Better Life With Steem | The Diary game | January 18, 2024 |
![]() |
---|
সকাল |
---|
আজকে ঘুম ভেঙে যাবার পরে বিছানায় শুয়ে শুয়েই গাড়ির হর্নের শব্দ পাচ্ছিলাম। ভাবতেছিলাম বিশেষ করে জুনিয়র সেকশনের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলোর এই ঠান্ডার মাঝে দুর্দশার কথা। একটু বড়ো হলে বাচ্চারা নিজেদের ইচ্ছের কথা বলতে পারে ,সুবিধা অসুবিধার কথা বলতে পারে কিন্তু এই ছোট বাচ্চাগুলি কিছুই তেমন একটা পারে না ।
আমি নিজেও প্রচন্ড ঠান্ডার মাঝে ওদেরকে বিছানা থেকে টেনে উঠিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতাম এখন ভাবলে খারাপ খারাপ লাগে। যখন ওদের প্লে গ্ৰুপে দিয়েছিলাম তখন বড়ো ছেলের বয়স ছিল ৩ প্লাস আর ছোট ছেলের যখন ক্লাস শুরু হয় তখন তিনও হয় নাই। এখন ভাবলে খারাপ লাগে এই ছোট বাচ্চাদের কষ্ট দিয়েছি।
গরমের সময় ঠিক ছিল। এতে অবশ্য একটা লাভ যে হয়েছে এতে কোনো ভুল নেই। আর সেটা হলো খুব ছোট থেকেই ডিসিপ্লিন শিখেছে। তবে ছোট বেলায় ওদের উপর পড়াশুনার কোনো চাপ ছিল না। চার বছর পর্যন্ত আমাকে বাসায় পড়াতে মানা করে দিয়েছিলো স্কুল থেকেই ,এটা ভালো লাগে।
অনেক স্কুলেই ভর্তি পরীক্ষার নামে বাচ্চাদের যে স্টিম রোলার চালায় এটা খুব খারাপ লাগে। দেখা যায় যে ক্লাসে ভর্তি হবে তার চেয়ে তিন ক্লাস উপরের পড়া তার বাবা মা তাকে বাসায়ই পড়াচ্ছে।
তবে এখন নাকি শিক্ষা ব্যাবস্থায় চেঞ্জ এনেছে কিছুদিন থেকে সরকার। আবার কিছু স্কুলে লটারি সিস্টেম আছে এটাও ভাল।
এসব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে প্রতিদিনের কাজে নেমে পরলাম। আজকে একটু টেনশন ফ্রি ছিলাম কারণ ফ্রিজে হাফ সেকা রুটি ছিল।
ছেলেকে নিয়েই যা সমস্যা। এটা খাবোনা ওটা খাবোনা। ওর বাবাকে আগের দিনের মুরগির তরকারি আর ডিম্ ভাজি করে দিলাম। সাথে চা। ছোট ছেলের আজকে ফিজিক্স এক্সাম। একটাই পরীক্ষা তাই দ্রুতই চলে আসবে। সে খাবে না বলে দিলো। পরীক্ষা শেষ করে এসে বন্ধুরা মিলে কস্তুরীতে শর্মা খাবে।
কয়েকদিন বন্ধ আছে আবার। একটু পরে ওর পুরোনো ঢাকার বন্ধু বাসায় আসলো। ও একটু আগেই বাসা থেকে বের হয়ে আসে কিন্তু ধানমন্ডিতে ঢোকার পরে আমার বাসায় আসে বেশিরভাগ দিনই। কারণ না হলে ওকে গাড়িতে বসে থাকতে হয়। এসেই বললো আন্টি চা খাবো। নাস্তার কথায় মানা করে দিলো।
ভাই আজকে ছেলেকে পরীক্ষার হলে নামিয়ে দিয়ে একবারে ধামরাই চলে গেছে যার কারণে এটা নিয়ে আমাকে আর মাথা ঘামাতে হয় নাই। আর বাসায়ও আসবে বন্ধুর গাড়িতেই।
এরই মাঝে দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেললাম। শীতের কারণে কেউই তেমন একটা খেতে চায় না কিছু। যার কারণে রান্নার ঝামেলাও কম
কিন্তু আমার হাসবেন্ড এর এই সিজনে মাথা খারাপ হয়ে যায়। সবজি দেখলেই কিনে নিয়ে হাজির। এগুলো খাবে কে এতো এটা বুঝানো যায় না।
![]() |
---|
দুপুর |
---|
এরই মাঝে লাইফ সাপোর্টে থাকা খালুর খোঁজ নিলাম। দিনে আর যাই নাই ,ভেবেছি রাতে আমার হাসবেন্ড বাসায় আসলে তখন যাবো।
দুপুরে শুধু আমি আর আমার বড়ো ছেলে খেয়েছি। ছোট ছেলে শর্মা খেয়ে আসার জন্য আর কিছু খায় নাই। আজকে দুপুরে খাওয়ার পরে ঘুমিয়েছি বেশ কিছু সময়।
দুপুরে ঘুমের তেমন একটা অভ্ভাস না থাকার কারণে উঠার পরে ভালো লাগে না।
আজকে সন্ধ্যার আগে দিয়ে ছোট ছেলে এসে বলতেছে যে আম্মু আজকে একটু খেলে আসি। যেতে বলছি কারণ ছেলেটা ঘরে বন্দি হয়ে আছে একপ্রকার অনেক দিন থেকেই।
রাত |
---|
একটু পরেই দেখি চলে এসেছে। দুপুরে ভাত না খাওয়ার কারণে এসেই ভাত খেয়ে নিলো। বড়ো ছেলেকেও দেখলাম ফ্রিজ থেকে একটা রুটি ভেজে নিয়ে খাচ্ছে মুরগির মাংস দিয়ে। যার কারণে আর কোনো নাস্তার ঝামেলা করতে হয় নাই।
