Better Life With Steem | The Diary game | 7, may |
সকাল |
---|
এতদিন মারাত্মক রকমের গরম এর পরে দুই দিন ধরে রাতের বেলা ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে যার কারনে বেশ ঠান্ডা পরেছে। রাতে জানালা আর দরজা খুলে রেখে ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়েছিলাম।
যার কারনে সারা রাতই কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমিয়েছি।আমার হাসবেন্ড বেশ কয়েকবারই ফ্যান করার ধান্দা করেছে কিন্তু আমার জন্য পারে নাই।
এতদিন পরে এমন ঠান্ডা পেয়েছি তার পুরোটাই উপভোগ করেছি এই ভেবে যে এই গরম এর বিশ্বাস নেই আবার কখন শুরু হয়ে যায়। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর এর তথ্য অনুযায়ী পুরো সপ্তাহ জুড়েই বিচ্ছিন্নভাবে এমন ঝড় বৃষ্টি হতেই থাকবে।
সকালে ঘুম ভেঙে গেছে ৬টার দিকে। বারান্দায় গিয়ে ঠান্ডা বাতাস খেয়েছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। মনে হচ্ছিলো বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
সকালে নাস্তা বানানো নিয়েও খুব একটা চিন্তার কিছু ছিলো না কারন ফ্রিজে রুটি বানানো ছিলো। আজকে আরও একটা আলসেমি করবো ভাবলাম। শুধু ডিম ভাজি আর সালাদ বানাবো ভাবলাম।
নিচ থেকে একটা চক্কর দিয়ে আসি ভেবে দরজা খুলে দেখি লিফট বন্ধ। নিচে কল দিয়ে জানলাম কি একটা সমস্যা হয়েছে। ১০টার দিকে লোক আসবে। এটা শুনে নিচে যাওয়ার প্ল্যান ক্যানসেল করলাম এটা ভেবে যে, হেঁটে না হয় নামলাম কিন্তু উঠার সময় ৯ তলায় হেঁটে উঠতে হবে।
কিছুক্ষন পরে আমার হাসবেন্ড উঠে গেল।তাকে রুটি ভেজে সালাদ আর ডিম ভাজি করে দিলাম। বড়ো ছেলেও উঠে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করলো। আজকে ওর ক্লাস নেই তাই সারাদিন বাসায়ই থাকবে। ওর কাছেই শুনলাম যে, ছোট ছেলে সারারাত কাশির জন্য ঘুমাতে পারে নাই। সাথে জ্বরও আছে। তাই ওকে আর ডাকলাম না।
কিন্তু নিজে থেকেই উঠে গেল।ওদের বাবা নাস্তা করে ব্যাংকে চলে গেল।ওদেরকে খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখি দুইটাই আবার শুয়ে পরেছে। কিছুক্ষন ডাকাডাকি করে বাদ দিলাম।একটু পরে দেখি দুই জনই আবার ঘুমিয়ে পরেছে।
বুয়া দেশে গেছে এক সপ্তাহের ওপরে। আজকেও খবর নেই। তাই রুমগুলো ক্লিন করে রান্না ঘরে গেলাম।অনেকটা হেলে দুলেই রান্না করলাম। মুরগীর মাংস, ঢেরশ ভাজি, পটল ভাজি আর আম দিয়ে টক ডাল।
দুপুর |
---|
দুজনেই উঠতে উঠতে প্রায় বারোটা বাজিয়ে দিলো। একবারে দুপুরের খাবার খেলাম সবাই মিলে কিছুটা আগে ভাগেই।
৪ টার দিকে বড় ভাই এর ছেলে আসায় ওকে বললাম আমার ছোট ছেলের ম্যাথগুলো একটু ক্রসচেক করতে যে আসলে কতটা হচ্ছে। ও সন্ধ্যার পরে চলে গেল।
রাত |
---|
ও যাওয়ার একটু পরেই আমার হাসবেন্ড কল দিয়ে জানালো যে, দেশবন্ধু রেস্টুরেন্টের পাশেই আছে তাই সেখান থেকে সবজি আর হালুয়া নিয়ে আসবে কিনা।আমার জন্য ভালোই হলো। মেট্রোরেলে আসার কারনে এখন খুব একটা সময় লাগে না।আসার সময় এক দোকান থেকে পরোটা নিয়ে এসেছিলো। রাতে সেগুলোই সবাই খেয়েছে।
সবার খাওয়া শেষ হলে আমি ডায়েরি গেম লেখতে বসলাম। এভাবেই আজকের দিনটা এখন পর্যন্ত কাটিয়েছি।
সত্যি ভাবি বহুদল ভবনে বিদ্যুৎ চলে গেলে বা লিপ্টে কোন সমস্যা হলে তবে সেটা খুবই কঠিন হয়ে যায় । যারা ৯ তালার উপরে থাকেন তাদের পক্ষে তো আরো কঠিন। সিরি দিয়ে নেমাটা যতটা সহজ কিন্তু সিরি দিয়ে উপরে ওঠাটা অনেক কঠিন ।
আপনার আজ অনেক সময় লেগেছে এবং কষ্ট হয়েছে। প্রচন্ড গরম আবার হঠাৎ বৃষ্টি এজন্য বাচ্চাদের নানা সমস্যা হয়। আশা করি আপনার ছোট ছেলের জ্বর ও কাশি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।
কি আর বলবো সাহায্যকারী যে ব্যক্তি থাকে ওরা বাড়িতে ছুটি নিয়ে থাকে দুদিনের কিন্তু ছুটি কাটায় ৫ দিন । এখানে কিছুই বলার থাকে না। হয়তো বা এসে নানান অজুহাত শোনাবে। আবার হয়তোবা সত্যি কারো সমস্যা হতে পারে এজন্য হয়তো আসতে দেরি হতে পারে।
আপনি আপনার সাহায্যকারী ব্যক্তির সাথে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিতে পারেন। সব কাজ আপনার একার হাতে করতে হচ্ছে এজন্য আপনার কষ্ট হচ্ছে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
বহুতল বিল্ডিং এ লিফট নষ্ট হলে আসলেই খুব বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। আমার এক কাজিনের বাসা ছিল ১৩ তলাতে তার লিফট নষ্ট হওয়ার পরে ঠিক করতে বেশ কয়েকদিন লেগেছিল। তখন ওরা নিয়মিত উঠানামা করতে হেটে। ইদানীং বড় বিল্ডিংগুলোতে একাধিক লিফট থাকে , কিন্তু ওদেরটা পুরোনো বিল্ডিং হওয়ার কারনে একটাই লিফট ছিল।
সাহায্যকারীদের অযুহাত এর অভাব হয় না।এমন সুন্দর সব অযুহাত দেখায় যে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি।
আজকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করে দেখবো কবে আসতে পারবেন উনি।
এত চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আসলে আল্লাহ তায়ালা চাইলে কি না করতে পারে। কয়েকদিন আগে এতই গরম ছিল মানুষ একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছিল। আবার দুইদিন থেকে ঝড় বৃষ্টির কারণে রাতে দেখা যায় কাথা গায়ে না দিয়ে ঘুমানো যায় না।
যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এদিকে আপনার ছেলেরা ঘুম থেকে ওঠার পর আবারও ঘুমিয়ে গিয়েছে।
বুয়া অনেকদিন হলো বাসায় গিয়েছে আসার কোন নাম গন্ধ নেই। এজন্য বাড়ির কাজগুলো আপনি একাই সেরে নিয়েছেন।
সারাদিনে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।