Better Life With Steem | The Diary game | 11, may |One day trip to Gazipur |
আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে চোখ মেলে দেখি জানালার পর্দা খোলা আর বন্ধ গ্লাসের মাঝে প্রচন্ড রকমের জোরে জোরে বৃষ্টির পানি এসে পড়ছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম বাইরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে সাথে মনে পড়লো যে আজকে তো বড় ছেলে সকালে ডেকে দিতে বলেছিলো। ওদের ক্লাবের একটা অনুষ্ঠান আছে।
কিন্তু এই বৃষ্টির মাঝে কিভাবে যাবে এই চিন্তাও মাথায় আসলেও ওকে ডাকতে গেলাম। দেখলাম ও জেগেই আছে তবে ওর মাঝে যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছে দেখলাম না। এটা দেখে একটা ভালো লাগাই কাজ করলো মনের মাঝে। বাইরে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে দেখে খিচুড়ি রান্না করলাম। ছোট ছেলেটার শরীর বেশ কিছুদিন থেকেই খারাপ। রাতে খুব একটা ঘুমাতে পারে না কাশির কারণে ,তাই ওকে একটু পরেই ডাকলাম। দুপুরে রান্নার জন্য ফ্রিজ থেকে ইলিশ মাছ বের করে ভেজালাম। এরপর নাস্তা করতে বসলাম। ততক্ষনে অবশ্য বৃষ্টি শেষ হয়ে গেছে।
বেশ কিছুদিন থেকেই ঢাকার বাইরে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। আমার একটা বদ অভ্ভাস হয়ে গেছ। ঢাকাতে কেন জানি একটানা বেশিদিন থাকতে ভালো লাগে না। কয়েক ঘন্টার জন্য বের হলেও ভালো লাগে।
তাই ছেলেকে বললাম যাবি কোথাও ?ও বললো ,আমার প্রব্লেম নেই । ওর বাবাকেও এই কথা বললাম তবে তার মাঝে খুব একটা আগ্রহ দেখতে পেলাম না। তাই চুপ করেই রইলাম।
বড়ো ছেলেও বললো ওর ক্লাবের অনুষ্ঠানে যাবে। কিছুক্ষন পরে দেখলাম ওর মাঝে যাওয়ার কোনো লক্ষণই নেই । আমাকে দেখে বললো গেলে রেডি হও । ওর বাবাও দেখলাম আস্তে আস্তে যাওয়ার দিকেই এগুচ্ছে। আমাকে বললো কই যাবে আজকে তুমি বলবে।
ততক্ষনে ১১টার বেশি বেজে গেছে। দ্রুত মাছ আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিলাম। দ্রুত রেডি হয়ে সবার বের হতে হতে ১২টা প্রায় বেজেই গেলো। কিন্তু তখন আমাদের ঠিক করা হয় নাই আমরা আসলে কই যাচ্ছি।
গাড়িতে উঠার পরে সবাই আমার উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলো।
আমি ওদেরকে বললাম আগে এলিভেটেড ওয়েতে উঠি তারপর দেখা যাবে। সেখান থেকে আমরা গাজীপুর এর দিকে চলে যাই। এক পর্যায়ে শ্রীপুর দিয়ে কালিয়াকৈর এর একটা বাইপাস রোডে ঢুকি। সত্যি বলতে আমরা এইদিকে এমন কিছু একটা আশা করি নাই। অদ্ভুত সুন্দর এক গ্রামের মাঝ দিয়ে চমৎকার এক রাস্তা ধরে আমরা এগিয়ে যাই।
নিরিবিলি একটা গ্রাম যেখানে কোনো রিক্সা দেখতে পেলাম না এমন কি অটোও দেখলাম না কয়েকটা ছাড়া। তবে মাঝে মাঝে ট্রাক চলে কিন্তু সেটাও খুব কম। পাশে তাকিয়ে দেখলাম কোথাও ধান কাটছে ,কোথাও শুকাচ্ছে আবার কোথাও ধান মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে ,এককথায় গ্রাম বাংলার ছবি যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে।