আমি এসে ডায়রি গেম লেখার দিকে মনোযোগ দিলাম।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
বাচ্চাদেরকে সেই ছোট্ট বয়সে স্কুলে নিয়ে দৌড়ানোর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ছোট্ট বাচ্চা ঘুম থেকে উঠতে চাইতো না।তাকে কোলে করে রেডি করে স্কুলে দিয়ে আসতাম। আসলে আমাদের দেশে এই কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষা ব্যবস্থা এক ধরনের অত্যাচার। কবে যে এদের সুমতি হবে আল্লাহই জানে। তবে বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে আসলে অনেকটা চাপ কমে যায়। আপনি এখন একটু আরামে আছেন। তবে খাওয়া নিয়ে আপনার বাচ্চারা আপনাকে খুবই ডিস্টার্ব করে। সবমিলিয়ে আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আমার দুই ছেলেই সমান সমান ছিল। দুইটাই স্কুলে যাওয়া আসার সময় কোলে উঠতে চাইতো। এখন মনে পড়লে ভাবি কিভাবে যে সামাল দিয়েছি দুইটাকে।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
এটা খুব ভালো ডিশিসন হয়েছে লটারি সিস্টেম করে এবং মিনিমাম ৬ বছর বয়স চালু করায়। আগে এই পিচ্চিদের কোচিং করানো লাগতো, নিজের থেকে বড় ব্যাগ ঝুলিয়ে সকালে তারা কোচিং যেত। এখন ইনেকটাই দূর হয়েছে এই অত্যাচার।
লাইফ সাপোর্ট এর নাম শুনলেই কলিজা শুকিয়ে যায়। আল্লাহ আপনার খালুকে সুস্থ করে দিক আমিন।
আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে এসব কিছুই লাগে নাই। ওরা খুব ছোট বেলাতে ভর্তি করে নিজেরাই গড়ে তুলে ওদের মতো করে।
ইংলিশ মিডিয়ামগুলুতে ৬ বছর আসলে অনেক বেশি হয়ে যাই। বাংলা মিডিয়ামের ক্ষেত্রে ঠিক আছে। কাৰণ প্রথম বছরগুলোতে ইংরেজি ভালো করে না শিখলে পড়তেই পারবে না।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার মেয়েকে নিয়ে এখন রোজ সকালে এই কষ্ট টা করতে হয়।এই শীতের মধ্যে বাচ্চাদের স্কুল কিছু দিন বন্ধ রাখলে ভালো হতো।অনেক বাচ্চাদের ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
অনেকে বলে শীতের সময় নাকি খেয়ে অনেক শান্তি, কিন্তু আমি মনে করি শীতের সময় খাওয়া জিনিস টা সব থেকে কষ্টকর খাওয়ার পরেই হাড় কাঁপানো শীত ধরে।
ঠিকই বলেছেন আপনি। কয়েকটা দিন স্কুল বন্ধ রাখলেও চলতো এতো শীতের মাঝে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক বলেছেন ছোট ছোট বাচ্চাদের এভাবে স্কুলে নিয়ে যাওয়া। ঠান্ডা মধ্যে তাদের অবস্থা একেবারেই খারাপ। আর এত অল্প বয়সে স্কুলে দেয়ার আমার মনে হয় না কোন মানে আছে। বাসায় একটু একটু করে শিক্ষা গ্রহণ করানো উচিত।
শিক্ষাব্যবস্থা যদিও একটু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তবে আমি এই সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত না। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে সামান্য একটু জানতে পারলাম। পরবর্তীতে অবশ্যই বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে নেব। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ইংরেজি মাধ্যমে এর স্কুলগুলোতে একটু ছোট বয়সেই দিলে ভালো হয় কারন বাসায়তো আমরা ওইভাবে ইংরেজিতে কথা বলি না। স্কুলে ওরা বছর চারেক ইংরেজীটা আগে শিখে। এরপর ক্লাস ওয়ান এর পড়া শুরু করে। আর ওদের ক্লাস ওয়ান এর পড়া ও যথেষ্ট কঠিন। ইংরেজি মোটামুটি না জানা থাকলে পড়তে পারবে না।
