Better Life With Steem | The Diary game | 25 December |
সকাল |
---|
আজকে রাতে কেন যেন ভালো ঘুম হয়নি। ভাঙা ভাঙা ঘুম হওয়ার কারনেই কিনা জানি না সকালে ঘুম ভেঙে দেখি সাড়ে নটা বেজে গেছে।
বিছানা থেকে নামার আগেই কলিং বেল এর সাউন্ড শুনে বুঝতে পারলাম যে, বুয়া চলে এসেছে। সে নাস্তা বানাতে আমাকে সাহায্য করে সাথে বাকী কাজও করে দেয় ।দুই ছেলের একজনও নাস্তা করে নাই।
ওরা যেহেতু খায় নাই তাই দ্রুত দুপুরের জন্য রান্না শুরু করি।গতরাতেই আমার হাসবেন্ড বলে রেখেছিলো রাতে বাইরে খাওয়াবে তাই শুধু মাছ আর ডাল রান্না করি। অবশ্য সেদ্ধ করা শাক ছিল সেটাও রান্না করি।
রান্না শেষ এর দিকে বড় ছেলে জিজ্ঞেস করে, কোথাও যাবে? শুরুতে মানা করে দিয়েছিলাম।কারন কোথাও গেলে ছোট ছেলেকে রেখে যেতে হয় ওর এক্সাম এর জন্য।
দুপুর |
---|
পরে রাজী হই যে অল্প সময়ের জন্য যাব।খুব দ্রুত খেয়ে বের হয়ে যাই।তারপরও বের হতে হতে প্রায় একটার কাছাকাছি বেজে যায়। কোথায় যাব ঠিক করতে একটু সমস্যা হয়।একবার আমার বাবার বাড়ির দিকে যাওয়ারও কথা হয় কারন সেখানে আমার এক ভাই গেছে কদিন আগে ওর ফ্যামিলি নিয়ে। কিন্তু বাদ দেই এই চিন্তা কারণ আমার এক কাজিন দাওয়াত দিয়েছিলো গতকাল রাতে।
ওকে মানা করে দিয়েছিলাম। এখন গেছি শুনলে ও কি ভাববে এটা ভেবে।পরে বের হয়ে টাংগাইলের দিকে যাবো ভাবি কারন ওই দিকের রাস্তা ও ভালো আর জ্যামও কম।এই সিদ্ধান্ত নিয়েই বের হয়ে নবী নগরের দিকে আগাই। কিন্তু পরে আমিই বলি যে, বালিয়াটি জমিদার বাড়ির দিকে যাই। ওই দিকে এই সময় খুব সুন্দর লাগে।
ভুট্টা ক্ষেত, সরিষা ক্ষেত সবকিছু মিলিয়ে। যেতে হয় আমার বাবার বাড়ি হামরাই এর উপর দিয়েই।এটা হাইওয়ে থেকে ডানের রাস্তা ধরে এগুতে হয়।কিন্তু এগিয়ে পরি ঝামেলায়।কোনরকমে গাড়ি যেতে পারে এমন রোড রেখে বাকি রাস্তা কাটা কারন রাস্তা আরো প্রসস্থ করা হচ্ছে যার কারনে আমাদের সামনে এগুতেই হয়। সাথে প্রচন্ডরকমের ধুলাতো আছেই। কিন্তু কিছু দূর যাবার পরে কাটা রাস্তা শেষ হয়ে যায়।
রাস্তার দুইপাশেই সরিষা,ফুলকপি, লাউ,উচ্ছে সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বাগান আর ভুট্টা ক্ষেত।পরে এক জায়গায় আমরা থেমে সরিষা ক্ষেতের দিকে যাই।
আমি আগে কাছ থেকে কখনো ফুলকপি গাছ দেখি নাই । এত সুন্দর পাতার কালার আমাকে মুগ্ধ করে।বেগুনি আর সবুজ মেশানো অদ্ভুত একটা রঙ।
সেখান থেকে আমরা কিছু সবজি কিনে আসি। ওপরে ওঠার পরে রাস্তার পাশের বাড়ির লোকজন ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।সম্পুর্ন অপরিচিত মানুষের প্রতি তাদের অথিতিয়তা দেখে মুগ্ধ হতে হয়।এটাই হয়তোবা আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।
রাত |
---|
সেই বাড়ি থেকে বের হয়ে আমরা অন্য একটা রাস্তা ধরে ঢাকার পথে এগুই।সেই রাস্তাও আমার বাবার বাড়ির ওপর দিয়েই গেছে। পরে আমাদের অল্প সময়ের জন্য বাড়িতে যাই। এরপর ঢাকায় ফেরত আসি।
