Better Life With Steem | The Diary game | January 12, 2024 |

in Incredible India2 years ago (edited)

সকাল

সকালে ঘুম ভেঙে উঠার কিছুসময় পরে শীত লাগার কারনে আবারও বিছানায় গিয়েছিলাম একটু। এই কাজটা করেছিলাম ছুটির দিন হবার কারনেই।
উঠে দেখি সাড়ে নয়টার বেশি বাজে। বারান্দায় গিয়ে দেখলাম বাইরে আজকে তেমন ঘন কুয়াশা দেখা না গেলেও চারপাশ সাদা হয়ে আছে। কিন্তু আগে যেমন সামনের বিল্ডিংগুলো দেখা যেত না কুয়াশার জন্য তেমন কুয়াশা কয়েকবছর ধরে দেখি না। ৩২ এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম শেখ মুজিবের বাড়ির সামনের ফোয়ারা ছাড়া সকাল বেলাতেই।
ফোয়ারার পানি লেকেরপাড়ের গাছের ওপর দিয়ে দেখা যাচ্ছে।এত সকালে নরমালি ফোয়ারা ছাড়া থাকে না বিশেষ বিশেষ দিন ছাড়া। তবে তিনটার পরে প্রতিদিনই ছাড়ে।আজকে কোন বিশেষ দিন কিনা মনে করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলাম। আমার ছোট্ট বাগানের গাছগুলোতে একটু পানি দিলাম।
ছুটির দিন হবার কারনেই ধীরে সুস্থে এসব করতে পারছিলম। আর সবাই ঘুমে। ছোট ছেলেটা জ্বরে ভুগছে কদিন থেকেই।তবুও ভালো যে কদিন আবার পরীক্ষা নেই। আশাকরি একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠতে পারবে ইনশাল্লাহ।

রুমে ঢোকার পরেও শীতের কারনেই কিনা জানি না মারাত্মক আলসেমি লাগতেছিলো।ইচ্ছে করেই কাউকে আর ডাকি নাই ।
রুমে ঢোকার পরে শুনলাম ৩২ থেকে জয় বাংলা শ্লোগান ভেসে আসছে। তাতে মনে হলো যে আজকে হয়তোবা প্রধানমন্ত্রী এসেছেন বাড়িতে। তবুও ভালো যে ছুটির দিনে সকালে এসেছেন । নাহলে যেদিন তিনি ধানমন্ডিতে ঢুকেন সেদিন দুপুর পর্যন্ত মারাত্মক জ্যাম লেগে থাকে।
এদিকটা স্কুল পাড়া হবার কারনে এসমস্যা আরো বেশি। আসলে স্কুলগুলি যদি স্কুলবাস চালু করতো তাহলে জ্যাম কিছুটা কমতো। এখন একটা বাচচার জন্য একটা গাড়ি, আর এই জিনিসটা জ্যামকে করে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। এর মাঝে যদি রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা ৩২ঢুকেন তাহলেতো আরও সোনায় সোহাগা।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে দশটা বেজে গেছে।

Beige Minimalist Mood Photo Collage (1).png

এটা দেখেতো আমার মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা যে কিভাবে রান্না করবো। তাই নাস্তা বানানোর কথা চিন্তা না ক্করে দুপুরের খাবার বানানোর দিকে গেলাম।
ফ্রিজ থেকে মুরগী বের করলাম। ভাবলাম আজকে ফ্রাইড রাইস করি। এর মাঝে বুয়াও চলে আসলো। কলিং বেল এর সাউন্ড পেয়ে আমার হাসবেন্ড উঠায় ভাবলাম যে গতকালের চিকেন ভুনা দিয়ে ফ্রিজে থাকা হাফ সেকা রুটি ভেজে দিবো।
কিন্তু সে সবাইকে ডেকে তুলে বুয়াকে বললো রুটি বানাতে।কিন্তু ততক্ষনে গ্যাস একদমই কমে গেছে । সে কোনরকমে রুটি করে দিলো। ওইদিকে আমি দ্রুত সব্জি কাটাতেছি।
এরই মাঝে ছোট ছেলে এসে বললো কিভাবে রান্না করবে? এটা শুনে ওর বাবা বললো বাদ দাও রান্না করা। পরে সবজি আর মুরগি কেটে ফ্রিজে আবার ঢুকিয়ে দিলাম যে আগামীকাল শুধু বের করে রান্না করে ফেলবো।

