Better Life With Steem | The Diary game | February 8 , 2024 |
সকাল |
---|
আজকে ঘুম থেকে উঠেছি অন্যদিনের থেকে একটু আগেই। গতকালই শুনেছিলাম যে হাসবেন্ড এর কাজ আছে তাই সে আগেই বের হয়ে যাবে। নাস্তা বানাতে গিয়েছিলাম কিন্তু সে আগেই মানা করে দিলো।বললো যে বাইরে থেকে খেয়ে নিবো।সে চলে যাওয়ার খানিকটা পরই বড় ছেলে উঠে গেল।
ওর আজকে ক্লাস নেই তবে উইন্সকোর্টে ইনভিলেশন আছে। ওর যাওয়ার কথা ছিল শুনেছো ছয়টার দিকে নতুন আরেকটা টিচারের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করেছে। সেও নাস্তা না করে চলে গেল। বললো যে, সাড়ে বারটার দিকে চলে আসবে বাসায় আর তখনই খাবে।
ওদিকে ছোট ছেলেকে ডেকে তুললাম কিন্তু সে পায়ে ব্যথার অজুহাতে স্কুলে যাবে না।গতকালকে বাস্কেটবল খেলতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলো।ও উঠার পরে ফ্রিজে থাকা রুটি ভেজে দিলাম।কিছুক্ষণ পরে দুপুরের রান্নাটাও সেরে ফেললাম। কদিন থেকে চেষ্টা করতেছি ফ্রিজের সবজিগুলো শেষ করতে করতে। কারন বেশ কিছুদিন বাসায় থাকা হবে না আর ওইদিকে ফ্রিজে সবজি জমে গেছে আছে।
যদি আমার হাজব্যান্ডকে বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস নাই আজকেও সবজি কিনে নিয়ে আসতে পারে আগে একগাদা।এমনিতে কাঁচাবাজার নিয়ে আমাকে চিন্তা করতে হয় না সেই নিয়ে আসে মতিঝিল থেকে। কিন্তু ঝামেলা একটাই করে যা আজকে নিয়ে আসছে দেখা যায় একই জিনিস পরের দিন আবারো নিয়ে এসেছে।
কেন এনেছে জিজ্ঞেস করলে বলে সন্ধ্যা হয়ে গেছে চাচা সবজিগুলো বিক্রি করতে পারতেছে না । আমাকে রিকুয়েস্ট করলো তাই নিয়ে আসলাম। ওইদিকে আমার দুই ছেলের মাঝে বড়ো ছেলে তবু খায় কিন্তু ছোটটা খেতে চায় না।ওর কাছে সবজি মানেই আলু আর বেগুন এর এর বাইরে সবকিছুতে নাক সিঁটকানো।
এরই মাঝে বুয়া এসেও কাজ শেষ করে দিয়ে গেল।
দুপুর |
---|
সে চলে যাবার পর আমার কিছু কেনাকাটার ছিল তাই বাসার পাশের শপিংমল এ যাই।সেখান থেকে আসার আসার পথেই উইন্সকোর্ট পরে, যেখানে বড় ছেলে কাজ করে। ওকে কল দিয়ে জানতে চাইলাম বের হয়েছে কিনা, ও জানালে বাসায় চলে এসেছে। পরে আমিও বাসায় চলে আসি। একসাথে আমরা দুপুরবেলা তিনজনে খেয়ে নেই। খাওয়া শেষ করার পর পরই বড়ো ছেলে আবারও উইন্সকোর্টে যায় কারণ ওর আরো ইনভিজিলেশন আছে।
ওর আসলে যাওয়ার কথা ছিল ছয়টার দিকে।কিন্তু এই স্লটে যার আসার কথা ছিল সে আসে নাই যার কারনে ওকে ডেকেছে। উইন্সকোর্ট আমার বাসার কাছাকাছি হবার কারনে এরকম জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে ওকে ডাকে।আর যেহেতু স্টুডেন্টরাই পার্ট টাইম কাজ করে তাই ওদেরও একটা না একটা ঝামেলা লেগেই থাকে।হুট করে দেখা যায় একজন আসতে পারতেছে না। ও চলে যাবার ঘন্টাখানেক পর আমারও কিছু কাজ ছিলো সেই জন্য আমিও সেখানে চলে যাই।
রাত |
---|
বাসায় আসার পরে ছোট ছেলে শিক কাবাব আর তন্দুর অর্ডার দেয়।
এর মাঝে হাসবেন্ডও চলে আসে।সেও একই জিনিস খেয়ে নেয়। বড় ছেলের ডিউটি ছিলো দশটা পর্যন্ত।সে আসতে আসতে এগারোটা বাজিয়ে ফেলে।কারন উইন্সকোর্টের পাশেই ওর মামা বাড়ি। সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলে এসেছে। ও খেয়ে নেয়ার পরে সবকিছু ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখি। আর এভাবেই দিন শেষ হয়ে যায়।
ছেলে মেয়েদের নিয়ে এই এক ঝামেলা শাক সবজি তারা খেতেই চায় না।তাও ভালো আপনার বড় ছেলে সবজি খায়।
সমনে আপনার কলকাতা যাওয়ার কথা তাই, কিছু কেনাকাটা করেছেন আজ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বড়ো ছেলেও যে খুব একটা সবজি খায় এমন না বলা যায় নামে মাত্রই খায়।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Congratulations, your comment has been successfully curated by @msharif at 5%
thank you so much, sir
বাস্কেটবল খেলতে গিয়ে আপনার ছোট ছেলের পায়ে ব্যথা পেয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। এজন্য সে আজ স্কুলে যাবে না। সবজি বিক্রি করতে পারছে না বলে আপনার হাসবেন্ড সব সবজি কিনে আনে জেনে ভালো লাগলো। আজ আপনি শপিংমলেও গিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল।
Your post has been successfully curated by @msharif at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
আপনার সম্পূর্ণ পোস্টগুলো পড়ে মনে হয় আপনার সন্তান হাজবেন্ড এগুলো নিয়েই আপনার পরিবার। তাদেরকে নিয়ে আপনার পরিবার কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। দোয়া করি আপনার স্বামী সন্তান নিয়ে অনেক সুখে ভালো থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন আপনিও সবসময়।
সবজি বাজার দিয়ে হেটে গেলে আমার সাথেও এমন হয়, আর এই সবজি নিয়ে রোজ ঝামেলা লাগে গিন্নির সাথে।
প্রপথমত, মনে থাকে না, কি কি সবজি বাসায় ফ্রিজে আছে, ২য় সবজি বিক্রেতা মামারা আপনি হাপ কেজি চাইলে জোর করে এক কেজি দিবে, আবার যদি ১ কেজি চান তো দেড় কেজি ধরায় দিবে, সন্ধ্যাবেলা তারা কোনরকম বিক্রি করতে পারলেই বাচে।
শিক কাবাব তান্দুরি অনেক মজার একটি খাবার, সন্ধ্যার নাস্তার জন্যে পারফেক্ট আইটেম।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর ডায়েরিটি শেয়ার করার জন্য।