Better Life With Steem | The Diary game | 26, may |
![]() |
---|
সকাল |
---|
আজকে ভোর বেলা ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। জানালার পর্দার ফাঁকা দিয়ে চোখ গেল এত চমৎকার লাগতেছে। কিন্তু এই সাড়ে চারটার দিকে আকাশে কই থেকে আলো আসে বুঝতে পারি না আমি।এটা আমি আগেও অনেকবারই খেয়াল করেছি।একবার ভাবলাম উঠে ছবি তুলি কিন্তু আলসেমি লাগার কারনে সেটা অবশ্য আর হয়ে উঠে নাই।
গতকাল বিকেল থেকেই দেখতেছিলাম আকাশ প্রতি মূহুর্তে তার চেহারা পাল্টাচ্ছে।সন্ধ্যার আগ দিয়ে মনে হচ্ছিল অন্য কোন প্ল্যানেটে আছি, শুধু বিল্ডিংগুলো সাইন্স ফিকশন মুভির মতো হলেই হতো। দ্বিতীয় দফা ঘুম ভেঙেছে সাতটার দিকে তখনও দেখি আকাশ চমৎকার দেখাচ্ছে তবে সেই রঙের খেলা আর নেই।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানানোর জন্য রান্নাঘর এর দিকে যেয়েই পেছন থেকে হাসবেন্ড ডাক দিয়ে বললো যে, আমার জন্য কিছু করো না আমি বাইরে খাব আজকে। করলে তোমাদের জন্য করো।সকাল বেলা এ আমার প্রতিদিন এর এক সমস্যা ছেলেরা নাস্তা করবে নাকি করবে না।কিছু বুঝতে না পেরে বাদ দিলাম আর ভাবলাম পরে দেখা যাবে।ওরা উঠার পরে দুজনেই বললো যে, নুডলস খাবে, তাই ওদের জন্য নুডুলসই রান্না করে দিলাম।
বড় ছেলে আজকে আমার বাবার বাড়ির এলাকায়,যাবে এটা আগেই বলে রেখেছিলো। আজকে জিজ্ঞেস করার পরে প্রথমে বললো যে যাবে না। একটু পরে এসে বলতেছে যে যাবে।
কিছুক্ষন পরে ছোট ছেলে এসে বলতেছে যে আজকেতো বাতাস ছেড়েছে তাই খিচুড়ি করো। এটা শুনে ভাবলাম যে, দুপুরে ভাতই করি, রাতে খিচুড়ি করে দিবো। তাই এখন শুধু ডিম ভুনা আর পটল ভাজি করলাম। ফ্রিজে অবশ্য গতকালের মাছের তরকারিও রয়ে গিয়েছে।
দুপুর |
---|
এরই মাঝে বড় ছেলে ওর মামার সাথে ধামরাই চলে গেল। যেতে চাইলে কখনো মানা করি না আমি কারন এলাকার মানুষদের সাথে পরিচিত হোক এটা চাই। কারন আমার কাছে মনে হয় কানেকশন একটা বিশাল জিনিস, জীবন এর কোথাও না কোথাও কাজে লাগে। আমার ছোট ছেলের তুলনায় বড় ছেলের একটা ভালো গুন হলো ও সবধরনের ও সব পেশার মানুষের সাথে সাবলীলভাবে মিশতে পারে ছোট বেলা থেকেই।
আজকে সারাদিনই টিভি খুললেই ঘূর্নিঝড়ের খবর পাচ্ছি। উপকূল এর মানুষ, জীবজন্তু আর বিশেষ করে সুন্দরবনের কথা ভেবে খারাপ লাগছে। মানুষতো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় কিন্তু এদের যাওয়ার জায়গা নেই। প্রতি বছরই ঝড়ের সময় সুন্দরবন তার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মানুষ এর নিরাপত্তার জন্য, আর ঝড়ের পরে দেখা যায় তার কি অবস্থা আর সেখানে বসবাসকারী জীবজন্তুর অবস্থা।
রাত |
---|
কয়েকবছর আগে এতো বড় না তবে মাঝারি এক ঝড়ের সময় আমি কক্সবাজার ছিলাম তখন দেখেছি সমুদ্রের রুপ।কি বিশাল বিশাল ঢেউ আর ঘোলা পানি, এক কথায় ভয়ংকর সৌন্দর্য।
ভয় লাগছে যে সিডর কিংবা আইলার মতো ঝড় না হয়। এই দুটো ঝড় আমাদের দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত করেছিলো।আর আইলার সময় অনেক নিচু অঞ্চলগুলোতে যে লবনাক্ত পানি ঢুকে পরেছিলো সেখানে এখনো ভালোভাবে ফসল হয় না। প্রকৃতি একই সাথে আর্শীবাদ আবার একই সাথে অভিশাপও হতে পারে।
ভাবতেছিলাম আর ডায়েরি গেম লিখতেছিলাম।কলিং বেল এর সাউন্ড শুনে দরজা খুলে দেখি হাসবেন্ড এসেছে । তাই লেখা শেষ করে দিলাম কারন এখন রাতের জন্য খিচুড়ি রান্না করতে হবে