আমরা একজায়গাতে থেমে কিছুটা সময় কাটিয়ে আবার রওনা দিলাম।। এরপর শুরু হলো দুইপাশে শাল আর গজারি বন ,আর তার মাঝ দিয়ে চলা নির্জন রাস্তা। যদিও মাঝে মাঝে নির্জনতা ভেদ করে ট্রাক ছুঁটে চলে। মনে হচ্ছিলো আমরা শ্রীমঙ্গলের কোথাও আছি। এরপর একসময় উঁচু নিচু জায়গা কমে আবার ধান ক্ষেত শুরু হলো।
একসময় আমরা কালিয়াকৈর হাইওয়েতে উঠে গেলাম। এই পথে আমরা চন্দ্রা ,নবীনগর হয়ে ঢাকা এসে পৌছালাম ৬ টার পরে। আমাদের খাওয়া হয় নাই কারণ ঐদিকে খাওয়ার হোটেল পাই নাই। পরে ছেলেরা বললো ঢাকাতে এসেই খাবে। ধানমন্ডি ২৭ এর কাছাকাছি এসে সুলতান ডাইনে খাবার অর্ডার দিলো। কিন্তু আজকে ধানমন্ডি ব্রাঞ্চ বন্ধ ,তাই মোহাম্মদপুর থেকে খাবার দিবে। আমার কেন জানি সন্দেহ লাগলো নকল সুলতান ডাইন নাতো । খাবার আসতে আসতে ৭টার বেশি বেজে গেলো। সবাই খাওয়া শেষ করার পরে আমি লিখতে বসলাম। আর এভাবেই আজকের দিতে শেষ হলো।
বৃষ্টির মধ্যে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। আজ বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো এজন্য আেনি খিচুড়ি রান্না করেছেন। তার পাশাপাশি দুপুরের জন্য ইলিশ মাছ রান্না করেছেন। ইলিশ মাছের কথা শুনলেই জিহ্বে জল এসে যায়।
এই লাইনে হয়ত বানানে একটু ভুল আছে। তাই সেটা ঠিক করে দেওয়ার অনুরোধ করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ইলিশ মাছ আসলেই খেতে ভালো লাগে কিন্তু দামের কথা শুনলে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। সব কিছুর এতো আকাশ ছোঁয়া দাম, এর মাঝে ইলিশ মাছতো বলা চলে নাগালেরই বাইরে ।
আসলেই বানান ভুল আছে। সংশোধন করতে বলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটা মন্তব্য পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভালো জিনিসের দাম তো বেশি হবেই। সাধারণ মানুষ ইচ্ছা করলেই ইলিশ খেতে পারে না দামের কারনে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।
বৃষ্টির শব্দেই আপনার সকালবেলা ঘুম ভেঙেছে। এদিকে আপনার ছেলের এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃষ্টির জন্য যেতে পারেনি। বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ি রান্না করেছেন।বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে।
আপনি দেখি প্রায় কিছুদিন পরপরই বাইরে কোথাও ঘুরতে যান। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া। বাইরে একটু ভ্রমণ করলে মনও ভালো থাকে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
যদি আপনাদের আগে থেকেই কোন চিন্তা ছিল না বাইরে যাওয়ার। তারপরও গাড়িতে উঠে পরে কোন জায়গায় যাবেন সেটা ঠিক করেছিলেন।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে বাঙালি মাত্রই মনে হয় বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে পছন্দ করে। আমি এখন পর্যন্ত এমন কোন মানুষ পাই নাই, যে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি পছন্দ করে না।
ঠিকই বলেছেন যে, কদিন পর পর আমি ঘুরতে বের হতাম।
তবে ইদানীং আগের থেকে অনেক কমে গেছে।এখন ছেলেরা বিজি থাকে যার কারনে তেমন একটা বের হওয়া হয় না।তবে আগে যখন ওরা ছোট ছিলো, তখন প্রচুর পরিমানে বেড়াতাম আমরা।
দূরে কোথাও না গেলে আশেপাশেই ঘুরতাম।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।