Better Life With Steem | The Diary game 8,june|

in Incredible Indialast year
Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage (2).png

Edited by Canva

সকাল

সকালে ঘুম থেকে উঠে শুয়ে ছিলাম অনেকটা সময়। এরপর বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে টুকটাক ঘরের কাজ করতে শুরু করলাম। কারন আজকেও বুয়া আসবে না জানি।রুমগুলো পরিস্কার করে ফেললাম। এরপর নাস্তা বানাতে রান্নাঘরে ঢুকে পরলাম।গরমে রুটি বানানোর কথা চিন্তা করে আরো গরম লাগলো। এরপর খিচুড়ি বসিয়ে দিলাম।

যদিও জানি এটা খেলে আরো গরম লাগবে। তারপরও এই কাজটা করলাম রুচির আমের আচার দেখে। আমি প্রতিবছরই আচার বানাই, এই বছরও বানিয়েছি। কিন্তু রুচির এই আচারটা আমাদের বাড়িতে সবাই অনেক পছন্দ করে।

এর পর শুরু করলাম সবাইকে জাগানোর মিশন।দুই ছেলেরই পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে এই সপ্তাহে যার কারনে তাদের ঘুম থেকে উঠার কোন তাড়া নেই। ওদের বাবা যদিও উঠে পরেছে। তখন মনে হলো খিচুড়ি না রান্না করলেই ভালো করতাম।
ওইদিকে দুপুরে রান্না করার জন্য ফ্রিজ থেকে মুরগী বের ভেজালাম। ছেলেরা নাস্তা করার জন্য আসলো ১০ টার দিকে।

IMG_5225.JPG

এসেই বড় ছেলে বললো যে, চলো কোথাও ঘুরে আসি। কিন্তু ওর বাবাকে দেখলাম খুব একটা রাজী না। কিন্তু আমারও ওর কথা শুনে যেতে ইচ্ছে করলো। কারন দুই ছেলের পরীক্ষার জন্য জন্য বের হই নাই খুব একটা। আবার ঈদ চলে আসতেছে।
ওর বাবাকে রাজী করতে বেশ কিছুটা সময় চলে গেল।
দ্রুত রান্নাঘরে গিয়ে মুরগী আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলাম। ওই দিকে ছেলে কল দিয়ে আমার ভাইয়ের ছেলে আমাদের সাথে যাবে কিনা সেটাও জেনে নিলো। আরেকটু আগে প্ল্যান করলে ওর বাবা-মাকেও নিয়ে যাওয়া যেত, কিছু ভাই চলে যাওয়ার কারনে আর ওদেরকে বলা হয় নাই।

আমাদের সাথে বড়ো ভাই এর ছেলে যাবে বলে ঠিক হলো।দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করলেও বের হতে হতে প্রায় সাড়ে এগারোটার বেশি বেজে গেল।ভাইয়ের ছেলেকেও তুলে নিলাম আমাদের সাথে। প্রতিবারের মতোই কোথায় যাবো ঠিক না করার কারনে সমস্যায় পরতে হলো। আবার বাসায় এসে পোস্ট লিখতে হবে এটাও মাথায় ছিলো।তাই ঠিক হলো কুমিল্লার দিকেই যাবো যাতে আগেই চলে আসতে পারি। কিন্তু ঢাকা থেকে বের হতে গিয়েই ঝামেলায় পরলাম, এমন জ্যাম। হানিফ ফ্লাইওভার এর ওপর উঠার পরে জ্যাম থেকে রেহাই পেলাম।কিন্তু আমাদের অন্য পাশে দেখলাম গাড়ির লম্বা লাইন।এরপর অবশ্য আর কোথাও জ্যাম পাই নাই।