X promotional link
https://x.com/SayeedaSul40871/status/1794731134385062363
আপনার বড় ছেলের এটা একটা বড় গুণ যে ও সব ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করতে পারে। এটা ওর ভবিষ্যৎ জীবনেও ওকে অনেক সাহায্য করবে। ডিম কষা যা রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ফাটাফাটি হয়েছে। রেমাল ঘূর্ণিঝড় আয়লার মতো অত মারাত্মক হবে না বলেই তো খবরে দেখাচ্ছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানাতে যাওয়ার মুহুর্তে আপনার হাসবেন্ড বললো যে নাস্তা বাইরে খাবে এজন্য তখন আর কিছু বানান নি। পরে অবশ্য ছেলেদের নুডুলস রান্না করে দিয়েছিলে। দুপুরে ডিম রান্না করলেন এবং রাতে খিচুড়ি রান্না করবেন বলে ঠিক করলেন। খিচুড়ি আমার ভীষণ প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন টিভি খুললেই এখন শুধু ঝড় বৃষ্টির কথা বলছে। কিন্তু আমাদের এখানেও প্রচন্ড পরিমাণে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবন এলাকাবর্তী মানুষের তো কষ্ট একটু বেশি হবে। কারণ ওখানে তো শুধু চারিদিকে নদী ,দ্বীপ ইত্যাদি থাকার কারণে ।আপনার পোস্টটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
একদম ঠিক বলেছেন যে, সব জায়গাতেই ঝড় বৃষ্টির কথা হচ্ছে। আমাদের এখানেও সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।বেলা বাড়ার সাথে সাথে মনে হচ্ছে যেন আরও বাড়তেছে।
খবরে দেখলাম, উপকূলীয় এলাকায় ৭ জন মারাও গেছে।আর সুন্দরবন এলাকা থেকে মৃত জীব-জন্তু ভেসে আসতেছে। বৃষ্টিও নাকি চলবে বুধবার পর্যন্ত।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.
Curated by : @sualeha
@sualeha,
thank you so much, ma'am.
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেলে আকাশটা বেশ সুন্দর ছিল। পরে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা বানানোর চিন্তা করলেন। কিন্তু আপনার হাজবেন্ড নাস্তা বানানোর জন্য মানা করেছে। কারণ তিনি বাইরে খাবে। আপনার বিগত পোস্টগুলো পড়েও বুঝতে পেরেছিলাম সকাল বেলা নাস্তা বানানোর জন্য আপনাকে অনেকটাই ঝামেলায় পরতে হয়। কারণ আপনার ছেলেরা সকালবেলা ঘুমায় তাদেরকে ডাকলেও শুনে না।
দুপুরবেলা ডিম ভুনা রান্না করেছেন। ডিম ভুনার তরকারি দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। খেতেও মনে হয় বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঘূর্ণিঝড়ের আগের কয়েকদিন আকাশ দেখতে চমৎকার ছিল। বিশেষ করে সকালে আর বিকেলে একেক সময় একেক রং ধারণ করেছিলো।
জেগেই থাকুক কিংবা ঘুমাক যাই করুক না কেন
আমার দুই ছেলে সকাল বেলা নাস্তা করতে চায় না। ওদের নাকি সকাল বেলা নাস্তা করতে ভালো লাগেনা। যার কারনে নাস্তা বানানো একটু ঝামেলায় পরতেই হয় আমাকে।
বৃষ্টির দিনে আসলে খিচুড়ি খেতে ভালোই লাগে, আরে কারণে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্।ভালো থাকবেন সব সময়।
