Better Life With Steem | The Diary game |4th January

in Incredible India2 years ago

Beige Minimalist Mood Photo Collage (2).png

সকাল

আজকেও বাইরে বের হওয়া হলো না।কখন আ্যালার্ম বন্ধ করেছি জানিও না।তাকিয়ে দেখি ঘড়ির কাটা ৮টা ছুঁই ছুঁই করছে। উঠে দেখি আমার হাসবেন্ড পেপে কাটতেছে।উঠেছেও আগে।আমার কেন জানি সন্দেহ হলো যে, এই লোক আসলে শএুতা করেই ডাকে নাই আমাকে কারন গেলেও সে যেতে পারবে না অফিসে যাওয়ার জন্য।কারন ঘুরে আসার পরে তার দৌড়াদৌড়ি লাগবে।
এটা বললেও স্বীকার করবে না জীবনেও আর সেই সাথে গাল ফুলাবে তাই আর বলি নাই কিছু। আর করা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাতে রান্না ঘরের দিকে গেলাম।
ফ্রিজে হাফ সেকা রুটি ছিলো। পেছন থেকে ডেকে বললো যে, শুধু একটা ডিম আর এক কাপ চা করে দাও।ফ্রিজ খুলে দেখি ডিম নাই । এত কিছু মনে রাখার চেষ্টা করি তারপরও ভুল হয়ে যায়। এই এলাকায় এত সকালে দোকান খুলে না।তাই আাপাতত ডিমের আশা বাদ দিয়ে অন্য কিছু করার চেষ্টা করতেই মানা করে দিয়ে বললো শুধু চা-ই বানাও।

ফলে শুধু চা আর ১টা রুটি ভেজে আনলাম।বিশাল এক পেঁপের পুরোটাই কেটেছে তাই বললাম শেষ করো আমার জন্য কয়েক টুকরো রেখে কারন আমার দুই শয়তান এর না খাওয়ার সম্ভবনা প্রায় ৯০%। এটা বলায় বেশ খানিকটা খেয়ে বলে গেল তুমি খেয়ে ওদেরকে খাওয়াবে বাকিটা।
ওরা যথারীতি মানা করে দিলো শীতের কথা বলে। অন্য কিছুও খাবে না বলে দিলো।
যার কারনে দ্রুত দুপুরের রান্নার দিকে মনযোগ দিলাম যেহেতু সকালে নাস্তা করে নাই তাই ওরা দুপুরের খাবার অনেক আগেই খাবে। ফ্রিজ থেকে বের করে মুরগী ভিজিয়ে রেখেছিলাম অনেক আগেই।

দুপুর

রান্না শেষ হবার আগে থেকেই কল আসা শুরু হলো। গতকাল রাতেই মানিকগঞ্জের ভাটুরা যাবার জন্য দাওয়াত পেয়েছিলাম।সবাই আজকে সেখানে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে রাতে বারবিকিউ করবে আর ফানুশ উড়াবে।

আগামীকাল সকালে মাছ ধরবে আর সরিষা ক্ষেতে যাওয়ার প্ল্যান আছে আগে থেকেই জানতাম কিন্তু ছেলের পরীক্ষার জন্য মানা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও বার বার কল দিচ্ছে যাবার জন্য।
মন আমারও কিছুটা খারাপ লাগছে করান শীত দেখতে হলে সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো গ্রামে সেই সাথে কুয়াশাতো আছেই।কিন্তু এত সময় ছেলেকে রেখে যাওয়া সম্ভব না। ছেলেটার শরীরও খুব একটা ভালো না।ঠান্ডায় ভুগতেছে।
দুপুরে সবাই একসাথেই খেয়ে নেই।

সন্ধ্যার আগ দিয়ে দেখি দুই ছেলে চিৎকার চেঁচামিচি করছে। শব্দ শুনে যেয়ে দেখি বড় ছেলে ধূপ জ্বালানো নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে আর ছোটটা সেটাকে থামানোর চেষ্টা করছে।

