমি ডায়েরি গেম লেখা শুরু করলাম।



Thank You So Much For Reading My Blog

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
Loading...
 7 months ago 

আমরা চাইলেই আমাদের প্রত্যেকটা ইচ্ছে পূরণ করতে পারি না। কিছু না কিছু সমস্যা আমাদের হয়েই থাকে। আপনার আজকের দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে। আসলে পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য যদি এক জায়গায় থাকে। তাহলে খাবার গ্রহণ করতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।

 7 months ago 

এটা ঠিক যে চাইলেই ইচ্ছে পূরন করা সম্ভব না আমাদের পক্ষে।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আপনি কিন্তু খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন। আপনার প্রতিটা পোস্টে কিছু মন কেড়ে নেওয়ার মতো ফটোগ্রাফি করেন। আজের ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ।।।

 7 months ago 

আমার পোস্ট পড়ে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর হয়েছিল।
ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আপনিও ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 7 months ago 

আপনার ছেলেরা কখন কোন দিকে থাকবে তার ওপর নির্ভর করে আপনার সকালে কর্ম পরিকল্পনা। আসলে বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে তাদের সিডিউলের সাথে আমাদের কাজকর্ম মিলিয়ে নিতে হয়। এটা ঘরে ঘরের কাহিনী। তবে আপনার পরিবার, আপনার ভাইয়েরা আপনাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করে। খুব ভালো লাগে আমার এই ব্যাপারটি। দিনশেষে পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারার মধ্যেই তো সার্থকতা। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।

 7 months ago 

বাহিরের খাবারের চাইতে বাড়ির তৈরি করা খাবার অনেক ভালো সুস্বাস্থ্যের জন্য।। আর আপনার শ্বশুর বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল আপনি যাননি জন্য খাবারও পাঠিয়েছে আর এইজন্য দুপুরের রান্নার ঝামেলা ছিল না।।। আজকে আপনার ভাই ও এসেছিল কিন্তু আপনি খেতে বললেও সে খায় না কারণ ওষুধ খেতে হবে।।

ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।।

 7 months ago 

আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 58495.14
ETH 2461.74
USDT 1.00
SBD 2.36