আসলে একটা ফ্যামিলিতে যদি পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের নিয়ম অনুযায়ী চলে। তাহলে আমার মনে হয় ভাল হয়। আপনার প্রায় পোস্টে আমি দেখেছি আপনার ছেলেরা নাস্তা খাবে কিনা দুপুরে খাবার খাবে কিনা, তা নিয়ে আপনাকে সন্দেহের মধ্যে পড়তে হয়। আসলে ঘূর্ণিঝড়ের কথা আমরা কখনোই চিন্তা করতে পারি না। এটা আল্লাহতালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নিয়ামত। কখন কি হবে সেটা তিনি ঠিক করে রাখেন এবং জানেন। ধন্যবাদ আপনাকে একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাচ্চাটা যখন ছোট ছিল তখন নিয়ম অনুযায়ী চলতো সকালে নাস্তা খেয়ে স্কুলে টিফিন নিয়ে যেতো।কিন্তু ক্লাস এইটে ওঠার পর থেকেই আস্তে আস্তে এটা চেঞ্জ হয়ে গেছে।
এখন দুপুরে টাইমলি খেলেও সকালের নাস্তা নিয়ে সমস্যা করে সব সময়। যদিও মাঝে মাঝে ঠিক মতই খায়, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই ঝামেলা করে। দুপুরেও মাঝে মাঝে দেখা যায় যে, কোন বন্ধুর সাথে খেয়েছে এটা যদিও খুব কম করে। আজকে যেমন বড়ো ছেলের বাসায় ফিরতে ফিরতে সাতটা সাড়ে সাতটা বেজে যাবে।এর মাঝে খেতেও পারে কিছু আবার না-ও খেতে পারে।
আসলে ছেলে মেয়েরা একটু বড় হলে তারা তাদের নিজেদের মতো চলে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় তাদেরকে আমরা যেভাবে চালাই তারা কিন্তু ঠিক সেভাবেই চলে। কিন্তু যখন একটু বড় হয় তখন তারা নিজেদের মনের মতো করে চলতে পছন্দ করে। যতটুকু আমি লক্ষ্য করে দেখেছি। তবে আপনার ফ্যামিলিতে একটু বেশিই দেখা যায়। কেননা আপনি অনেক সময় দেখা যায় নাস্তা বানিয়ে বসে থাকেন, আবার অনেক সময় নাস্তা না বানিয়ে চুপচাপ নিজের মত করে কাজ করতে থাকেন। এই বিষয়গুলো আপনার কাছে কতটুকু বিরক্তিকর আমি ঠিক জানিনা। তবে আমার কাছে মনে হয় একটু বিরক্তিকর। কেননা এভাবে প্রতিনিয়ত খাবার নষ্ট করা মোটেও ঠিক না। যদিও আপনার অভ্যাস হয়ে গেছে কিছু মনে করবেন না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা সম্পর্কে অবগত করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমারও বিরক্ত লাগে তাই বেশিরভাগ সময়ই নাস্তা বানাই না ওদের জন্য ।কিংবা আমার ফ্রিজে সবসময়ই হাফ সেকা রুটি কিংবা ফ্রোজেন খাবার রাখি, যাতে ওরা খেতে চাইলে বের করে দিতে পারি।তবে দুপুর এর খাবার নিয়ে সমস্যা করে না ওরা।
আমার বড় ছেলের ক্লাস থাকলে সাড়ে সাতটার মাঝে বাসা থেকে বের হয়ে যায় আর ক্লাস চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। এত সকালে খায় না ও। আর বাসায় ফিরাটা জ্যাম এর ওপর নির্ভর করে। ক্লাস থাকলে কিংবা কোন বন্ধু বান্ধব এর সাথে বাইরে খেলে সেটা আগেই জানিয়ে দেয়।তাই দুপুরে কিংবা রাতে কোন সমস্যা হয় না।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি আপনার সন্তানদের প্রতি খুবি সচেতন এটা স্পষ্ট। দোয়া করি আপনার সন্তানেরা খুব সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক।ছেলেরা খাবে কি না।কি খাবে, কখন খাবে এগুলা বিষয় খুবি ভালো লেগেছে।আর বাচ্ছাদেরকে চালাক বানাতে হলে ঘুরাঘুরি দরকার আছে।আপনি বড় ছেলেকে মামার সাথে পাঠিয়ে দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন।
বাচ্চাদের নিয়ে সচেতন শুধু আমি না, আসলে প্রতিটা মা'ই তার বাচ্চাকে নিয়ে সচেতন এখন কি করতেছে, কোথায় যাচ্ছে কিংবা খাচ্ছে এক কথায় সবকিছু নিয়েই।
আসলে ঘুরাঘুরি করলে মানুষ এর মন চেঞ্জ হয়।আর সেই সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে পরিচয় হয় যা জীবনের কোথাও না কোথাও কাজে আসে।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।