Better Life With Steem | The Diary game | January 16, 2024 |
সকাল |
---|
আজকে প্রথমবার ঘুম ভেঙেছে ফোনের রিংটোন শুনে। অনেক রাতে কিংবা এতো সকালে কারো কল আসলে মনের মাঝে একটা ভয় কাজ করে। একধরনের চাপা টেনশন নিয়ে কল রিসিভ করে শুনি শিউলির মায়ের কল ,তাকে খুজতেছে । রং নাম্বার বলে আবার চোখ বন্ধ করেছি আর ঘুম ভেঙেছে হাসবেন্ডের ডাকে একেবারে ৮ টার সময়। উঠে চোখে অন্ধকার দেখার অবস্থা।
দ্রুত হাতে আলু ভাজি আর রুটি তৈরী করি। এরমাঝে আমার হাসবেন্ড বলতেছে যে ,সালাদ বানাবে না আজকে ? তাকে বললাম সময় পেলে বানাবো। এটা শুনে সেই টমেটো ,পেঁয়াজ ,ধনেপাতা আর কাঁচামরিচ কেঁটে বললো এখন তুমি মাখাও এটাকে। আমার জন্য অবশ্য ভালোই হলো কাজ কমে গেলো কিছুটা।
ঐদিকে ছোট ছেলে ভোর ৪টার সময় উঠেছে। রাতে নাকি মাত্র ২ঘন্টা ঘুমিয়েছে।
আজকে ওর পিউর ম্যাথ আর কেমেস্ট্রি পরীক্ষা। ওকেও বললাম নাস্তা করে নিতে। ঐদিকে বড়ো ছেলেকে ডেকে তুললাম ওর সাথে যাওয়ার জন্য। কারণ আমি গেলে রান্না করতে পারবো না।
গ্যাস থাকবে না পরে। একটু পরে আমার ভাই কল দিয়ে জানতে চাইলো ওর আজকে এক্সাম আছে কিনা । সে বললো যে ড্রাইভার পাঠিয়ে দিবে ওকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এটা শুনে বড়ো ছেলে আবারো শুয়ে পড়লো। ওদের বাবা ব্যাংকে চলে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরে ছোট ছেলেও চলে গেলো।
ওর আসতে আসতে প্রায় সাড়ে ৫ টার বেশি বেজে যাবে। তাই দুপুরে শুধু আমাদের দুজনের জন্য ভাত রান্না করলাম। কারণ ছোট ছেলে যখন আসবে তখন একদম হয়ে যাবে ভাত। তাই ভাবলাম যে ৫টার দিকে একবারে রাতের জন্যও রান্না করে ফেলবো।
শীতের জন্য ইদানিং আমার দুই ছেলেই খেতে চায় না। খেতে বললেই বলে শীত করে। তাই শুধু আইর মাছ আর শিমের ভর্তা করলাম। গতকালের তরকারিও রয়ে গেছে।
দুপুর |
---|
![]() |
---|
রান্না শেষ করে একবার ভাবলাম ছোট ছেলের কাছে যাই কিন্তু ওদের ফোন নেয়া নিষেধ যার কারণে ওকে খুঁজে পাবো না আর গুগুল করে দেখলাম রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। তাই যাওয়ার আশা ছেড়ে দিলাম। কদিন থেকেই এত্তো জ্যাম শুরু হয়েছে। পরে দুপুরে একসাথেই খেয়ে নিলাম।
খাওয়ার পরে ছেলে আর আমি বসে বসে আইস গলে যাওয়া নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি দেখলাম। এতো খারাপ লাগলো দেখে।ভদ্রলোক বলতেছিলেন যে,আমি আমার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করছি কারণ আমি প্রতিদিন দেখতেছি কিভাবে বরফ গলে যাচ্ছে প্রতিবছর। এগুলো দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়।
সাড়ে ৫টার দিকে ছেলে চলে আসলো কিন্তু মাছ দেখে তার খাওয়ার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে গেলো। ডিম্ ভেজে দিতে চাইলাম সেটাও খাবে না। বাধ্য হয়েই শেষে খাবার অর্ডার দিতে বললাম। সে চিকেন পোলাউ আর কাবাব অর্ডার দিলো।
রাত |
---|
ওর খাওয়া হবার পরে আমি বসে বসে কিছুক্ষন কমেন্ট করলাম।
এরপর ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম।
