Better Life With Steem | The Diary game |29 December |

in Incredible Indialast year

Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage (1).png

সকাল

ছুটির দিন হওয়াতে ঘুম থেকে উঠার কোন তাড়া ছিল না। উঠে দেখি ঘড়ির কাটা সাড়ে সাতটা প্রায় বেজে গেছে । বড় ছেলে দেখি এরই মাঝে রেডি হয়ে গেছে।আজকে ওর একাডেমিয়াতে ডিউটি আছে। ও যাওয়ার আগে বলে গেল যে, দুপুরের দিকে বাসায় আসবে কিন্তু ৩টার সময় আবারো যাবে কাজে।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে হাসবেন্ডকে বললাম চলো ঘুরে আসি।সে কিছুটা অবাক চোখেই তাকালো কারন ইদানীং প্রয়োজন ছাড়া বের কম হই। কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে জানতে চাইলো, 'তুমি হাটতে পারবে? সত্যি বলতে আমার নিজেরও কিছুটা সন্দেহ ছিলো।
তারপর দুজনে বের হলাম দ্রুতই। খুব বেশিদুর যাব না আমি আগেই বলে রেখেছিলাম। ৩২ এর ব্রিজ পার হয়ে লেকে ঢোকার মুখেই তাকওয়া মসজিদ পরে। এই মসজিদ এর পেছন দিয়েই ঢুকতে হয়।

মা মারা যাওয়ার পরে আমি আর এখানে আসি নাই। মাকে এই মসজিদেই গোসল করানো হয়েছিলো শেষবার।মসজিদ এর পেছন দিয়েই লাশ ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় গোসল দেয়ার জন্য। আমি থমকে যাই এখানে এসে। কারন মনে হচ্ছিলো সময় যেন পেছনে চলে গেছে। মা ভেতরেই আছে।
পরে বজরা পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে ইউ টার্ন নেই বাসায় ফেরার জন্য। ৩২এর ব্রিজ পার হলেই আমার মেজ মামার বাসা। আমার হাসবেন্ড জিজ্ঞেস বলে চল ১০ মিনিট এর জন্য ঘুরে আসি। পরে মামার বাসায় যেয়ে দেখি মামি নেই।ইলেকশন করার জন্য টাঙাইল গেছে। আমার মামাতো ভাই বলতেছে যে, পরিচিতির জন্য গেছে আম্মু। মামির নমিনেশন পাওয়ার ইচ্ছের কথা আমরাও জানি। বেশি সময় মামার বাসায় থাকা হয় নাই কারন বুয়া চলে আসবে।

আর এর মাঝে যদি ছোট ছেলের ঘুম না ভেঙে থাকে তাহলে বুয়া কলিং বেল দিলে সে দরজা খুলবে কিনা সন্দেহ আছে।বের হয়ে আাসার আাগ মূহুর্তে মামা পেছন থেকে ডাক দিয়ে বলে, একটু দাঁড়া।
তোর জন্য একটা জিনিস রেখে দিয়েছি আমি। বলে মামা ভেতরে চলে যায় আর আমি ভাবতে থাকি যে এমন কি দেবে।একটু পরেই সে একটা সাদা খাম হাতে নিয়ে বের হয়ে আসে আর বলে বাসায় নিয়ে দেখিস।

কি আছে ভাবতে ভাবতে বের হয়ে আসি। আর বাসায় এসে খুলে দেখি অনেকগুলি ছবি ছবি যা মামার কাছে এতদিন রাখা ছিলো। আজকে রাতে সবারই বিয়ের দাওয়াত আছে তাই খুব একটা কিছু রান্না করি নাই।

দুপুর

দুপুরে বড় ছেলে বাসায় আসার পরে একসাথেই খেয়ে নেই। বিকেলে আমার ভাই দেখি মেসেজ দিয়েছে যে কফি বানিয়ে রাখ আমরা আসতেছি।ওরা বিয়ে খেতে গিয়েছিল। ওরা থাকে সন্ধার পরেও কিছুসময়।
রাতে আমাদের সবারই দাওয়াত ছিলো কিন্তু বড়ো ছেলে একাডেমিয়াতে ডিউটি ছিলো ৮ পর্যন্ত।এক্সাম এর কপি জমা দিয়ে বাসায় আসতে আসতে ওর প্রায় ৯টা বেজে যাবে এজন্য আমি আর বিয়েতে যাই নাই ।

রাত

আমার হাসবেন্ড চলে যায় ছোট ছেলেকে নিয়ে।সন্ধ্যায় ভাই আাসার কারনে নাস্তা করা হয়েছিলো বেশি আমি আর তাই রাতে কিছু খাই নাই। বড় ছেলেও রাতে ভাই সন্ধার আানা প্যাটিস আর বার্গার ছিলো সেটাই খেয়ে নেয়।
রাতে নোটিফিকেশন চেক করে দেখি ইন্ডিয়ান কমিউনিটি আয়োজিত মান্থলি কনটেস্ট এ দ্বিতীয় স্থান দখল করেছি আমি।বছরের শেষে এমন একটা সংবাদ পেয়ে মনটা ভালো হয়ে যায়। আর এভাবেই দিনটা শেষ হয়ে যায়।


◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦

image.png



Sort:  
 last year 

আপনার মামা খুব সুন্দর একটি উপহার দিয়েছেন যার স্মৃতি রাখার মতন। ছবিগুলো খুব যত সহকারে রেখে দেবেন যতদিন আপনার মামা যত্ন সহকারে রেখেছিল। আসলে এটা সত্যি কোন জায়গায় দাওয়াতের কথা শুনে তখন ঘরে আর রাখতে ইচ্ছা করে না। আপনার বড় ছেলে দেরিতে আসার কারণে বিয়ে বাড়িটা দাওয়াত খেতে গেলেন না। তারপর সন্ধ্যায় আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে খুব সুন্দর একটি সময় পার করলেন।
থ্যাঙ্ক ইউ দিদি আপনার সারাদিনে ডেইরি গেম আমাদের সাথে উপস্থাপনা করলেন।

 last year 

আসলেই মামা অনেক যত্ন করে রেখে দিয়েছিলো অনেক গুলো ছবি।ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনার ছবিগুলো আগে আপনার মামার কাছে স্মৃতি হয়ে আছিল এবং যত বড় রাখছিল। তো এখন যখন আপনাকে দিয়েছে এগুলো আপনি স্মৃতি হিসেবে আর যত্ন হিসেবে সারা জীবন রেখে দিবেন। থ্যাঙ্ক ইউ

 last year 

বাহ! অনেক মূল্যবান একটি উপহার পেয়েছেন আপনার মামার কাছ থেকে। আপনার ছবি গুলো বেশ সুন্দর লাগছে।। স্মৃতি করে রাখার একটি উপহার পেয়েছেন।
আসলে সত্যিই আমারও তাই হয়, যেদিন কোনে দাওয়াত থাকে সেদিন রান্না করতে তেমন একটা ইচ্ছে থাকে না।।
সন্ধ্যায় আপনার ভায়ের সাথে খুব ভালোই একটি সময় কাটিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটি দিনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হুম। মামার কাছ থেকে অনেকগুলো ছবি পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

মামা যে ছবিগুলো দিয়েছেন ওগুলো যত্ন করে রাখবেন। আপনাকে অপরূপ সুন্দর দেখাচ্ছে এই ছবিগুলোতে। লেকের পাশে হাঁটার রাস্তাটা প্রশাসন খুব ভালো করে সাজিয়েছে। বড় ছেলের বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত নটা বেজে যাবে বলে আপনি আর বিয়েতে যাননি, এটা জেনে একটু খারাপ লাগলো। আপনার পোস্টটা অনবদ্য হয়েছিল, এজন্যই আপনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। আপনার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি। ভালো থাকবেন।

 last year (edited)

সান্তা ক্লজ নিয়ে আপনার লেখাটাও ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনার মামা সযত্নে আপনার কিছু ছবি রেখে দিয়েছিল। খুবই চমৎকার ব্যাপার এটি। ছবিগুলোতে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে। রাতে দাওয়াত ছিল তাই সারাদিন আজকে আপনার রান্নার তেমন চাপ ছিল না। ভাই ও পরিবারের অন্যান্য লোকের সাহচর্যে আপনার সারাদিন কেটে গেল। আর মাকে আপনি নিশ্চয় মিস করছিলেন। তাই ওই মসজিদের রাস্তা পর্যন্ত
গেলেন। প্রিয়জন চলে গেলে আসলে এমনই লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 last year 

প্রিয়জন চলে যাওয়ার কস্টটা আসলে কাউকে বলে বুঝানো সম্ভব হয় না।এটার সাথে সবসময় বাস করতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

প্রিয়জন চলে যাওয়ার কষ্ট কাউকে বোঝানো যায় না। প্রিয়জন আমাকে কিভাবে ডাকতো এটা সারাক্ষণ আমার কানে বাজে। আমি জানি নিশ্চয়ই আপনারও এমনটি হয়। আর তখনই সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে। কারণ আমি জানি ডাকটি আমি ঠিকই শুনতে পাচ্ছি কিন্তু আজ আর জবাব দিতে হবে না। যার ব্যথা আসলে সেই বুঝতে পারে। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পেয়ে।

 last year 

ঠিকই বলেছেন আপু, যার যার ব্যাথা শুধু সে-ই অনুভব করতে পারে। বাকিরা শুধু কিছুটা অনুমান করতে পারে।
এত সুন্দর করে রিপ্লাই দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

