Better Life With Steem | The Diary game | February 12 , 2024 |
সকাল |
---|
আজকে সকালে ঘুম ভেঙে গেছে ছেলের কন্ঠ শুনে।যদিও আমার প্ল্যান ছিলো ওর আগে ওঠার কিন্তু রাত সাড়ে তিনটার রাতে দিকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো আর শেষ রাতের দিকে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম যার কারনে আর প্ল্যান মাফিক ওঠতে পারি নাই। চোখ খোলার আগেই যে কথাটা প্রথম মনে পরেছিলো সেটা ছিলো হায়রে আজকে আমার কত্তো কাজ।
চোখ খুলে দেখলাম ছেলে আর তার বাবা কথা বলতেছে আর ছেলে রেডি হয়ে গেছে। ওর ক্লাস আছে আজকে। ও বেরিয়ে যায় ৭টার আগেই কারন ওর ক্লাস আটটায় শুরু আর শেষ হবে বিকেল ৬টায়।বললো খিদে লাগলে ক্যান্টিনে খেয়ে নিবে নাহলে একবারে দুপুরে কিছু খাবে।
ও চলে যাওয়ার পরে টুকিটাকি কাজ করতে থাকি।কারন ঢাকায় আজকেই শেষ দিন আপাতত। ব্যাগ গুছানো এখনো বাকী আছে।আমি নরমালি এমন করি না। কোথাও যাওয়ার দুই একদিন আগেই গুছিয়ে ফেলি। গতকাল গুছাতে গিয়ে দেখি নতুন ওরনা নেই দুইটা। যার কারনে আলমারিতে রাখা আমার সব কাপড় নামিয়ে খুঁজতে গিয়ে সময় নস্ট করেছি।যদিও পাই নাই।। আবার রাতে ভাই-ভাবি এসেছিলো তাতে আরো লেট হয়েছে।
ছোট ছেলে স্কুলে আর ওর বাবা ব্যাংকে চলে যাওয়ার পরে রান্না করে ফেলি।বুয়াকে যা যা দেওয়ার ছিলো দিয়ে দেই কারন আমি না থাকলে ফ্রিজে থাকা সবজি নস্ট হবে।
দুপুর |
---|
![]() |
---|
এরই মাঝে হাজবেন্ড ফোন দিয়ে বলে ছোট ছেলে স্কুল থেকে কল দিয়েছিলো টাকা লাগবে । আজকেই লাস্ট ডেট টাকা দেওয়ার। আসলে প্ল্যান ছিলো গতকাল দিবে কিন্তু হঠাৎ করেই স্কুল বন্ধ দিয়ে দেয়ায় আর গতকাল স্কুলে যায় নাই। ও জানতো না যে আজকেই লাস্ট ডেট।
যদিও অফিসিয়াল ডেট আছে মার্চ পর্যন্ত কিন্তু স্কুল আজকের মাঝেই শেষ করে দিতে চাচ্ছে।এখন এত টাকা আমিই বা কই পাবো হুট করে।ওইদিকে স্কুলে টাকা জমা দিয়ে পেপার নিয়ে আবার নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকে যেতে হবে।ওইদিকে সময়ও নেই, বাজে দেড়টা।পরে ভাইকে কল দিয়ে টাকার ব্যাবস্থা করে স্কুলে যাই।
পরে ও বাসায় আসলে একসাথেই খাই।কিন্তু এই টাকার টেনশন আর সময়মতো ব্যাংকের কাজ শেষ করতে পারবো কিনা এই দুইটা মিলে খুব ক্লান্ত লাগতেছিলো আগে থেকেই । যার কারনে খানিকটা সময় আর কোন কাজে হাত দেই নাই।
সন্ধার আগ দিয়ে যা যা বাকি ছিলো সেগুলো গুছিয়ে ফেলি।
রাত |
---|
এখন টেনশনে আছি টবের গাছগুলো নিয়ে। যদিও আমার বড়ো ভাবি বলে গেছে তার বাসায় রেখে যাওয়ার কথা।কিন্তু এগুলো নেয়াটাও আরেক ঝামেলা।
এখনো টুকিটাকি অনেক কাজ পরে আছে।এরই মাঝে একটু রেস্ট নিতে বসে ভাবলাম লেখাটা শেষ করে ফেলি।আগামীকাল সম্ভব হবে কিনা সেটাতো আর জানি না।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে সকালে উঠতে একটু দেরি হয়েছে। ঘুম থেকে উঠে দেখেন আপনার ছেলে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেছে। তারপর আপনি বাসায় টিকটাক কাজ করেছিলেন এবং রান্নার কাজও শেষ করেছিলেন। ভালো থাকবেন পরিবারে সাথে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে আসলে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। তারপর তাড়াহুড়া করে সবকিছু শেষ করতে হয়। আমার পোস্ট পড়ে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।
আসলেই যে জিনিসটা আমরা অনেক বেশি যত্ন করে। তার জন্যই অনেক বেশি চিন্তা হয়ে থাকে।আপনি হয়তো আপনার টবের গাছ গুলোকে অনেক বেশি যত্ন করে থাকেন। চিন্তা করবেন না ইনশাল্লাহ অবশ্যই আল্লাহ তাদেরকে ভালো রাখবে। আপনাদের জার্নি অনেক বেশি সুন্দর হোক।
আসলেই তাই এই টবের গাছগুলোকে আমি আমার বাচ্চাদের মত করেই বড় করেছি ফেলে যেতে খারাপ লাগতেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হুটহাট ছেলের স্কুলের টাকা জমার লাস্ট ডেট পরায় আপনি কতটা টেনশনে সময় গুলো পার করেছেন তা বুঝতে পেরেছি আজকের লেখা পড়ে। মাঝে মাঝে হটাৎ এমন অবস্থায় পড়লে আসলে মাথা কাজ করতে চায় না, যাই হোক আপনি ভাইকে কাছে পেয়েছেন। তবে এভাবে স্কুল এক দিনের মধ্যে সব কম্পলিট করতে চাইলো যেটা এক দম ই উচিৎ হয় নি। আরো আগে থেকে এই পদক্ষেপ গুলো নিলে আপনাকে এমন অবস্থায় পড়তে হতো না।
ওরা পিয়ারসনের আন্ডারে পরীক্ষা দেয়। আর পিয়ারসন এর দেয়া টাইম হলো মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু স্কুল এই ঝামেলাটা করেছে।যার কারণেই এমন সমস্যায় পরেছিলাম।
কোথাও যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিতে যেমন কষ্ট, তেমনি বাড়ি ফিরেও কাজের চাপ অনেক। যদিও দিনটি একরকম ভাবে শুরু করবেন ভেবেছিলেন, কিন্তু শুরু হলো অন্যভাবে। মাঝে আবার ছেলের স্কুলেও ছুটতে হলো।
বাড়িতে গাছ লাগালে এটা একটা সমস্যা, সকলে মিলে কোথাও গেলে ওদের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। যাইহোক, কর্মব্যস্তময় দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
গাছগুলো নিয়ে এখনো টেনশনে আছি। কিন্তু কিছু করারও নেই।
চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।