বাচচাদের আর দোষ দিয়ে লাভ কি।কল করলেই মজার মজার খাবার চলে আসে। যত বেশি অর্ডার তত বেশি ডিসকাউন্ট। যার কারনে বাসার খাবার ভালো লাগে না।আগের দিনের মতো যদি জয়েন্ট পরিবারে বড় হতো আর কাড়াকাড়ি করে খেতে হতো তাহলে সব খাবারই ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে তারপরও আপনি তাড়াতাড়ি সব কাজ সেরে নিয়েছেন, অবশ্য আপনার কাজে আপনার হাসবেন্ড সাহায্য করেছে।। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক যে আমার হাসবেন্ড বাসায় থাকলে যতটা সম্ভব সাহায্য করে আমাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল। আমার মতামতের সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন হঠাৎ করে মাঝরাতে বা ভোরে যদি কেউ ফোন দেয় তখন খুব ভয় লাগে। আপনার ছেলের পরীক্ষা তাই সে ভোর থেকে পড়াশোনা শুরু করে দিল। একেতো শীত তার উপরে পরীক্ষা তাই ওর একটু বেশি যত্ন নেবেন।
শীতের দিনে কেন যেন মাছটা এবার ভালো লাগছে না। আর ভাত তরকারিও খুব কম খাওয়া হয়। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন পার করলেন আপনি।
শীতের সময় খাওয়াটা আমার নিজের কাছেও বিরক্তিকর লাগে কিছুটা। খেলে ঠান্ডা লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সবারই এক রকম অবস্থা অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়। তারপরেও আপনি তাড়াতাড়ি নাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন। আপনার হাসবেন্ড ব্যাংকে চলে গিয়েছে ছেলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছে।
রান্নাবান্না শেষ করে চিন্তা করেছিলেন ছেলেকে দেখতে যাবেন। কিন্তু তাকে পাবেন না এবং রাস্তার মধ্যে প্রচুর জ্যাম থাকার কারণে আপনি আর যেতে পারলেন না। সন্ধ্যায় রান্নাবান্না করার পর আপনার ছেলেরা আসলে খাবার খেলো। এরপর আপনি কিছু পোস্টে কমেন্ট করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বেশিরভাগ সবার শীতের দিনে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক লেট হয়।আপনার বেলায় সেটাই হয়েছে। সকালবেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে সকালে নাস্তা তৈরি করলেন। শুনে খুব ভালো লাগলো আপনার কাজে আপনার হাসবেন্ড সাহায্য করেছে । এরকম পারফেক্ট একটা জীবনসঙ্গী থাকলে কোন কিছুতে কষ্ট হয়না।
থ্যাঙ্ক ইউ খুব ভালো লাগলো আপনার সারা দিনে ডায়েরি দিন পরে।
একদম ঠিক বলেছেন শীতের দিনে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক লেট হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে হঠাৎ এরকম মধ্যরাতে ফোন আসলে মনের ভিতরে একটা ভয়ে কাজ করে। ফোন রিসিভ করার আগে মনের ভিতর একটু টেনশন কাজ করে মনে হয় যে কারো কিছু হলো নাকি । আপনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেছেন পরে রং নাম্বারে ফোন ছিল। পরে আপনি ফোন রেখে দিয়ে আবারো ঘুমিয়েছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনি তাড়াতাড়ি নাস্তা রেডি করেছেন এদিকে আপনার ছোট ছেলের দুটি পরীক্ষা ছিল বিধায় সে অনেক রাতে উঠে বই পড়তে বসেছিল পরে সেও সকালে নাস্তা করেছিল। প্রতিদিন এর মত আপনার আজকেও কার্যলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই তাই, অসময়ে হঠাৎ কল আসলে মনের মাঝে একটা ভয় কাজ করে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।