Better Life With Steem | The Diary game | February 13, 2024
সকাল |
---|
আজকে ঘুম ভেঙেছে হাসবেন্ড এর ডাকে। তখনও অন্ধকার বাইরে। রাতে আমার কেন জানি ঘুম হয়নি। ভাঙা ভাঙা ঘুম হয়েছে। ওঠতে ইচ্ছে করতেছিলো না তারপরও উঠে গেলাম। কারন ৬ -টার মাঝে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে হবে। ৭সময় আমাদের বাস ছেড়ে যাবে কলকাতার উদ্দেশ্যে। গতকাল রাতেই সব কিছু গোছগাছ করে রেখেছিলাম শুধু নিজেরা রেডি হয়ে বের হয়ে যাওয়া বাকি। আমার বড় ছেলে সবসময়ই খুব বেশি টিপটপ আর ছোট ছেলে তার একদমই ওল্টো।ওর টাইম লাগে বেশি।
ওকে আগেই কে তাড়া দিলাম আজকে যেন দ্রুত করে।সবাই দ্রুত রেডি হলাম।এরপর পৌনে ৬ টার দিকে উবার কল দিলাম। লিফট বন্ধ থাকে রাতে তাকেও বললাম অন করে দিতে। এরপর সবাই মিলে জিনিসপত্র নিয়ে নিচে নেমে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই দেখি উবারও চলে এসেছে। আমাদের বাস কাউন্টার আরামবাগ।আমরা সাধারণত পান্থপথ থেকে উঠি কিন্তু এই বাস ইন্ডিয়ান বাস।আর এটা ডাইরেক্ট নিউমার্কেট যাবে।বাকি বাসগুলোর সমস্যা হলো সেগুলো বর্ডার ক্রস করার পরে বাস চেঞ্জ করে। আর সেই বাসগুলোর মান অতটা ভালো না।তাই খরচ একটু বেশি হলেও এই সৌহার্দ্য বাসেই যাচ্ছি আমরা।
জ্যাম না থাকার কারনে ১২ মিনিটেই আরামবাগ পৌঁছে গেলাম।অবশ্য কাউন্টার চিনতে খানিকটা টাইম লেগেছে। তবে বাস দেখে খানিকটা হতাশ লাগলো।পাশেই গ্রীন লাইনেের আরেকটা বাস দাঁড়িয়ে আছে সেটার তুলনায় এটা অতটা ভালো না।কিছু করার নেই তাই উঠে বসলাম সেটায়।
পদ্মা ব্রিজ পার হওয়ার পরে সাম্পানে নাস্তা করি।তারপর আবার যাএা শুরু করি্ বেনাপোল এর পথে।
দুপুর |
---|
ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত আসতে আমাদের ৪ ঘন্টা লাগে।এর পর ইমিগ্রেশন এর ঝামেলা শেষ করে ১.৩০দ দিকে কলকাতার পথে রওনা হই।কিন্তু সময় লেগেছে এখানে। মাঝে লাঞ্চ এর জন্য অর্কিড নামে এক রেস্টুরেন্ট এর সামনে বাস থামায়, কিন্তু মান এত বাজে ছিলো সেখানকার।রাস্তা কিছুটা সরু আর রাস্তায় জ্যাম বেশি থাকার কারনে কলকাতায় পোছাতে প্রায় পৌনে সাতটা বেজে যায়।
রাত |
---|
হোটেল আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো।যদিও কেউ পছন্দ করি নাই। যার কারনে সিদ্ধান্ত নেই আগামীকাল হোটেল চেন্জ করবো আমরা। আমার সাথে আমার এক দেবরও এসেছে ওর বৌকে নিয়ে। আর ট্রেনে আসতেছে আরেক ভাগ্নে। ওরা চলে যাবে শনিবার।আমরা হোটেলে পৌঁছার মিনিট বিশেকের মাঝেই ভাগ্নেও চলে আসে।
ও ট্রেনে আসার কারনে আমাদের পরে বের হয়েও অনেক আগেই পৌঁছে গেছে। পরে সবাই মিলে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে খেতে বের হই।নিউমার্কেট এলাকায় আমার শশুড় বাড়ির দিকের এক রিলেটিভ এর খাবার এর হোটেল আছে। সেখানেই খেয়ে নেই সবাই মিলে। বের হয়ে চা খেয়ে রুমে চলে আসি এরপর ।
ঘুমিয়ে পরি।আর এভাবেই দিন শেষ হয়ে যায় আজকের।
আপনাদের ভারত সফর শুরুর গল্প পড়তে ভালোই লাগলো। আমারও খুব ইচ্ছা এমন ভাবে বাসে করেই আপনাদের বাংলাদেশে ঘুরতে যাবো।
সাম্পান রেস্টুরেন্টের ব্রেকফাস্ট দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমি জানতাম বেনাপোল থেকে সব বাসই পরিবর্তন করতে হয়। আপনার পোস্ট পড়ে জানলাম যে, একটি বাস আছে যেটি পরিবর্তন করতে হয় না, সোজা নিউ মার্কেট যায়।
যদিও আমি দুধ চা খাই না, তবে আপনার শেয়ার করা চায়ের ছবিটি দেখে বেশ সুস্বাদু লাগছে। সকলে মিলে নিশ্চয়ই অনেক মজা করে চা খেয়েছেন। ভালো কাটুক আপনাদের আগামী দিনগুলো এই কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত যাওয়ার গল্পটা পরিবেশ ভালোই লেগেছে আমার।
হাজবেন্ডের খুব ইচ্ছা আছে আমাকে নিয়ে ভারত যাবে, জানিনা সেটা কখনো সম্ভব হবে কিনা তবে সৃষ্টিকর্তা চাইলে যেতেও পারি।
আপনাদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।