দুপুর

দুপুরে নামাজ শেষ করে আমার বড় ছেলে আর ওর বাবা দেখি স্টার কাবাব থেকে আর বিরিয়ানি নিয়ে এসেছে। সবাই মিলে একসাথেই খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর বড় ছেলে উইন্সকোর্টে চলে গেল কারন আজকে ওর ইনভিজিলেশন আছে।
এরপর কিছু সময় বসে বসে টিভি দেখেছি। একটু পরে দেখি হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসতেছে।যার কারনে লেপের ভেতর ঢুকি।
আজকে দুপুরবেলা ঠান্ডা পানিতে গোসল করার কারনেই কিনা জানি না মাথা ব্যাথা শুরু করছে বিকেলের দিক থেকে।

রাত

যেহেতু দুপুরে কিছু রান্না করি নাই তাই রাতে আলুভর্তা ,ডাল ও ডিম ভাজি করে দিলাম। আমার বাসার সবাই এই খাবারটা পছন্দ করে।এমিনতেই দুপুর থেকে মাথাব্যাথা এর মাঝে বিয়ে বাড়ি থেকে এত্তো বাজে বাজে কই থেকে কালেক্ট করছে কে জানে।
মানুষের গান শুনার রুচি এতো খারাপ হয় কিভাবে ভেবে পাচ্ছি না। গান শুনতে আমি পছন্দ করি খুব কিন্তু আজকে এর জন্য মাথা ব্যাথা আরো বেড়ে যাচ্ছে। রীতিমতো অত্যাচার চলছে গানের নামে। এতো গান না যেন Gun চলছে।
এরই মাঝে ডায়েরি গেমের জন্য লেখা শুরু করলাম। আর ভেঙে ভেঙে অনেক সময় নিয়ে শেষ করলাম

Sort:  
Loading...
 2 years ago 

আসলে কয়েকদিন থেকে বেশ ভালই ঠান্ডা পড়তেছে। আপনাদের শহরের মধ্যে কেমন ঠান্ডা পড়েছে তা বলতে পারবো না কিন্তু গ্রামের মধ্যে বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়তেছে। আপনি সকালবেলা উঠেছেন কিন্তু ছুটির দিন থাকায় আপনি আবার শুয়েছিলেন। ছুটির দিন ছিলো বিদায় এরকমটা হয়েছে আপনার। আসলে আপনার মত আমাদের হয় শীতের দিন ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না।

 2 years ago 

ঢাকাতেও ভালোই ঠান্ডা পরেছে তবে সেটা গ্রামের তুলনায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের তুলনায় কিছুই না বলা চলে।
ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

এই কয়েকদিন বেশ ঠান্ডা। আর গ্রাম অঞ্চলে ঠাণ্ডার কারণে তো ঘর থেকে বের হওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার পরেও নিজের যাবতীয় কাজগুলো করার জন্য ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। আপনি শীতের সময়টা থাকার কারণে অনেক বেশি অলস হয়ে গেছেন। যার কারণে রান্না করতে গিয়ে একেবারে ঝামেলায় পড়ে গেছেন।

তবে আপনার ফ্যামিলিতে থাকা মানুষগুলো আপনাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে থাকে। বিশেষ করে ভাই আপনাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে। যার কারণে আপনি খুব সুন্দরভাবেই আপনার সংসারটাকে গুছিয়ে রাখতে পেরেছেন। আসলে দিনটা বেশ বিরক্তিকরভাবে কাটলেও, সময়টা কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে কেটে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটু দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

গ্রামের জীবনটা অন্যরকম।এখানে ঘর থেকে বের না হয়ে কাজ করার সুযোগ নেই বললেই চলে।সেটা শীত বা বৃষ্টি যাই থাকুক ন কেন।
ছুটির দিনে সবসময়ই খানিকটা আলসেমি করি আমি কিন্তু গতকাল গ্যাস চলে গিয়েছিল অনেক আগেই যার কারনে এতটা সমস্যা হয়েছিলো।তবে আপনার ভাই আসলেই অনেক সাহায্য করে বিভিন্ন বিষয়ে। যার কারনে অনেককিছুই সহজ হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