দুপুর

কুমিল্লার রাস্তায় গাড়িগুলো এমন বেপরোয়া ভাবে চলে যে রাস্তার পাশে থামতে ভয় লাগে। তারপরও এক বিশাল দিঘির পাশে থেমেছিলাম কয়েক মিনিটের জন্য। নিচে তাকিয়ে দেখি গাড়ির ভাঙা গ্লাস পরে আছে। দেখে মনে হলো রাতে কিংবা ভোরের দিকে এক্সিডেন্ট হয়েছে। ছুঁই ছুঁই করে পাশ দিয়ে বড়ো বড়ো গাড়ি চলে যেতে থাকলো। তাই দ্রুত আবারও চলা শুরু করলাম।
আমি চাইলাম কুমিল্লা শহরের ভেতরে ঢুকতে কিন্তু সব ছেলেরা বললো যে ওরা আগে খাবে তারপর যাবে।
তখনই আমার সন্দেহ হলো যে আর কোথাও যাওয়া হবে না।কিন্তু তারা বললেন অন্য কোথাও না গেলেও আর একটু সসমনে এগুলোই ওয়ার সিমেট্রি সেখানে যাবে। বলে মিয়ামি রেস্টুরেন্টে ঢুকে পরলো। কুমিল্লায় আসা মানেই এখানে আসা আর এখানকার খিচুড়ি খাওয়া।

IMG_5272.JPG

খাওয়া শেষ করার পরে দেখলাম আমি যা ভেবেছিলাম সেটাই হয়েছে । এরপর তারা ঢাকায় চলে আসবে। অবশ্য মারাত্মক রকমের গরম পরেছে এটাও ঠিক। কুমিল্লাতে আসলে আমার একটা জিনিস সবসময় নজরে পরে সেটা হলো মাতৃভান্ডার এর নাম।এটা কুমিল্লা শহরের ভেতরে অবস্থিত আর ওদের একটাই দোকান।

কিন্তু কুমিল্লায় ঢোকার আগে থেকে শুরু হয় এই নাম। আমারতো মনে হয় শুধুমাত্র মিষ্টির দোকানের নামই না, জুতার দোকান, সবজির দোকান,কাপড়ের দোকান সব জায়গাতেই এই নাম। ইদানীং দেখতেছি মিয়ামির নামও। বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে এই নামে।
ফেরার পথেও রাস্তার পাশের এক জায়গাগে থেমেছিলাম আমরা সামান্য সময়ের জন্য। এরপর ঢাকায় চলে আসি। আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

IMG_5316.JPG

রাত

রাতে ভাইয়ের ছেলেরা সবাই বাসায় আসে। ওদেরকে গ্রিল আর তন্দুরি এনে খাওয়াই। ভুলে ছবি তোলা হয় নাই। ওরা চলে যাওয়ার পরে সবকিছু গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে যাই।



Thank You So Much For Reading My Blog

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

Sort:  
Loading...
 last year 

ম্যাম আজকের দিনটি আপনি বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন। পরিবারের সাথে ঘুরতে বেরুনো মানে মজা আর আনন্দ। আপনারা ঢাকা থেকে কুমিল্লা ভ্রমন করেছেন। ভ্রমনের সময়কালীন বিভিন্ন তথ্য আমাদের দিয়েছেন। আমি শুনেছি ঢাকা টু কুমিল্লা মহাসড়ক নাকি অনেক ব্যস্ত থাকে। বড় বড় যানবাহন বেপোড়য়া গতিতে চলাচল করে। আপনার লিখা পড়ে সেতি আরো বেশি নিশ্চিত হলাম। একটি দূর্ঘটনা যেহেতু সারাজীবনের কান্না তাই এসব সড়কে চলাচলে আমাদের অনেক বেশি সাবধারণতা অবলম্বন করা উচিত।

সামনে যেহেতু ঈদ তাই আপনাকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা ম্যাম। এবারের কুরবানি ঈদ আপনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব ভালোভাবে উপভোগ করুন সেই কামনা করছি। ভালো থাকবেন ম্যাম।

 last year 

কুমিল্লার রাস্তাটা আসলেই অনেক ব্যস্ত সড়ক। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই স্পিড লিমিট ও ক্যামেরা দেয়া আছেন। কিন্তু যেসব জায়গাতে নেই সেই সব জায়গাতে এরা একেবারে ভয়ঙ্কর ভাবে এরা গাড়ি চালায়। এই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটা বা নামাটা একদমই নিরাপদ না।
আপনার প্রতি রইল ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। সবাইকে নিয়ে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করুন।
ভালো থাকবেন সব সময়।

 last year 

পোস্ট না পারলে নতুন অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় না ঠিক আপনার পোস্টে পড়ে আজ নতুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি যা আমার আগে জানা ছিল না।