কত সুন্দর যত্ন করে রেখেছিলেন আপনার মামা আপনার ছবিগুলি এবং সেটি একটি খামের মধ্যে ভরে আপনাকে দিয়েছিল। আমার বিশ্বাস ছবিগুলো দেখতে দেখতে আপনি পুরনো সমস্ত স্মৃতিগুলো একবার চোখের সামনে দেখে নিয়েছেন। আপনার মতন আমারও এমন হয়, যেই শ্মশানে মাকে দাহ করা হয়েছিল, সেই শ্মশানের দিকে আজও তাকাতে পারিনি। বহুবার ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছি এখনও মাঝে মধ্যে করি, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে চোখটা ঠিক অন্য দিকেই চলে যায়। এমনটা বোধহয় সকলের ক্ষেত্রেই হয়। আজ আপনার পোস্ট পড়ে সেটাই মনে হলো। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last year 

মামা আসলেই অনেক যত্ন করে রেখেছিলেন এত বছর ছবিগুলি।
ধন্যবাদ এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন

Posted using SteemPro Mobile

Loading...
 last year 

আপনি পায়ে ব্যথার জন্য বেশি একটা হাঁটতে পারেন না তারপরও আজকে ঘুম থেকে উঠে আপনার হাটার খুব ইচ্ছে হলো ।যা দেখে ভাইয়া প্রথমে একটি অবাক হলো । আপনার মনের উপর বিশ্বাস রেখে আপনি হাটতে বের হয়েছেন ।
সত্যি মা হারানো কষ্ট অনেক কঠিন ।মসজিদের সামনে গিয়ে আপনার সেই দিনটির কথা মনে পড়ল মায়ের শেষ বিদায়, শেষ গোসলের দিনটির কথা ।মামার বাসা কাছে থাকায় মামার বাসায় গেলেন । আপনার মামী নির্বাচন করার জন্য বাড়িতে গিয়েছেন। তার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল ।আপনারা আসার পথে মামা একটি সাদা খাম দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন এটা এখন খুলবে না বাসায় গিয়ে খুলবে ।বাসায় এসে আপনি সত্যিই অবাক হয়ে যান এখানে অনেকগুলো আপনার ছোট বেলার ছবি ছিল ।যেগুলো মামা খুব যত্ন করে রেখেছিলেন। সম্ভবত আপনার থাম্বেল এর ছবিগুলোই মামার কাছে ছিল তাই না ! বিয়ে বাড়ি নিমন্ত্রণ ছিল তাই দুপুরে বেশি একটা রান্না করেননি। এভাবে আপনার সুন্দর দিনটি কেটে গেল যা আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

 last year 

বাবা মা যারা হারিয়েছে শুধু তারাই বুঝতে পারে এই না থাকার অনুভুতি।
ধন্যবাদ এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সত্যি খুবই সুন্দর চোখ ফেরানোর মত নয়, আমি তো প্রথমে দেখে চিনতেই পারিনি।
সত্যি ছোটবেলার স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে যায় চোখের সামনে দিয়ে থাকে তখন থেকে একটা ভালো লাগা কাজ করে আপনার মামা তো দেখছি অনেক ভালো একজন মানুষ ।তিনি খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছে ।এবং উনার জিনিস আপনাকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভালো থাকুক এরকম সম্পর্ক আর হ্যাঁ আপনি কিন্তু দেখতে অসম্ভব সুন্দর ছিলেন ধন্যবাদ।

 last year 

আপনিও অনেক সুন্দর। এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার ছবিগুলো বেশ দারুন ছোটবেলার ছবিও আছে দেখছি 🥰স্মৃতি করে রাখার একটি উপহার পেয়েছেন।আপনার মায়ের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন, যেন আপনার মা পরকালে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করে। প্রিয়জন চলে গেলে আসলে এমনই লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার মামার কাছ থেকে আপনি আপনার আগের দিনের অনেক ফটো এনেছেন।ফটো গুলোর ভিতরে আপনাকে ভালোই লাগে।আর আগের দিনের ফটো খুঁজে পেলে সত্যি দেখতে ইচ্ছা করে আমি আমার ও কিছু ফটো পেয়ে ছি একটা ফোন থেকে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 last year 

ঠিকই বলেছেন পুরোনো দিনের ফটো পেলে ভালোই লাগে।আপনিও কিছু ছবি খুঁজে পেয়েছেন শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আমি আমার ফটো গুলো অনেক সময় বের করে করে দেখি আর ভাবি আগে কেমন ছিলাম আর এখন কেমন হয়ে গেছি । আসলে সময় এর সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন আসে মানুষের। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 last year 

সেটাই.. সময়ের সাথে সাথে মানুষের অনেক চেঞ্জ আসে।ধন্যবাদ এত চমৎকার করে রিপ্লাই দেয়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আমি এই চেঞ্জ হওয়া নিয়ে আপনার কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই যেটা হলো মানুষ চেঞ্জ হয়ে কি ভালো হয়েছে নাকি আগের দিনের মানুষের মতো হলে ভালো হতো ..?। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.26
JST 0.040
BTC 98487.39
ETH 3469.86
USDT 1.00
SBD 3.23