যে সময়ে বের হয়েছিলাম তাতে ভেবেছিলাম হয়তো সামান্য লেট হবে কিন্তু হ্যাংআউটে ঠিকমতোই ঢুকতে পারবো।কিন্তু রাতে ট্রাক চলা শুরু করে হাইওয়েতে যার কারনে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে যায়। একদম শেষ এর দিকে হ্যাং আউটে যোগ দেই আমি।
এখন সবাই ঘুমাচ্ছে আর আমি লিখতেছি। আর এভাবেই দিনটা শেষ হলো।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
আপনার বারান্দার ফুলগুলো কি সুন্দর সতীশ ভাবে ফুটে উঠেছে। তবে ঠিক রাতে ঠিক মতন ঘুমাতে না পারলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেট হয় আপনি নয়টা বাজে ভুয়া কলিংবে, শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলেন। ছুটির দিন ছিল তাই আপনার ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সেখানে কি কি সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলেন। এবং খুব কাছ থেকে দেখেছেন যেগুলো দেখে আশ্চর্য ব্যাপার। এবং যাবার পথে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন। ঘুরতে যা খুব ভালো একটি কাজ ঘুরতে গেলে চারপাশের প্রাকৃতিক গুলো দেখলে মন খারাপটা দূর হয়ে যায়।
থ্যাঙ্ক ইউ আপনার কাটানো সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
মাঝেমধ্যে বাইরে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যাওয়া ভালো। তাতে মনটাও ভালো থাকে আর শরীরেও নতুন এনার্জির সঞ্চার হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সত্যিই এটা গ্রামবাংলার ঐতিহ্য যে অচেনা মানুষেরাও আমাদের আপন করে নিতে জানে। কিন্তু আমরা শহরের মানুষেরা কত কিছুই চিন্তা ভাবনা করি কোনও অচেনা মানুষের সাথে কথা বলার সময়।
আমরা কাউকে বাড়িতে ডাকার পূর্বে অনেকবার চিন্তা করি।সাথে নিরাপত্তার প্রশ্নও জড়িয়ে আছে।
ধন্যবাদ চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি নিয়মিতই আউটিং করেন। এটা আপনার পোস্ট পড়ে অনেকবারই দেখেছি। এটা খুবই ভালো একটি বিষয়। নিয়মিত ঘোরাফেরা করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। আপনারই আউটিং আপনার ছেলেরা আপনাকে নিয়মিত সঙ্গ দেয়। আপনার ছেলেগুলো মাশাল্লাহ অনেক লক্ষী। তবে কালকে এই ঘোরাফেরার কারণে আপনার হ্যাংআউটে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। আপনি একদম শেষ মুহূর্তে জয়েন করেছিলেন। সেই হিসেবে বলা যায় গতকাল বেশ ব্যস্ত একটি দিন পার করেছেন আপনি। আপনার দিনলিপি পড়লাম। ভালো লাগলো পড়ে।
ওরাও বাইরে ঘুরতে পছন্দ করে এজন্যই সাথে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
যানজট না থাকলে ঢাকার জীবন যাএা খুব একটা খারাপ হতো না।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার আজকের দিনলিপিটি চমৎকার লাগল।আপনি আজ প্রকৃতির খুব খাছ থেকে ঘুরে এলেন।সবুজ শ্যামল বাংলার রূপতো সাধে আর কবিদের প্রেমে ফেলেনি!!
সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন দেরি করে।বুয়ার কলিং বেলে ঘুম ভেঙেছে আপনার।
এরপরতো ঘুরতে গেলেন।ভালো সময় পার করেছেন আপনি।ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
আপনিও ভালো থাকবেন। সাথে এত চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দেখতে পাচ্ছি আপনি একটি ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে থাকে। সেরকম একটি ফুল আপনার বারান্দায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর। ঘুরতে যাওয়া খুবই ভালো একটি কাজ। সারাদিন বাসার ভেতর বসে না থেকে মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি করা উচিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
শীতকালের প্রকৃতি নানা রঙের ফুলে সেজে ওঠে ।আপনার ব্যালকনির ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে ।গাঁদা ফুলো আমার অনেক প্রিয় ফুল।
হ্যাঁ আপনি সত্যিই বলেছেন রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সকালে উঠতে কষ্ট হয় । আপনারা উঠতে উঠতে নয়টা বেজে গেল ।বাচ্চারা মায়ের জন্য অপেক্ষা করে সকালবেলা নাস্তা করেনি।
ছুটির দিন তাই ভাই আপনাকে ও বড় ছেলেকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন। আপনার বাবার বাড়ি এলাকায় ঘুরতে গিয়েছেন । বাবার বাড়ি কাছাকাছি হলে যখন খুশি তখন ঘুরতে যাওয়া যায় ।
যাবার পথে আপনি সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন ।এই সিজনের সরষে ফুলের ক্ষেত দেখতে অনেক ভালো লাগে
আমাদের গ্রামের রাস্তাঘাট অনেক সুন্দর হচ্ছে এখন গ্রাম গঞ্জ এলাকায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে ,সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বাংলাদেশ অনেক পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এই উন্নতির জন্য অবশ্যই আমাদের দেশের সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।আপনার সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আসলেই এই সরকার রাস্তা ঘাটের অনেক উন্নতি করেছে। আর এজন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।
চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সকালটা যদি শুরু হয় এই ফুল দিয়ে তাহলে তো কথাই থাকলো না। ফুল প্রত্যেক মানুষের একটি শান্তির প্রতীক আর এমন মানুষ নেই যে ফুলকে ভালোবাসে না। রাতে আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ। ভাঙ্গা ভাঙ্গা ঘুম হওয়ার কারণে। আমরাও গ্রামে বসবাস করি কিন্তু আমাদের এদিকে বিদ্যুৎ আছে রাস্তাঘাট পাকা চারিদিকে সুন্দর মনোরম পরিবেশ। শীতকালে যেদিকে তাকাই না কেন চারিদিকে হলুদের সময় রহ। খেজুরের গাছ, রস সংগ্রহ করা। ভুট্টা ক্ষেত, সরিষা ক্ষেত সবকিছু মিলিয়ে। যেতে হয় আমার বাবার বাড়ি হামরাই এর উপর দিয়েই।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার দেয়ার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকবেন।
খেজুরের রস খেয়েছি কবে ভুলেই গেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আমি প্রায়শই আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে জানতে পারি যে, আপনারা ঘুরতে বের হয়েছেন। আসলে একটা বাসার মধ্যে থাকতে থাকতে এমনিতেই খারাপ লাগা শুরু করে। সেজন্য অবশ্যই ঘোরাঘুরি করাটা উত্তম আজকে আপনার ফটোগ্রাফিতে বেশ কিছু শাক সবজির ফটোগ্রাফি দেখেছি। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কিন্তু আমি নিজেও কখনো এত কাছ থেকে এই শাকসবজি দেখেনি। ইনশাল্লাহ যদি কখনো ভাগ্যে থাকে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটা দিনের কার্যাবলী শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য