বিয়ে উপলক্ষে অনেকে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করে। পুরো এলাকাকে মনে হয় জানান দিতে হবে যে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এতে যে অন্যদের অসুবিধা হয় তা তারা বুঝতে পারে না যেন। গতকাল হঠাৎ করে ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। এ বাতাস টির কারণে আমারও গতকাল খুব মাথা ধরেছিল। হঠাৎ শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে এরকমটা হয়। তবে শীতের ছুটির দিনে আপনাকে রান্নাবান্নার ঝামেলায় যেতে হয়নি। এটাই সবচেয়ে ভালো কথা। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আসলে গতকাল অন্যদিনের থেকে আগেই গ্যাস চলে গিয়েছিল যার কারনে আরও অনেক বেশি ঝামেলা হয়েছিল রান্নার কাজে।
ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে কথা। তিনি আসলে রাস্তায় তো একটু জ্যাম হবেই। গ্যাসের জন্য দুপুরে রান্না করতে পারেননি, তবে বিরিয়ানি খেয়ে সেটা পুষিয়ে গেছে আশা করি। আমাদের এখানে আজকের থেকে ভালো ঠান্ডা পড়েছে।

এতো গান না যেন Gun চলছে।

যার যেরকম রুচি সে তো সেরকমই গান বাজাবে। কি আর করা যাবে। আমাদের সহ্য করা ছাড়া আর কোনো গতি নেই।

 2 years ago 

আসলেই তাই আমাদের সাধারণ মানুষের সহ্য করা ছাড়া আর কোন গতি নেই। সেটা যার অত্যাচারই হোক না কেন।
ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

ধানমন্ডি স্কুল পাড়া হবার কারণেই স্কুলের টাইমে এই যায়গায় এমনিতেই জ্যাম লেগে থাকে এর উপর যখন ভি আই পি মুভমেন্ট থাকে তখন এদিক স্থবির হয়ে পড়ে।

শীতের সময় কুসুম গরম পানি করে গোসল করলে এই মাথা ব্যাথার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই সময় নরমাল পানি মনে হয় বরফের থেকে ঠান্ডডা লাগে আমার কাছে।।

ধানমন্ডি সিটি কলেজের পাশের স্টার কাবাবের লেগ রোস্ট টা খুব বেশি মজার মনে হয় আমার কাছে।

ভালো লাগলো আপনার ডায়েরিটি পড়ে।

 2 years ago 

স্টার কাবাব এর লেগ রোস্ট আসলেই খেতে খুব ভালো হয়।তবে স্টার কাবাব এর সব খাবারই বেশ ভালো।সেই সাথে প্রাইসও অন্য রেস্টুরেন্টগুলোর তুলনায় কম।
ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

খুব সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছেন আপনার ছাদে ফোটা ফুলগুলো তো বেশ সুন্দরী লাগছে।
দুপুরে ভেবেছিলেন রান্না করবেন তবে অনেক কষ্ট করে সবজি কাটলেও রান্নাটা শেষ করতে পারেনি গ্যাস না থাকার কারণে।
এরপর আপনার হাজব্যান্ড স্টার কাবাব থেকে খাবার এনে দিল এবং সবাই মিলে দুপুরে খাবারটা খেয়ে নিলেন।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন কেটেছে আপনার ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

এই ফুলগুলো আমার বারান্দায় ফুটেছে।আরও গাছ লাগাতে ইচ্ছে করে কিন্তু জায়গার অভাবে লাগানো সম্ভব হয় না।
ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

প্রতিদিনের মতো আপনার কার্যলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো এবং পোস্টের শুরুতে যে ছবিটি সেটি দেখে মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। পোস্টের শুরুর ছবিটি আপনার খুব অসাধারণ হয়েছে। বর্তমান সময়ে এমনি ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না আরো যদি ছুটির দিন থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই।

 2 years ago 

শীতের মাঝে সকালে উঠাটা একধরনের অত্যাচার মনে হয় আমার কাছে কিন্তু কিছু করার নেই, এটাই জীবন।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

খুব সুন্দর ভাবে একটি দিন কাটিয়েছেন এবং আপনার ছাদের ফুল গুলো খুব সুন্দর। দুপুরে ভেবেছিলেন রান্না করবেন এবং সব সবজি গুলো কেটেছেন গ্যাস না থাকার কারণে রান্না করতে পারেনি। আপনার হাজবেন্ড বাহির থেকে খাবার এনে দিল একবার দুপুরে খাবার খেয়ে নিলেন। যেহেতু দুপুরে রান্না করেনি রাতের বেলা আলু ভর্তা ডাল ডিম ভাজি করে এগুলো রাত্রে খাবার খেলেন।

থ্যাংক ইউ আপনার একটা দিনে কাটানো সকল মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

 2 years ago 

আমার বারান্দায় ফুটেছে এই ফুল।চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.034
BTC 111594.61
ETH 4339.69
USDT 1.00
SBD 0.83