বর্তমান শিক্ষানীতি সম্পর্কে আমিও ভালো জানি না।পক্ষে বিপক্ষে দুইপক্ষের কথাই শুনতেছি।তবে জানতে পেরেছি যে, সুইডেনের মতো করে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছে সরকার।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কুয়াশা তার মাঝে প্রচন্ড শীতে তার জন্য ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। এই প্রচন্ড শীতে বাচ্চাদের সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই স্কুলে যেতে হয়। এত শীতে বাচ্চাদের ঘুম থেকে ওঠা এবং স্কুলে যাওয়া ঠান্ডা বাতাস তাদের শরীরে লাগে এতে অনেক ক্ষতি হয়। তবুও কিছু করার নেই নিজেদের জ্ঞান অর্জন করার জন্য এগুলো করতে হয়। আবার অনেকেই বলে শীতে নাকি খেয়ে শান্তি পাওয়া যায় এবং সবকিছু স্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু আমার বেলায় একদম উল্টা। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মুখ লাগিয়ে তো খেতেই পায় না কি এর স্বাদ পাব।
থ্যাংক ইউ দিদি আপনার সারা দিনের কার্যকারী দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
শীতের দিনে খেতে আমারো খুব একটা ভালো লাগে না।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
।
আপনার পোস্টের শুরুতে আপনার কথাগুলো শুনে নিজেকে খুব খারাপ লাগলো। এত কম বয়সে নিজের ছেলেদের কি স্কুলে পাঠিয়েছেন এই শীতের দিনে। তবে খুব একটা যে খারাপ কাজ করেছেন এমনটাও না জীবনে বড় হতে গেলে কষ্ট করতে হবে। বর্তমান জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে সবাইকেই ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে হবে তাহলেই জীবন সুন্দর হয়। এরকম সুন্দর দিনের কার্যলিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিশ্রম এর কোন বিকল্প নেই আসলে।সেটা ছোট থেকে শুরু করলে তখন থেকেই অভ্যাস গড়ে উঠে। খারাপ তো লাগবেই কিন্তু কিছু করারও নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
একদম তাই বর্তমানে পড়ালেখার ধরন একদম অন্যরকম আমি নিজেই ক্লাস সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত আমার আম্মুর কাছে পড়েছি । আর এখন পেলেতে পড়া একটা বাচ্চার স্টুডেন্টের বেতন হয় 5000 টাকা,
তবে হ্যাঁ আপনার বারান্দার তোলা ফুল গাছটার ফুল গুলো কিন্তু অসম্ভব সুন্দর খুবই সুন্দর, এই ফুল খোপায় গুজলে বেশ ভালো লাগে।
বেশি রান্নাবান্না করলেন সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বেতনের কথা আর বলবেন না আপু । আমার দুই ছেলের পেছনে আমাদের জীবনের বেশির ভাগ টাকা এই বেতন দিয়ে শেষ করেছি। ওদের বেতন দেয়া হলে আমরা আমাদের প্রয়োজন মেটাই। কিছু করার নেই। শিক্ষা এখন কমার্শিয়াল হয়ে গেছে অনেকটাই।
আমি কখনো গাছের ফুল ছিড়ি না আপু ,সেটা আমার গাছেরই হোক কিংবা অন্য মানুষের গাছেরই। মায়া লাগে ছিড়তে।
এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
শীতের সময় ছোট বাচ্চাদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়।। যেখানে আমরা বড় ভাই সকালে উঠতে চাই না সেখানে ছোটরা পড়াশোনার জন্য সকালে উঠে।। আর বর্তমান সময়ে শিক্ষার অনেক পরিবর্তন এনেছে।।
আজ আপনার ছোট ছেলে খেলতে যেতে চেয়েছিল আর আপনি যেতে দিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।। খেলাধুলাও আমাদের জীবনের একটি অংশ।। মাঝে মাঝে খেলাধুলা করলে মনটা অনেক ফ্রেশ থাকে।।
কস্ট করলেও একদিক থেকে লাভ হয় ছোট থেকেই ডিসিপ্লিন শিখে। তারপরও কস্ট লাগলে ভাবলে যে কি ছোট্ট ছোট্ট মানুষ অথাচ কস্ট করতেছে।
শহরের বাচচাদের আসলেই খেলাধূলার সুযোগ খুব কম। ওরা চাইলেও নিরাপত্তা ও জায়গার অভাবে খুব একটা খেলতে পারে না। সেই সাথে সময়ের অভাবও।
তারপরও যতটা সুযোগ আচে চেষ্টা করি দিতে।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এটা আপনি একদম সঠিক বলেছেন।। গ্রামের তুলনায় শহরের বাচ্চারা খেলাধুলার সুযোগ খুবই কম পায় ।। সেইসাথে নিরাপত্তার একটা বিষয় রয়েছে।।