Better Life With Steem | The Diary game | 29, april |

in Incredible Indialast month (edited)
IMG_4528.jpeg

সকাল

আজকে সকালে ঘুম ভেঙে গেছে বেশ ভালো একটা অনুভুতির নিয়ে। অবশ্য এই ভালোলাগার অনুভুতিটা গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছিলো। কিন্তু সকালেও সেটার একটা রেশ রয়ে গেছে। দুটো কারনে এই ভালো লাগাটা কাজ করেছে।

প্রথমত অনেকদিন পরে মেক নয়েজ রিপোর্ট এর প্রথম ১০ জনের মাঝে নিজের নাম এর সাথে সাথে আমাদের কমিউনিটির আরো ৩ জনের নাম দেখে।
সাথে সাথে আমার নিজের কমিউনিটির নামটাও একদম ওপরে দেখতে পেয়েছি। এটা আসলেই একটা অর্জন বলে মনে হয়েছে। কারন এ'কদিন বেশ সময় দিয়েছি এর পেছনে। যদিও আমার নাম আগেও ১০ জনের মাঝে এসেছে কিন্তু আজকেরটা একটু অন্য রকম বলে মনে হয়েছে।

IMG_4531.jpeg

সত্যি বলতে আমি কমেন্ট করার প্রতি আগ্রহ হারিয়েই ফেলেছিলাম অনেকটইা। কারন আমার কাছে বেশ কিছুদিন থেকেই মনে হচ্ছিলো যে শুধু সংখ্যাটাকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এমন কমেন্টও চোখে পরেছে যা আমি আমার লেখায় লিখিই নাই। কিন্তু আধো আধো পড়ে কমেন্ট করে গেছে কেউ একজন। পেছনে পেছনে আরো দুই-এক জন এসে সেটাকেই আরেকটু অন্য ভাবে লিখে গেছে।
সাথে সংখ্যার বিষয়টাও চোখে লেগেছিলো আমার। হঠাৎ করেই এত বেড়ে গিয়েছিলো যা অনেকটা অস্বাভাবিক লেগেছিল।
তবে স্টিমিট টিমকে ধন্যবাদ যে এই বিষয়গুলোর লাগাম টেনে ধরেছে সময় থাকতে। না হলে এটা হয়তো ভয়াবহ আকার নিতে থাকতো।

যাই হোক, ভালো লাগা নিয়ে দিন শুরু হলেও রুমের দরজা খুলে ততোধিকই ধাক্কা খেলাম। হায়রে গরম!
ব্রেড ছিলো সেটা দিয়েই নাস্তার ঝামেলা শেষ করেছি।
এরপর দুপুরের রান্নাও একসাথেই শেষ করে ফেলেছি গরমের ভয়ে। তবে যাই রান্না করি না কেন ডাল প্রতিদিনই রান্না করি।সাথে টক জাতীয় কিছু না একটা কিছু সব সময়ই দিয়ে থাকি। এখন দিতেছি আম, টমেটো আর তেতুল। আমার বাসায় ডাল না হলে চলে না।

দুপুর

IMG_4530.jpeg

রান্না শেষ করে বারান্দায় গিয়ে দেখি গাছগুলোর অবস্থা খারাপ। প্রতিদিনই পানি দেই কিন্তু তারপরও কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে। দেখলে মনে হয় ৭ দিন ধরে পানি দেই না।
সাথে দেখলাম পাখির পানিও শেষ। তাই টবের গাছ আর পাখির জন্য একসাথেই পানি দিলাম।

দুপুরে ছেলেদের সাথেই খেয়ে নিয়েছি। বিকেলের দিকে ভাইয়ের দুই ছেলে এসেছিলো। ওদের ল্যাপটপ ছিলো আমাদের বাসায়। সেগুলোই নিতে এসেছিলো। ওদের স্কুল খুলে গেছে তাই এখন থেকে অনলাইনে ক্লাস বন্ধ।ওদেরকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম আর ভাবলাম যে , ওদের স্কুলে নাহয় এসি আছে কিন্তু যেসব স্কুলে এসি নেই তাদের কি অবস্থা হবে। একটু আগে আবার চোখে পরলো যে , মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। দেখে ভালো লাগলেও কিছুটা সন্দেহ হলো এটা ভেবে যে , ইদানীং অনলাইনে প্রচুর ভুয়া খবর আসে। এমন কিছু নাতো এটা।
ভাইয়ের ছেলেদের নাস্তা হিসেবে তরমুজ কেটে দিয়েছিলাম।

IMG_4536.jpeg

রাত

রাতে বড় ছেলে রেস্টুরেন্টে খাবে। তাই শুধু দুজনের জন্য ভাত রান্না করেছি। আমি আর খাই নাই।
এভাবেই দিন শেষ করেছি আজকে।



Thank You So Much For Reading My Blog

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

Sort:  
Loading...
 last month 

আজকে দিনের শুরুটা বেশ খুশি মন নিয়েই হয়েছে আপনার। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা করেছিলেন, গরমের দিনে হালকা কিছু খেলেও কেন জানি অস্তিত্ব কাজ করছে। একদম ঠিক অনলাইনে এখন খুব ভুয়া প্রচার দেখতে পাওয়া যায়। প্রযুক্তি যতটা ভালো ঠিক তার খারাপ দিনও রয়েছে।।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 last month 

আসলে আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। বর্তমানে অনেকজন আছে যারা পুরো পোস্ট না পড়ে কমেন্ট করে। আবার দেখা যায় অন্যের কমেন্ট দেখে সেই কমেন্ট একটু পরিবর্তন করে।
এটা আসলেই ঠিক নয়। যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে ব্রেড দিয়ে নাস্তা সেরে নিয়েছেন।

বর্তমানে যা গরম তাতে মানুষের একদম নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। আপনার ভাইয়ের ছেলেদের ল্যাপটপ আপনার বাসায় ছিল এজন্য তারা ল্যাপটপ নিতে এসেছিল।

আপনার ভাইয়ের ছেলেদেরকে আপনি তরমুজ খেতে দিয়েছেন। তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো।

সারাদিনের খানিক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67124.23
ETH 3753.43
USDT 1.00
SBD 3.56