Better Life With Steem | The Diary game | January 17, 2024 |
![]() |
---|
সকাল |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিচে যাব ভেবেছিলাম কিন্তু ঠান্ডার কারনে হাসবেন্ড বাধা দেয়ার কারনে আর সেটা সম্ভব হয় নাই। পরে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম কিছু সময় এর জন্য। দ্বিতীয় বার ঘুম ভেঙেছে হাসবেন্ড এর ডাকে। ওঠে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গিয়েছিলাম কুয়াশা দেখতে। দেখে মনে হলো আজকে কুয়াশা সামান্য বেশি।
এতদিন বারান্দায় গেলে পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যেত।কিন্তু কয়েকদিন থেকে স্কুলগুলো খুলে যাবার কারনে সকালে পাখিদের শব্দের বদলে গাড়ির হর্নের শব্দে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠে। সকালে গাড়ির হর্ন এর শব্দ পেলেই বাইরে না গেলেও বোঝা যায় কবে স্কুল বন্ধ আর কবে খোলা।
ছেলের রুমে গিয়ে দেখলাম সে প্রতিদিন এর মতোই আজকেও ভোরে উঠে পড়তেছে। আজকে ওর M-1 পরীক্ষা। রান্নাঘরে ঢুকে আজকেও আলুভাজি করলাম। টানা কয়েকদিন থেকেই এটা করতেছি।কারন ছোটছেলে সকালে শুধু আলুভাজিই খাচ্ছে।
মাংস দিলে বলে মাংসের গন্ধ আসে, আবার অন্য কোন সবজি দিলে বলে খাব না। আলুভাজি আবার ওর বাবা পছন্দ করে না তার জন্য আবার সালাদ বানাতে হয়।
নাস্তা বানিয়ে দুজনকেই খেতে ডাকলাম।ওইদিকে বড় ছেলেকেও ডেকে তুললাম। সে অবশ্য নাস্তা করে না সকালে ঠান্ডা লাগে বলে।
প্রথমে আমার হাসবেন্ড চলে গেল এরপর বড় ছেলের সাথে ছোট ছেলেও পরীক্ষা দিতে চলে গেল।
ওরা চলে যাওয়ার পরে দ্রুত রান্না ঘরে ঢুকে পরলাম আবার কারন আজকে সকাল বেলাতেই দেখেছি গ্যাসের অবস্থা খুব একটা সুবিধার না।যার কারনে রুটি বানানোর সময়ই ফ্রিজ থেকে মুরগী বের করে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।দ্রুত দুপুরের রান্না করে ফেললাম।
![]() |
---|
দুপুর |
---|
এরই মাঝে বড় ছেলেও চলে আসলো ওকে টোকিও কনভেনশন সেন্টারে নামিয়ে দিয়ে এসে।
এরপর ভাবি কল দিয়ে জানালো যে আমার এক খালুকে ইবনে সিনাতে নিয়ে আসা হয়েছে। বিকেলের দিকে তাকে দেখতে গেলাম কিন্তু দেখা সম্ভব হয় নাই। কারন আইসিইউ তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। যেয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মাসখানেক আগেও দেখেছি।
পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়েছিলো যার কারনে দুইবার পা কেটে ফেলতে হয়েছে কিছুটা। এবার কিডনি কাজ করছে না আর লাংসে পানি এসেছে।
রাত |
---|
সেখান থেকে বাসায় এসে একটা পোস্ট লিখলাম কিন্তু একবার AI জিরো দেখালে পরের দুইবার দুই রকম দেখায়। কি যে এক ঝামেলা। এরই মাঝে ছেলেদেরকে নুডুলস রান্না করে দিলাম। আরেক দিকে দ্রুত রাতের জন্য ভাতও রান্না করে নিলাম। সব শেষ করে হ্যাং আউটে যোগ দিলাম।
কিছুসময় পরেই ছেলে আর আমার হাসবেন্ড এর উত্তেজিত কন্ঠস্বর কানে আসায় বোঝলাম কিছু একটা হয়েছে হয়তোবা খালুর।লিভ নিয়ে বেরিয়ে এসে জানতে পারলাম যে, খালুকে লাইফ সাপোর্ট এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে । পরে হাসবেন্ড বললো চলো যাই একটু দেখে আসি। যদিও জানতাম দেখতে পারবো না।
পরে সেখানে অল্প কিছু সময় থেকে বাসায় ফেরত আসলাম।মনটাই খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু করারও নেই কারন এটাই জীবন।কোন কিছু জন্যই থেমে থাকে না ।
একজন পর্দার আড়ালে যদি চলেও যায়, তাতে সামান্য সময়ের জন্য সবকিছু থামকে গেলেও সবকিছু আবার চলতে থাকে তাকে বাদ দিয়েই।
