Better Life With Steem | The Diary game | February 6 , 2024 |
সকাল |
---|
আজকে সকালে ঘুম ভেঙে গেছে এলার্ম এর শব্দে।যেদিনই এলার্ম এর শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় সেদিনই আমার কিছুটা সময় লাগে কোথায় আছি আমি এটা বুঝতে। কিছুটা সময় গেলে সব কিছু স্বাভাবিক হয়।আজকে যখন উঠি তখন মনে হয়েছিল আজকে রোদ উঠবে কিন্তু বেলা বেলার সাথে সাথে কেমন জানি ঘোলাটে হয়ে যায় চারপাশটা।এটা কি কুয়াশা নাকি মেঘ বুঝতে পারি নাই।
ফ্রিজে রুটি বানানো ছিল সেটাই সেকে দিলাম।সাথে ডিম ভাজি আর চা।ছোট ছেলে প্রতিদিনের মতোই স্কুলে চলে গেল না খেয়েই। বড় ছেলের আজকে ক্লাস নেই যার কারনে লেট করেই উঠেছে।সেও মানা করে দিলো যে কিছু খাবে না সকালে।যার কারনে আর কিছুই করা হয় নাই।
ও কিছুক্ষন পরে ওর এক ফ্রেন্ড এর বাসায় চলে গেল কারন ওর এই ফ্রেন্ড আজকে অস্ট্রেলিয়াতে চলে যাবে।ওদের ক্লাস এর বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে বা গেছে।এই মেয়ের সাথে ও প্লেগ্রুপ থেকে এক সাথেই পড়াশোনা করেছে । মন কিছুটা খারাপ দেখলাম।ওদের ৯ জনের একটা গ্রুপ ছিল যার নাম ছিলো স্কোয়াড।এখন ৯ জনের মাঝে ৩ জন হয়ে যাবে ও চলে গেলে।
ও চলে যাওয়ার পরে আমি দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেলি।এর মাঝে বুয়া এসে কাজ করে দিয়ে যায়।
দুপুর |
---|
কিছু সময় পরে ছোট ছেলে স্কুল থেকে চলে আসে।আমরা একসাথেই দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। এর মাঝে বড়ো ছেলেও চলে আসে। ছোট ছেলে খাওয়া শেষ করার কিছু সময় পরে খেলতে চলে যায়। ওর বন্ধু এসেছে পুরোনো ঢাকা থেকে। খাওয়া শেষ কর বসে বসে টিভি দেখছিলাম তখন বড় ছেলে আর আমার মাঝে কথা হচ্ছিলো কোথাও যাওয়া নিয়ে। তখন আমাদের মাঝে কথা হয় যে আশেপাশে কোথাও ঘুরে আসা নিয়ে ।
ছোট ছেলেকে কল দেই কিন্তু ও পরে আসবে বলে।তখন ওকে আমি ওর মামা বাড়িতে যেতে বলি খেলা শেষ করে আসলে আমাদের প্ল্যান ছিলো ঘন্টাখানেক এর জন্য কোথাও যাওয়া।
কিন্তু হেমায়েতপুর এই দিকে আসার পরে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ধামরাই এর দিকে চলে যাই আমরা।ক্যান্টনমেন্ট আর জাহাঙ্গীরনগরের দিক থেকে যাওয়ার সময় পুরনো দিনের হাজারো স্মৃতি এসে মনের মাঝে জড়ো হয়।মানুষের মন আসলেই খুব অদ্ভুত।
অনেক সময় পার হয়ে গেছে তারপরও যতবার ডেয়ারিফার্মের দিক দিয়ে আসা যাওয়া করি ততবার একটা নির্দিষ্ট জায়গায় চোখ পরে।
রাত |
---|
ধামরাই পৌঁছে একটু গ্রামের দিকে চলে যাই।আসলে প্ল্যান ছিলো মায়ের কবরের কাছে যাবো কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আর কবরস্থান টা একটু বেশি রকম নিরিবিলি জায়গাতে হওয়ায় আর যাই নাই।
পরে পাশেই এক দোকানে মালাই চা খাই অনেক দিন পরে। পাশেই এক জনের কাছ থেকে লাউ শাক, ধনিয়াপাতা ইত্যাদি কিনে আনি। তবে খুব বেশি কিছু কিনিও নাই।
ফেরার পথে আমাদের সিএনজি স্টেশনের ঢুকি কিছু সময়ের জন্য। এর পরে ঢাকার দিকে রওনা দেই। ছোট ছেলেকে রেখে যাওয়ার জন্য টেনশন হচ্ছিল।
সাথে হাসবেন্ডেরও বাসায় ফেরার টাইম হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক শেষ পর্যন্ত আটটার পরে বাসায় আসি। এসে দ্রুত ভাত রান্না করি। ওরা খেয়ে নেয়।আর আজকের দিনটা এভাবেই দিন শেষ হয়ে যায়।
আসলে যেদিন বিদায় অনুষ্ঠান আমাদের অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই দিন অনেক কান্না করেছিলাম। প্রত্যেকটা বন্ধু-বান্ধব মিলে একেকজনের গলা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলেছিলাম। যে আমরা তোমাদেরকে ছাড়া কিভাবে থাকবো। কিন্তু সবকিছুই এখন ভুলে গেছি। তারা কেমন আছে, হয়তো বা মাঝে মাঝে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আগের মত কথা বলা এখন আর হয় না।
মাঝে মাঝেই আপনার পোস্টে দেখে আপনি রুটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। এই অভ্যাসটা আমার বড় খালাম্মার ছিল। যতবার আপনার পোস্টে এই প্যারা গুলো আমি পড়তে যাই। আমার খালাম্মার কথা মনে পড়ে। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
পুরনোকে ভুলে যেতে পারি বলেই আমাদের জীবন স্বাভাবিক আছে । না হলে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যেত। ধন্যবাদ এত চমৎকার করার মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু,জাহাঙ্গীরনগর, ডায়েরিফার্ম নিয়ে আমার মনেও হাজারো স্মৃতি রয়েছে। একটা সময় ছিল প্রায় প্রতিদিনই যাওয়া হতো সেই জায়গা গুলোতে।
গ্রাম এলাকার টাটকা শাক সবজি গুলোর স্বাদ অনেক ভালো হয়ে থাকে।
বিকাল সময়টা মা ছেলে মিলে বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন।
স্মৃতি জিনিসটা মাঝে মাঝে কস্ট দেয় আবার কখনো ভালো লাগায় মন ভরে যায়। এই জায়গাগুলোর পাশ দিয়ে গেলে এখনো মনে হয় প্রিয় মুখগুলোকে দেখতে পাবো। যদিও খুব ভালো করেই জানি তারা নেই।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনার সারাদিনের কার্যালিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার সকালে ঘুম ভেঙেছে মোবাইলের এলার্ম এর শব্দে। আসলে গত কয়েকদিন আগে এরকম আকাশ অনেকটা সকালবেলা মেঘলা ছিল। আপনার ছোট ছেলে না খেয়েই স্কুলে গিয়েছে আসলে ছোট বাচ্চারা এরকম না খেয়ে স্কুল যেতে চায়। আপনার সারাদিনে কার্যালিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার দুই ছেলেরই ক্লাস থাকলে খায়না ওরা।
এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।