Better Life With Steem | The Diary game | 27, april |
সকাল |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠার কোন তাড়া ছিলো না।তাই উঠেছি লেট করে।না উঠার অবশ্য আরও একটা কারন ছিলো উঠার পরে রুম থেকে বের হলেই গরম লাগবে।
বিছানা থেকে নামবো নামবো করতেছি এমন সময় বড় ছেলে উত্তেজিত ভাবে রুমে এসে ঢুকলো। কি হয়েছে জানতে চাওয়ার আগেই বললো যে, ওর সাথে পড়ে এক ছেলে সে গতকাল হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। আজকে ভোরে গ্রামে নিয়ে যাবে।
শুনে মনটা খারাপই হয়ে গেল। এত গরম পরেছে এবার। গতকাল নিউজে দেখলাম উত্তরবঙের কৃষকরা দেখলাম হিটস্ট্রোক এর ভয়ে রাতের বেলা ধান কাটতেছে।
যদিও এখন অনেক জায়গাতেই মেশিন ফিয়ে ধান কাটে তারপরও দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই হাতেই ফসল কাটে।
বিছানা ছাড়ার পরে দেখলাম ছেলে আবার শুয়ে পরেছে। মন খারাপ থেকেই কিনা কে জানে।
আমাকে দেখে জানালো ও সকালে নাস্তা করবে না এত গরমে। ছোট ছেলেটাও শরীর খারাপে ভুগতেছে একারনে আজকে আর ডেকে তুলি নাই।
সকালে আজকে নাস্তার ঝামেলায় না যেয়ে শুধু তরমুজ কেটেছিলাম। গতকাল সন্ধ্যার আগ দিয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ওইদিকে গিয়েছিলাম একটু সেখান থেকেই কিনে এনেছিলাম। আমাদের এলাকাতেতো সবকিছুরই দাম বেশি। কিন্তু ওইখান থেকে ১০০টাকা করে দুটো কিনে এনেছিলাম। অবশ্য সাইজ খুব একটা বড় ছিলো না।
ওই তরমুজ দিয়েই সবাই নাস্তা করে নিলাম। এরই মাঝে দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেললাম।
রান্না শেষ করার কিছুক্ষন পরে দেখি ভাই কাসুন্দি নিয়ে এসেছে।এটা আগেই অর্ডার দিয়ে এসেছিলাম আমি।ভাই গতকাল ধামরাই গিয়েছিলো। ফেরার পথে নিয়ে এসেছে।
এর মাঝে বুয়াও কাজ করে গেল আর যাওয়ার আগে সুখবর দিয়ে গেল যে, মঙ্গলবার উনি দেশে যাবেন।দেশে যাওয়া মানে কমপক্ষে ১০ দিন আসবে না।
দুপুর |
---|
দুপুরে আমরা চারজনই আজকে একসাথে খেয়েছি। আজকের খাবারে মাংস, সবজি, আর গতকালকের আম ডাল ছিলো।সাথে অবশ্য আমের চাটনিও ছিলো।
এই সবজিটা নামটা মজার। এর নাম বেগুনখাসি।আমার বিয়ের পরে এই সবজির নাম শুনে আমি আমার বাসায় জানিয়েছিলাম যে, জানো এরা বেগুন দিয়ে খাসির মাংস রান্না করে খায়। কেমন বাড়িতে বিয়ে দিয়েছো তোমরা আমাকে।
এটা জয়পাড়া অঞ্চল এর খুব জনপ্রিয় একটা খাবার।যদিও আমার কাছে মনে হয় রান্না করা খুব সহজ বলেই হয়তো এতটা জনপ্রিয়।
সব সবজি হলুদ,মরিচ,ধনিয়াগুড়া দিয়ে কষিয়ে পানি দিয়ে কিছুক্ষন পরে নামিয়ে নিলেই হয়।নামানোর একটু আগে টমেটো এবং একদম আগ মূহুর্তে ধনিয়াপাতা আর কাঁচা মরিচ দিতে হয়। তেল ওপরে চলে আসলেই শেষ। সন্ধ্যার দিকে আবারো তরমুজ কেটে দিয়েছিলাম।
রাত |
---|
শিক কাবাব আর তন্দুরি দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নেয় সবাই।খাওয়ার সময় ছেলে এসে সুখবর দিলো যে আগামীকাল আরও গরম পরবে।
আর এভাবেই দিনটা শেষ হয়ে গেল।
সত্যিই বর্তমানে গরমের পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যা বলার মত নয়। আর এরকম গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গের মধ্যে কিন্তু যদিও এদিকে মেশিন দিয়ে ধান কাটে কিন্তু প্রায় জায়গায় হাত দিয়েই ধান কাটে।
অনেক এলাকায় শুনতেছি রাতের বেলা ধান কাটতেছে।
আপনার ছেলের এক বন্ধু হিটস্ট্রোকে মারা গেছে এই বিষয়টি জেনে খুব খারাপ লাগলো।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেগুন খাসি এই নামটা মনে হয় এই প্রথম শুনলাম, হয়তো খেতে অনেক সুস্বাদু তাই ওই অঞ্চলে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
বর্তমানে যে হারে গরম পড়তেছে যার কারণে মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে।।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।