সে স্মৃতিতে উজ্জ্বলভাবে থাকলেও প্রতিদিনই একটু একটু করে সেই স্মৃতি ও ধূসর হতে থাকে।
তারপর একদিন সেই ধূসর স্মৃতিবহনকারী মানুষটাও ঠিক তারই মতো পর্দার আড়ালে চলে যায়।
আপনার আজকের দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গিয়েছে। আসলে বাসার একেক জন যখন একেক রকম খাবার পছন্দ করে। তখন রান্না করাটাই ঝামেলা হয়ে যায়।
সন্ধ্যায় পোস্ট করতে বসে আপনার অবস্থা খারাপ আপনি চেক করে আর পোস্ট করতে পারেন নাই। এরপর আপনার ছেলেকে নুডুলস বানিয়ে দিলেন হ্যাংআউটে উপস্থিত হয়েছেন।
আমরা দেখেছি আপনি হঠাৎ করেই বের হয়ে গেছেন। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে জানতে পারলাম আপনার খালু কে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে গেছে। যার কারণে আপনি ওখান থেকে বের হয়ে তাকে দেখতে গিয়েছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালা উনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেবে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে খালু এত ভালো মানুষ তাকে অসুস্থ দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। মানুষগুলো এক এক করে চলে যাচ্ছে চোখ এর সামনে দিয়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বেশি। আলুভাজা আমারও খুব ভালো লাগে রুটি দিয়ে আলু ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে আমার চা দিয়ে ও মাঝে মাঝে খাই ,যখন যেটা পাই কিন্তু আলু ভাজি বরাবরি ভালো লাগে। ইবনে চিনে এসেছে মিষ্টি অসুস্থ দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন সুস্থ করে দেয় দ্রুতই। বিকেলে আবার ছেলেকে নুডুলস রান্না করে দিলেন। মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যে কাটলো আপনার দিনটি। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সারাদিনের কার্যক্রমের কিছু অংশ আমাদের
সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার বাড়ি স্কুল পাড়াতে। যার কারণে স্কুলের গাড়ির ধরনের শব্দের অত্যাচার একটু বেশিই সহ্য করতে হয় স্কুল খোলা থাকলে।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
মেনে নিতে হয় না আপু। অভস্থ হয়ে গেছি এতে। আবারো রিপ্লাই দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। আপনি থাকেন স্কুল পাড়ায়। আর আমি থাকি বাজারপাড়ায়। 😭😭😭
দুপুরের জন্য তো অনেক কিছুই রান্না করেছেন। আপনার খালুর অবস্থা সত্যিই খুব সংকটজনক। একদম বাস্তব কথা বলেছেন, সময়ের সাথে সাথে স্মৃতিও ধূসর হতে শুরু করে আর একদিন সেই ধূসর স্মৃতি বহনকারীও পর্দার আড়ালে চলে যায়।
খালুর অবস্থা আসলেই খুব খারাপ।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনার কার্যলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু আপনার হাজব্যান্ড ভাড়া দেওয়াই আপনি আবারো ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে কুয়াশা দেখেছেন। গত কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে চারিদিকে প্রচুর ঠান্ডা ও কুয়াশা পড়তেছে। আপনার পোষ্টের শুরুতে যে চায়ের কাপের ছবিটি দেখেছি আসলে অসম্ভব সুন্দর ছিল। শীতের দিনে সকালবেলা চা না হলে কারো চলে না।
আমি কিন্তু আসলেই ভালো চা বানাই😃
ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
খুব সুন্দর এবং ভালো একটি দিন কাটিয়েছেন আপনি অনেক ধরনের রান্না বান্না করেছেন,
বিশেষ করে আপনার সালাত বানানোটা তো বেশ সুন্দর। দেখি বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।