Better Life With Steem | The Diary game | 22, april |
সকাল |
---|
আজকে ভোর বেলাতেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল কিন্তু গরমের কথা চিন্তা করে রুম থেকে বের হতেই ভয় লাগতেছিলো। কিন্তু তারপরও উঠে পরলাম কারন রান্নার ঝামেলাটা আরও ভালো করে গরম পরার আগেই শেষ করতে চাই। তারআগে একবার বারান্দায় গিয়ে দেখলাম আকাশ সাদা হয়ে আছে তার সাথে কেমন যেন একটা থমথমে পরিবেশ।
আজকে ছেলেদের অনলাইন ক্লাস হবে তাই ওদেরকে ডেকে তুললাম। এরপর রান্নাঘরে ঢুকে আলুভাজির জন্য আলু কেটে নিলাম। কারন ছোট ছেলে আলুভাজি হলেই খাবে।
রুটির জন্য আটাও অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশিই নিলাম এই ভেবে যে বেশিগুলো হালকা সেকে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিব।
আলুভাজি কড়াইতে দেয়ার পরে দেখি ছোট ছেলে ঘুরতেছে। ও এসে বললো যে, তুমি রুটি বানাও আমি আলু ভাজি করে দেই।এই ছেলেটা থাকলে আমার অনেক কাজে লাগে রান্না করার সময়।
এমন সময় দরজায় শুনি ধমাদ্দম শব্দ। এরকম শব্দ আমার ভাইয়ের ছেলেরা ছাড়া অন্য কেউ করে না।কিন্তু এত সকালে ওরা আসবে কিনা সন্দেহ লাগলো।ছেলে দরজা খুলে দেয়ার পরে দেখি সন্দেহ ঠিকই ছিল। ওদের ওয়াইফাই এর লাইন কেটে দিয়েছে আমার ভাই পড়া ফেলে গেমস খেলে বলে।
এখন ক্লাস করতে এসেছে। নাস্তা করে এসেছে কিনা জিজ্ঞেস করায় মানা করে দিল।তখন ভাবলাম রুটি বেশি বানিয়ে ভালোই হয়েছে। আমার হাসবেন্ড শুধু আলুভাজি আর সালাদ দিয়ে খেয়ে অফিসে চলে গেল। আর ওদেরকে ডিম ভাজি করে দিলাম।
একটু পরে ছেলেদের রুমে ঢুকে দেখি পুরো স্কুল হয়ে গেছে। দুজন খাটে আর দুজন টেবিলে বসে ক্লাস করতেছে। খাট ভর্তি বই, খাতা, বালিশ, কাঁথা সব ছড়িয়ে নিয়ে বসে আছে।
তবে সবচেয়ে মজা পেলাম ভাইয়ের ছেলেকে দেখে, ও স্কুল ড্রেস পরে এসেছে প্যান্ট সহ।
ওদেরকে নাস্তা দিয়ে দুপুরের রান্নাও করে ফেললাম একই সাথে।
দুপুর |
---|
ওরা ক্লাস করতেছিলো আর আমারও কাজ শেষ তাই ভাবলাম কিছু কমেন্ট করি। ফোন হাতে নিয়ে গুগল এর ওপর ছবি দেখে কৌতুহলী হয়ে কিসের ছবি জানতে গিয়ে দেখলাম, আজকে আর্থ ডে। আর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো,
পলিথিন এর দূষন রোধ।
দেখে ভাবলাম কটা রোধ করবে। মানুষ সব গাছ কেটে ফেলছে, নদী -নালা দূষিত করতেছে, গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরি করতেছে।
কদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া সহ সবজায়গায় গাছ কাটার জন্য গরম পরেছে এটা দেখতে পাচ্ছি।গাছ কাটার কারনে গরম পরেছে এটাতে কোন ভুল নাই কিন্তু এতে যে খুব বেশি প্রভাব পরেছে এমনও না।সবচেয়ে ভয়ংকর হলো গ্রিন হাউস গ্যাস।
আজকেই একজায়গাতে দেখলাম যে, সম্প্রতি কার্বন মেজরস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে,
২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মাঝে পৃথিবীর ৮০%গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরির জন্য ৫৭ টি ব্যাক্তি ও রাষ্ট্রীয়,মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান দায়ী।
