Better Life With Steem | The Diary game | 1, may |
সকাল |
---|
বাবা ছেলের শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে গেছে আজকে। তাকিয়ে দেখি ৬টা বাজে।এত দ্রুত দুজনেই উঠে গেছে এটা দেখে খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম।পরে শুনি ছেলের ঘুম ভেঙে গেছে আর আজকে মে 'ডে হওয়ার কারনে ওর বাবারও ছুটি, তাই ও জানতে এসেছে আমরা কোথাও বেড়াতে যাবো কিনা।যদি যাই তাহলে ওর বড় মামাকেও যেতে বলবে।
আসলে আমার বড় ভাই এর ফ্যামিলিও খুব ঘুরতে পছন্দ করে। আমরা যদি বলি আর ওদের কোন কাজ না থাকলে সাথে সাথে রাজী হয়ো যায়। কিন্তু প্রচুর পরিমানে গরম এর কারণে ওকে নিষেধ করে দিলাম।এত গরমে কোথাও গেলে শান্তি মতো হাঁটাচলা করা যাবে না। বেশ কিছু দিন ধরে বলতে গেলে একরকম ঘরবন্দী জীবনই কাটাচ্ছি।এর মাঝে ছোট ছেলেটারও শরীর খুব একটা ভালো নেই।
না করার কারনে ও যেয়ে শুয়ে পরলো। একটু পরেই দেখি ওর বাবাও শুয়ে পরছে। আমিও কিছু সময় শুয়েই রইলাম কিন্তু ঘুমাই নাই। আর ঘুম না ধরলে আমি বিছানায় থাকতে পারি না খুব একটা। তাই খানিকক্ষণ পরে আমি উঠে পরলাম।উঠে রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে ফেললাম কারন গতকাল বুয়া দেশে গেছে। তারপর আস্তে ধীরে বাকি কাজগুলোও করে ফেললাম।কারন রোদ বাড়লে গরমও বাড়বে। ওরা উঠলে ওদের নাস্তাও বানিয়ে দিলাম যদিও বড় ছেলে খেল না।
এরপর দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেললাম।এরই মাঝে দেবর গ্রাম থেকে কল দিয়েছে দেখানে যাওয়ার জন্য। কারন গ্রামে আমার ভাশুর, ভাগ্নে সহ আরও কয়েকজন গেছে।আমার এই গরমে একদমই যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না।কিন্তু আমার হাসবেন্ড আর বড় ছেলের আগ্রহে পরে রাজী হয়ে গেলাম।
দুপুর |
---|
যেহেতু দুপুর এর রান্না করাই ছিলো তাই আমরা একবারে খেয়েই বের হলাম।কারন আমি একটা জার্নি চাচ্ছিলাম কিন্তু বেশি সময় সেখানে থাকার ইচ্ছে ছিল না তাই দুপুর এর খাওয়া শেষ করে বাসা থেকে বের হই।আমার শশুড় বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা সবসময়ই মুগ্ধ করে আমাকে বিশেষ করে আাড়িয়াল বিলের ভেতর দিয়ে যখন যাই। যদিও এখন আর আগের মতো পানি দেখতে পাই না।
আগে বর্ষার সময় যখন যেতাম তখন দেখতাম রাস্তার দুইপাশের পানি রাস্তা ছুঁই ছুঁই করতো।তখন অবশ্য রাস্তা আরও খারাপ ছিল। যেহেতু বিলের মাঝ দিয়ে রাস্তা তাই কিছুদিন গেলেই নস্ট হয়ে যায়। কেমন যেন উচু-নিচু হয়ে যায়। যাচ্ছিলাম আর মনে হচ্ছিলো সবুজ এর মাঝ দিয়ে কালো সাপের মতো পিচ ঢালা রাস্তা গেছে একে বেঁকে।
কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলাম বাড়িতে। কিন্তু যাওয়ার পরে দেখি সবাই মামাশ্বশুর এর বাড়িতে গিয়েছে।অবশ্য মামা শশুরের বাড়ি পাশেই, সেখানেই যাই আমরা।
রাত |
---|
তবে খুব একটা লেট করি নাই কিছুটা সময় কাটিয়েই আবার বাড়ির পথে রওনা হই ।মাঝে সৈয়দপুরে থামি। সন্ধ্যার কিছু সময় পরে বাড়িতে ফেরত আসি।
সেখানে চা খেয়ে আবারও বাড়ির দিকে রওনা দেই।বিকেলে ভারি খাবার খাওয়ার কারনে রাতে আর কেউ কিছু খায় নাই।
আর এভাবেই দিন শেষ হয়ে যায়।
ছুটির দিনে বাইরে ঘুরতে যেতে সবারই খুব ভালো লাগে তবে গরমের কথা ভুললেও চলবে না। ঘুরতে যাওয়া ইচ্ছে আপনার না থাকলেও গ্রাম থেকে দেবর ফোন করে যেতে বলেছে এজন্য সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
এই নামটা আগেও শুনেছি তবে দেখিনি আগে কখনও।
আপনার পোস্টের প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আড়িয়াল বিল বিক্রমপুর এলাকায় অবস্থিত।এটাকে কেন্দ্র করেই এই এলাকার মানুষ এর জীবন যাপন নির্ভরশীল। একই সাথে এটা একটা পর্যটন এলাকা হিসেবেও আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।