কুমিল্লার রাস্তায় গাড়িগুলো এমন বেপরোয়া ভাবে চলে যে রাস্তার পাশে থামতে ভয় লাগে।

যদি কখনো কুমিল্লায় যাই তাহলে অবশ্যই এই কথাগুলো আমি মাথায় রাখবো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।

 last year 

কুমিল্লার রাস্তায় স্পিড লিমিট দেয়া আছে আর ক্যামেরাও লাগানো আছে ওপরে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় এসব নেই। এসব জায়গা ভয়ংকর। এখানে রাস্তার একদম পাশে দাড়ালোও ভয় লাগে।
এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।

 last year 

প্রতিটা বাস ড্রাইভার যদি তাদের দায়িত্ব এবং নিয়মগুলো ফলো করে তাহলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এমন সতর্কতামূলক পোস্ট সবার জন্যই মূল্যবান ভালো থাকবেন।

 last year 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই খিচুড়ি রান্না করেছেন। পরে আপনার ছেলে ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ করে বলে বাইরে ঘুরতে যাবে। পরে হঠাৎ করেই ডিসিশন নিয়ে আপনারা কুমিল্লায় ঘুরতে গিয়েছেন। আমিও কার কাছ থেকে শুনেছিলাম ঠিক মনে পড়ছে না। কুমিল্লার রাস্তায় চলা গাড়িগুলো একটু বেপরোয়া গতিতেই চলে।

সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঢাকার বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্রোগ্রামগুলো আমাদের বেশিরভাগ সময়ই এরকম হুট করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার অবশ্য সাথে ভাইয়ের ছেলেটাকে নিয়ে গিয়েছিলাম।
কুমিল্লার রাস্তায় বেশিরভাগ জায়গাতেই স্পিড দেওয়া আছে যার কারণে সব জায়গায় বেপরোয়া গতিতে চলতে পারে না। তবে কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় গাড়ি খুবই ভয়ংকর ভাবে রাস্তায় চলেন।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপনি সারাদিন খুবই কর্মব্যাস্ত একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।আসলে নারীদের কাজের চাপ অনেক বেশি হয়ে থাকে।এই গরমে রান্না করা আসলে যে কতোটা কঠিক সেটা উপলব্ধি করার জন্য প্রত্যেক পুরুষের একদিন হলেও রান্না ঘরে যাওয়া দরকার।রুচি আমের আচার সকলেই পচন্দ করে।আপনার ছেলেদের পরিক্ষা শেষ হয়েছে।এখন ওরা একটু রিলাক্স করবে এটাই সাভাবিক। ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ

 last year 

ঠিকই বলেছেন যে, এই গরমের মাঝে রান্না করাটা একটা কঠিন কাজ। শহরেতো তবু কারেন্ট থাকে কিন্তু গ্রামে কারেন্টও থাকেনা তেমন একটা। তাই সেখানে আমার মনে হয় আরও কঠিন।
রুচি আমের আচার এর চাহিদা অনেক কিন্তু কেন জানি না সাপ্লাই অনেক কম। দোকানগুলোতে পাওয়াই যায় না।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালে থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 last year 

আমরা যা পরিকল্পনা করি মাঝে মাঝে দেখা যায়, সেটা উল্টো হয়ে যায়। যেমনটা আপনি মুরগি ভিজিয়ে রেখেছেন দুপুরে রান্না করার জন্য। কিন্তু সেটার করা হলো না বাহিরে গিয়ে ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া সব কিছুই সম্পন্ন হল। আসলে ছেলে মেয়েরা যা চায় তাদের ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে গেলে, মাঝে মাঝে বাবা মায়ের ইচ্ছে গুলোকে একটু মাটি চাপা দিয়ে দিতে হয়। তবে আপনারা সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন।

আসলে কুমিল্লার রাস্তায় গাড়ি চলাচল এবং যখন কোন এক্সিডেন্ট ঘটে, তখন অনেক বেশি ভয় পাই আমি বিশেষ করে। আমি যখন একবার ঢাকায় গিয়েছিলাম। তখন কুমিল্লা রোডে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল। যেটা আমার এখনো মনে আছে। ধন্যবাদ পরিবারের সাথে কাটানো একটা দিনের আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.31
JST 0.034
BTC 110601.27
ETH 3882.01
USDT 1.00
SBD 0.61