এদেরকে যদি কন্ট্রোল না করা যায় তাহলে আমরা যতই গাছ লাগাই না কেন কিংবা মাছ মাংস খাওয়া ত্যাগ করি না কেন এই গরমকে কেউ থামাতে পারবে না। বাড়তেই থাকবে ক্রমশ।
যাই হোক, দুপুরে আমি আর আমার ছোট ছেলে একসাথে খাই। বড়টা খেয়েছে বিকেলের দিকে ।এরপর আমরা আর কেউই রুম থেকে বের হই নাই খুব একটা।
রাত |
---|
রাতে শুধু ভাত রান্না করেছিলাম।বড়ো ছেলে আর আমি খাই নাই। বাকি দুজন খেয়েছে। আর এভাবেই দিনটা শেষ হয়ে গেল আজকের।
আপনার ছোট ছেলে আপনাকে প্রয়ই দেখি রান্নায় সাহায্য করে, আমি দেখেছি রান্নার সময় কেউ পাশে থাকলেই অনেক উপকার হয়।
আসলে মানুষ নিজেই প্রকৃতিকে নষ্ট করছে, আর এর জন্যে সব মানুষ দায়ী এমন নয়। কিছু ব্যক্তির নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের কারণে আজকে এই অবস্থা।
আমার ছোট ছেলেটার খুব ছোটবেলা থেকেই রান্নার প্রতি আগ্রহ। পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করতে কোনটার পরে কোনটা দেই।
মাঝে মাঝে আমি রান্না করবো.. আমি রান্না করবোর অত্যাচারে রান্নাও করতে দিতো হতো। অবশ্য সব আমিই করতাম।ও মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া দিতো কিন্তু নাম হতো ওর। আর সেটাই এখন কাজে দিতেছে।
আসলে কাজ শিখলে সেটা কখনো না কখনো কাজে লাগেই।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
বর্তমানে গরমের পরিমাণ আসলেই অনেক বেশি যা বলার মত নয়। গ্রামে যা অবস্থা তাহলে শহরের যে কি অবস্থা কে জানে।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছেন। আপনার ছেলেদের অনলাইন ক্লাস ছিল এজন্য সকাল বেলায় ডেকে তুলেছে।
গরমের দিনে সকাল সকাল কাজ করে নেওয়াটাই সব থেকে উত্তম।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই বিশ্রী রকমের গরম পরেছে। মানুষের জীবন দূর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে এই গরমে।
এই গঅরমের মাঝে সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষনা করে একটা ভালো কাজ করেছে।
ঠিকই বলেছেন যে এই গরমের মাঝে কাজ যতটা সম্ভব সকাল সকাল করে নেয়াই ভালো। এজন্যই আমি যতটা সম্ভব সকালে রান্না ঘরের কাজ শেষ করি।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার ছোট ছেলে কিছুটা আমার মত আমিও আমার মায়ের রান্নার কাজে সাহায্য করে দিতাম যেমন মাঝেমধ্য নারকেল কুরে দিতাম , তরকারি কেটে দিতাম। আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলা সেই স্মৃতি অনেকটাই চোখের সামনে ভেসে উঠেছে।
বাংলাদেশসহ ভারত পাকিস্তান মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ। এদিকে আবার কৃষকের ধান কাটা লেগেছে যদি এমন সময় বৃষ্টি হয় তাহলে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই আমি বলব যে আল্লাহ সুবাহানাতালা যেটা করেন আমাদের মঙ্গলের জন্যই করেন।
এই তথ্যটা আমার জানা ছিলো না যেটা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এটাতো নিশ্চিত যে,বর্তমানে আমরা যে এই প্রচন্ড গরমের মাঝে অবস্থান করছি এর জন্য আমরাই দায়ী। আমরা যদি নিজেরা সচেতন না হই তাহলে পরবর্তী দিনগুলো আরও বেশি ভয়াবহ হবে।