রাত

সন্ধ্যায় ছেলে গ্রিল আর নান অর্ডার দেয়। আমি আর আমার বড় ছেলে অবশ্য খাই নাই।
এরই মাঝে ভাইয়ের ছেলে একটু পর পরই কল দিচ্ছে যাওয়ার জন্য যাতে আমরা রাতেই যাই।রাত সাড়ে নটার দিকে আমার হাসবেন্ড অফিস থেকে এসে বলতেছে যে, না গেলে কেমন দেখা যায়, এতবার কল দিতেছে।এদিকে বড় ছেলেও যাওয়ার জন্য রেডি।ওদের বললাম তোনরা দুজনে যাও কিন্তু সেটাও যাবে না।

Beige Minimalist Mood Photo Collage (3).png

এমন অবস্থা চলাকালীন সময়েই ওরা রাতের খাবার খেয়ে নেয়।আমাকে ছেলে আর ওর বাবা এসে জিজ্ঞেস করে, কি করবে?পরে রাজি হয়ে যাই আর সিদ্ধান্ত নেই যে, আমরা সকাল ৬. ৩০ টার মাঝে বের হয়ে যাবো তাহলে কুয়াশাও দেখা যাবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওদের জানিয়ে দেই যে আমরা সকাল বেলা আসবো।


◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦

image.png

Sort:  
Loading...
 2 years ago 

বেশ হয়েছে, খালি কুয়াশা দেখার শখ। আপনার স্বামী একেবারে সঠিক কাজ করেছেন। আপনার দুই ছেলের খিদে পায় না কেন উপরওয়ালা জানেন। ভাইয়ের বাড়ি রাতে চলে গেলে পারতেন কিন্তু আপনার মাথায় তো কুয়াশা দেখার ভূত চেপে রয়েছে। তাই সকালবেলা যাওয়া ঠিক করলেন।

 2 years ago 

ছেলেদের খিদে পায়না মানে.. . সকালে যেটা না খায় সেটা দুপুর বেলা পুষিয়ে দেয়। আসলেই গতকাল সকালে প্রচুর পরিমানে কুয়াশা ছিলো কিন্তু আজকে মোটামুটি ফকফকা। গতকাল বেরিয়ে ভালে করেছিলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

প্রত্যেকটা পুরুষের হয়তোবা এটা জন্মগত স্বভাব নিজেরা আগে ঘুম থেকে উঠলেও স্ত্রীদের কে ঘুম থেকে উঠায় না। আপনার স্বামী ও ঠিক তাই করেছে। কিন্তু আপনি ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে। চুপচাপ দিয়ে নিজের কাজগুলো শুরু করে নিয়েছেন।

মাঝে মাঝেই আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে দেখেছি। আপনার ছেলেরা বাসায় খাবার খেতে অনীহা প্রকাশ করে। আসলে বাহিরের খাবার তেমন একটা ভালো না কথাটা অবশ্যই তারা জানে। কিন্তু তার পরেও কেন জানি তারা বাহিরের খাবার অনেক বেশি পছন্দ করে। যাই হোক ভোর ছয়টায় আপনারা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিবেন। সেটা আপনি আবার আপনার ভাইদের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

ওরা নরমালি সকালের খাবার নিয়ে ঝামেলা করে। তখন বাইটেরটাও খায়না।একবারে দুপুরে খায়।
বাইরের খাবার আসলেই বাজে জিনিস। চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনার সারা দিনের দিনলিপি পরে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঘুম থাকার আগেই আপনার স্বামী ঘুম থেকে উঠেছে তবু আপনাকে ডাক দেয়নি। আসলে প্রতিটা স্বামী এরকমটা করে নিজের স্ত্রীকে কখনো কষ্ট দিতে চায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় কাজের ক্ষেত্রে কষ্ট দিয়েও থাকে।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন সব ছেলেরা এক রকম হয় না।ধন্যবাদ এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 110875.33
ETH 4318.58
USDT 1.00
SBD 0.83