Better Life With Steem | The Diary game | 3, may |
সকাল |
---|
স্পেয়ার টায়ারটা একটু নিয়ে যাচ্ছি এই কথাটা কানে যাওয়ার সাথে সাথে ঘুম ভেঙে গেল।তাকিয়ে দেখি বাবা আর ছেলে কথা বলছে। কি হয়েছে বোঝার চেষ্টা করলাম।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৬ টা তখনও বাজে নাই।
হয়তো আমাকে বোকার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখেই আমার বড় ছেলে জানালো যে আমার ভাই এর ছেলের গাড়ি খুব বাজে ভাবে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে । এর জন্যই স্পেয়ার টায়ার লাগবে।শুনে হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে জানতে চাইলাম যে ওর কি অবস্থা। আমার ছেলে বললো, মাথায় ব্যাথা পেয়েছে।
একথা শুনে বললাম যে আমাকে মিনিট পাঁচেক সময় দাও আমি আসতেছি।
আমি আর আমার হাসবেন্ড বাসা দ্রুত বের হয়ে এলাম ওর সাথে। তখন শুনলাম যে, বিজয় স্মরনির মোড়ে কাভার্ড ভ্যান এসে আমার ভাইয়ের ছেলের গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়েছে। মুখোমুখি লাগতে গিয়েছিল কিন্তু ও একদম লাস্ট মূহুর্তে ওর গাড়ির স্টিয়ারিং সামান্য ঘুরিয়ে দিতে পেরেছিলো। যার কারনে ও বেঁচে গেছে। এই সিদ্ধান্ত নিতে আর ২/১ সেকেন্ড লেট করলে ওকে বাচানো সম্ভব হতো না।
ওর গাড়ির মাঝ বরাবর লেগে গাড়ি একদম ঘুরে গেছে। আর ওর গাড়ির দরজা কাভার্ড ভ্যান এর সাথে লেগেছিলো। পরে আমার ভাই এর গাড়ির ড্রাইভার টেনে খুলছে।কাভার্ড ভ্যান এর ড্রাইভার পালিয়ে গেছে সাথে সাথে।
এক্সিডেন্ট এর পরে ও অনেকটা ট্রমাটাইজ হয়ে গাড়ির ভেতরই বসে ছিলো। ওকে ভেতর থেকে অনেকটা টেনে বের করতে হয়েছে।
বাসায় যেয়ে দেখি ভাই গাড়ি নিয়ে এসেছে কোনমতে কিন্তু গাড়ির অবস্থা খুব বাজে।তবুও ভালো পেছনে কেউ ছিলো না আর ওর সাইডেও লাগে নাই।
ওপরে যেয়ে দেখি ভাবি কান্না করতেছে।আসলে আমাদের এক রিলেটিভ এর বাসায় অনুষ্ঠান ছিলো। ওর ওইখানে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু ও শেষ মূহুর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টে বাড়ির দিকে আসতে ছিলো।
পরে আমার আরেক ভাইকেও কল দিয়ে জানালাম বিষয়টা। সেও চলে আসলো। ভাইয়ের ছেলেকে ঘুমাতে বলে আমরা সবাই অন্য রুমে চলে আসলাম।
সকালে কারোরই খাওয়া হয় নাই।
তাই ছেলেকে বললাম যে, স্টার কাবাব থেকে পরোটা আর ডাল-সবজি নিয়ে আসতে।
সেখান থেকে বাসায় আসতে আসতে ১০টার বেশি বেজে গেল।কিছু করতে ভালো লাগছিলো না কিন্তু রান্নাতো করতেই হবে। এর মাঝেই এসির মিস্ত্রি কল দিয়ে জানালো সে আসতেছি।আগেই কথা হয়েছিলো তার সাথে।
দুপুর |
---|
দুপুরে জন্য ডাল, ডিম আর ঢেরশ ভাজি করলাম।ওইদিকে এসির মিস্ত্রি আসার পরে দুই রুমের অবস্থা খারাপ করে ফেলছে। পরে সবাই মিলে সেগুলোও পরিস্কার করলাম। বিছানার চাদরগুলোও পাল্টে ফেললাম।
সবকিছু শেষ করে খেতে খেতে প্রায় ৪টা বেজে গেল। সবাই মিলে একসাথেই খেয়ে নিলাম।এরপর ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
রাত |
---|
রাতে শুধু ভাতই রান্না করেছিলাম। এরপর টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিলো সেখানে জয়েন করলাম।খুব বেশি সময় অবশ্য হয় নাই।
সেখানে থেকে বের হয়ে ছেলেদের সাথে কিছুটা সময় কাটালাম। পরে সব গুছিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পরেছিলাম। আর এভাবেই দিনটা কাটিয়েছি।
এক্সিডেন্ট কথাটা শুনলেই কেন জানি মনের ভেতরে কেঁপে উঠে। হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠেই এরকম দুর্ঘটনার কথা শুনলে কার মাথা ঠিক থাকবে। এরকমটা শোনার পর আপনারও মাথা ঘুরে গেছিল। তবে আলহামদুলিল্লাহ আপনার ভাইয়ের ছেলের খুব একটা বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে দেখলাম গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়েছে।
আপনার ভাইয়ের ছেলের জন্য দোয়া রইল সে যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।